পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.ை বিমলকে অভ্যর্থনা করিয়া লইয়া গেলেন। এ ভঞ্জলোকটিকে বিমল ইতিপূৰ্ব্বে কখনও দেখে নাই। খুব ফরসা চেহারা, গালের দুই দিকে বেশ বড় জুলফি, হলালিত এক জোড়া কালো কুচকুচে গোফ, আরক্ত চক্ষু দুইটি হাস্তপ্রদীপ্ত । --আল্পন, আম্বন ডাক্তাস্কবাৰু বস্থন । প্রৌঢ় সৌরীনবাবুকে বিমল চিনিত, তিনিও সেখানে বসিয়া ছিলেন । বিমল তাহাকে নমস্কার করিল। তিনি মোটা সিগারটা মুখ হইতে নামাইয়া বলিলেন—আম্বন, ঐ আপনার রুগী—সিগার মুখে দিয়াই তিনি উপবিষ্ট একটি . মহিলাকে দেখাইয়া দিলেন । মুপ্রিয় সরকারকে বিমল আগেই চিনিতে পারিয়াছিল । —কি হয়েছে ওর ঐ সুপ্রিয়া বলিলেন–কিছুই হয় নি। অমুখ আমার নয়—অসুখ এদের— অপর যে মহিলাটি বসিয়া ছিলেন তিনি সুপ্রিয়ার জননী ভগবতী দেবী। তিনি বলিলেন-ঐটেই ওর প্রধান অমুথ, ওর ধারণা ওর কিছু হয় নি, অথচ দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে । জুলফিদার যুবকটি বলিলেন—এক মিনিট বস্থন ডাক্তারবাবু, আমি এখনি আসছি— তিনি চলিয়া গেলেন । সৌরীনবাবু সিগারে একটা টান দিয়া ঠোট দুইটি ঈষৎ ফাক করিয়া উদ্ধমুখ হইয়া বসিয়া ছিলেন, র্তাহার কালো দাতগুলির ফঁাকে ফঁাকে একটু একটু ধোয়া বাহির হইতেছিল । তিনি সহল। সমস্ত ধোয়াটা ছাড়িয়া দিয়া বলিলেন—আবার আপনাদের থিয়েটার হচ্ছে কবে, পূজোর সময় হবে না কি ? বিমল হাসিয়া বলিল—কি জানি, আমার সময় হবে নী বোধ হয়, আর--অমরও তো দেশোদ্ধারে মেতেছে, সকলেই কাজের মানুষ হয়ে উঠলে মুশকিল ! স্কপ্রিয়ার মা কি যেন একটা বলিতে গিয়া থামিয়া গেলেন। সৌরীনবাবু তাহ লক্ষ্য করিয়া ঈষৎ হাসিলেন এবং চুরুটে মৃদু একটা টান দিয়া সুপ্রিয়ার দিকে চাহিয়া বলিলেন—বউদিদি চটছে, বুঝলি সুপ্রিয় ! স্বপ্রিয়ার মা কিছু না বলিয়া টেবিলের উপর হইতে ج صدوي ميا ब्रिटर्कीक উাহার অসমাপ্ত উলের সোয়েটারটা তুলিয়া লইয়া বুলিতে কুরু করিয়া দিলেন । ... . . সৌরীনবাবু তাহার পূর্ব উক্তির সমর্থন করিয়া পুনরায় বলিলেন—সবাই কাজের মানুষ হয়ে উঠলে পৃথিবীতে টেকা মুশকিল ! অকেজো লোকেদের আলসেমির দৌলতেই পৃথিবীট স্বাসযোগ্য—এ কথাটা সবাই ভুলতে বসেছে এই ইউটিলিটির যুগে, আমরা ক্রমাগতই ভুলে যাচ্ছি যে মামুষের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকবার পথে এই ইউটিলিটি-বাদ প্রধান অন্তরায়, এ-কথা তুমি স্বীকার কর না বউদি ? বউদিদি সোয়েটারের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ রাখিয়া বলিলেন—বুঝতেই পারছি না তোমার কথা, বাংলা ক’রে বল । সৌরীনবাবু সুপ্রিয়া ? —উপযোগিতা । —ও ভারি খটমট হ’ল ; কেজোমি বললে কেমন झभ्र ? - মুপ্রিয়া হাসিয়া বলিলেন-ওটাও শ্রুতিমধুর হ’ল | II —ত হ’ল না বটে, কিন্তু কেজোমির সঙ্গে পেজোমি কথাটার চমৎকার মিল আছে। আর আমার বিশ্বাস আমরা যতই ইউটিলিটির দিকে ঝুঁকছি ততই পাজি হয়ে উঠছি ! সুপ্রিয়ার মা বলিলেন—ত হ’লে তোমার মতে কাজের মাতুষ মাত্রেই পাজি লোক, তোমার মতন ইজি বলিলেন—ইউটিলিটির বাংলা কি চেয়ারে ঠেস দিয়ে ব’সে ব’সে সিগার-ফোকাটাই ভাল লোকের লক্ষণ ! সুপ্রিয়া একটু অস্বস্তি বোধ করিতে লাগিলেন । যাহাকে “ডেকোরাম অর্থাৎ শোভনতা-জ্ঞান বলে, তাহা যদি মায়ের একটু আছে! চটিয়া গেলে তিনি অবলীলাক্রমে স্থান-কাল-পাত্র বিশ্বত হইয়া ঘাহা মুখে আসে বলিয়া বসেন। আর কাকাবাৰুটিও কুটুম্ কুটুম্ করিয়া কথা বলিয়৷ মাকে চটাইতে পাইলে আর কিছু চান না । মা যেদিন হইতে সোয়েটারে হাত দিয়াছেন, সেই দিন