পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਗ রকমে পরীক্ষা করিয়া তোমাকের আবিষ্কার সমর্থন করিয়াছেন। ডোমাক স্বয়ং বহু রোগীকে প্রোনটােসিল প্রয়োগ করিয়া নিরাময় করিয়াছেন। এমন কি নিজ কন্যাকে তিনি ইহা প্রয়োগ করিয়া ষ্ট্রেপ্টোকক্কাসের গুরুতর আক্রমণ হইতে রক্ষা করেন। হুচ ফুটিয়া তাহার কন্যা ষ্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাক্টরিয়া দ্বারা আক্রাস্ত হয়। উপযুপিরি অস্ত্রোপচারের ফলেও যখন সে আরোগ্যলাভ করিতে পারিল না তখন ডোমাক তাহাকে প্রোন্‌টােসিল খাওয়াইয়া সে যাত্রা অ iাগ্য করিয়া তোলেন। প্রোনটোসিল আবিষ্কারের পর কৃত্রিম উপায়ে এই জাতীয় আরও কতকগুলি যৌগিক পদার্থ প্রস্তুত করা হইয়াছে এবং অধিকতর শক্তিশালী প্রতিষেধক যৌগিক পদার্থ উৎপাদনের চেষ্টা চলিতেছে। ভবিষ্যতে যে এই জাতীয় আর ৪ কত কি আবিষ্কৃত হইবে, তাহা কে বলিতে পারে ? ডোমাক একটি অনাবিষ্কৃত পথের সন্ধান দিয়াছেন। অদূর ভবিষ্যতে এই পথ প্রশস্ততর হইয় উঠিবর যথেষ্ট সম্ভাবনা রহিয়াছে। শীঘ্রই হয়ত দেখিতে পাইব—এই পথে ব্যাকটিরিয়া অপেক্ষাও ক্ষুদ্রতর ভাইরাস্ংক্রামিত ব্যাধির প্রতীকারের উপায় আবিষ্কৃত হইয়াছে । এক পদার্থ কিরূপে অন্য পদার্থে রূপান্তরিত হয় ? যন্ত্র-জগতের বিস্ময় সাইক্লোট্রোনের কার্য্যপ্রণালী সম্বন্ধে ইতিপূর্বেই মোটামুটি আলোচনা করিয়াছি। সেই প্রসঙ্গে উল্লিখিত হইয়াছিল যে, এই অদ্ভুত যন্ত্রসাহায্যে এক পদার্থকে অন্য পদার্থে রূপান্তরিত করা যাইবে এবং ইতিমধ্যেই কতকগুলি স্থায়ী পদার্থকে ক্ষণস্থায়ী স্বতোবিকিরণকারী পদার্থে রূপান্তরিত করা সম্ভব হইয়াছে। কি উপায়ে পদার্থের এই রূপান্তর সংঘটিত হইতে পারে তাহা বুঝিতে হইলে একটু বিস্তৃত আলোচনা প্রয়োজন। এমন এক সময় ছিল যখন লোকে বিশ্বাস করিত যে, পরশমণির সংস্পর্শে নিকৃষ্ট ধাতু উৎকৃষ্ট ধাতুতে রূপান্তরিত হইতে পারে। বিজ্ঞানশাস্ত্রের কিছু অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই এ-ধারণা ক্রমশ: লুপ্ত হইয়া গিয়াছিল। কোন পদার্থকে চূর্ণ করিতে করিতে এমন এক অবস্থায় উপনীত বর্তমান বর্ষে বিজ্ঞামে নোবেল প্রাইজ פניו* হইতে হয় যখন আর তাহাকে ভাগ করা চলে না। এই ক্ষুদ্রতম অবিভাজ্য কণিকার নামই পরমাণু। কিন্তু সেই অবস্থায়ও তাহার গুণের কোনই পরিবর্তন হয় না । অর্থাৎ সোনা চূর্ণ করিলে সোনাই থাকিয়া যায়, লোহা চূৰ্ণ করিলে লোহাই পাওয়া যায়। অতঃপর বৈজ্ঞানিকেরা পদার্থের উপাদান অবিভাজ্য পরমাণু সম্বন্ধে গবেষণা করিয়া এক নূতন রহস্তের উদঘাটন করিলেন। র্তাহারা দেখিলেন, এই অবিভাজ্য পরমাণু প্রকৃত প্রস্তাবে অবিভাজ্য নহে। প্রত্যেকটি পরমাণু তড়িৎ-প্রভাবান্বিত কতকগুলি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণিকার সমবায়ে গঠিত। ধনতড়িংসম্পন্ন একটি কেন্দ্রীয় পদার্থের চতুর্দিকে ঋণতড়িৎসম্পন্ন কতকগুলি কণিকা ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। সৌরজগতের অনুরূপ স্বক্ষাতিসূক্ষ্ম এই অদৃশ্ব পদার্থই এক একটি পরমাণু। বিভিন্ন মৌলিক পদার্থের এই তড়িতাবেশযুক্ত কণিকার সংখ্যা বিভিন্ন রূপ, এবং দেখা গেল বে মামুষের হাতে এমন কোন ক্ষমতা নাই যাহার সাহায্যে তাহারা পরমাণুর এই কণিকাগুলিকে স্থানচ্যুত করিতে পারে। কিন্তু বৈজ্ঞানিকদের এমনই স্বভাব ষে র্তাহারা কিছুতেই নিশ্চেষ্ট বসিয়া থাকিতে পারেন না । অসম্ভবকে সম্ভব করিবার জন্য র্তাহারা নানা ভাবে চেষ্ট করিতে লাগিলেন । উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকেও বৈজ্ঞানিকদের যখন ধারণা ছিল যে, পরমাণুকে কোন ক্রমেই পরিবর্তিত বা রূপান্তরিত করা সম্ভব নহে, সেই সময়ে একটা বিস্ময়কর আবিষ্কারে তাহাদের এত কালের ধারণাকে ওলটপালট করিয়া দিল । ১৮৯৬ খ্ৰীষ্টাবে ইউরেনিয়ম ও থোরিয়ম নামক দুইটি ভারী পদার্থের স্বতোবিকিরণ-ক্ষমতার বিষয় আবিষ্কারই পদার্থবিজ্ঞানে এক নব যুগ আনয়ন করে । কোন পদার্থের স্বতোবিকিরণ-ক্ষমতা হইতে ইহাই প্রমাণিত হয় যে, সেই পদার্থ ধীরে ধীরে অযু পদার্থে রূপান্তরিত হইতেছে। স্বতোবিকিরণকারী পদার্থের পরমাণুর স্বল্প কণিকাগুলি যথাক্রমে প্রতি মুহূৰ্ত্তে চঞ্চল হইয়া ওঠে এবং ভীমবেগে বিস্ফুরিত হইয়া আল্‌ফ-কণিকা (তড়িতাবিষ্ট হিলিয়ম পরমাণু) অথবা বিটা-কণিকা রূপে (আলো - কণিকার পরিমাণবিশিষ্ট অতি দ্রুতগামী ইলেকট্রন ) দুটির شمالي