চৈত্র ভাবে সূতন রাঞ্জপথ—এই সকলের উপর ঘুরিয়া ক্রমে আঙ্কারার এরোড্রোমে উপস্থিত হইল । 毫 碌 嶺 ১৯২৩ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৯শে অক্টোবর গাজী মুস্তাফ কেমাল র্তাহার নুতন রাষ্ট্রের রাজধানী যখন আস্কারায় স্থাপন করা ঠিক করিলেন তখন এই নগরী সভ্যজগতে অপরিচিত ছিল । ১৯১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে তুর্কদের নূতন সংগঠনে এখানে সম্মেলন হইয়াছিল বটে, কিন্তু জগrআঙ্কার বা “এঙ্গোর।” কেবলমাত্র এক প্রকার অতি মণে দীর্ঘ লোমযুক্ত ছাগলের জন্যই খ্যাত ছিল । অনেক কারণে তখন আম্বারা নূতন জাতি-গঠনের কেন্দ্ররূপে গৃহীত হয়। ইস্তানবুলে অর্থাং তথনকার কনষ্ঠাটিনোপলে সে-সময়ে মিত্রপক্ষের বিজয়ী সেনাদল ও রাজনীতিবিদগণ একটি “খেলার রাজত্ব” হষ্টি করিয়া তাহার রক্ষায় ব্যস্ত, প্রাচীন কালের যত কুসংস্কার, যত প্রগতির পথের বঁটি। তাছার সযত্নে কুড়াইয়া সেখানে একত্র করিতেছিল । পুরাতন শিক্ষাদীক্ষা দানের জন্য আধুনিক জ্ঞানহীন ধৰ্ম্মান্ধ মৌলবীব দল সেখানে দলবদ্ধ, এক কথায় ইস্তানবুল তখন পিছু হঁটিায় ব্যস্ত, ভবিষ্যতের কথা সেখানে বলা অরণ্যে রোদন । অধিকন্তু ইস্তানবুলে প্রতি পদে গ্রীস ও ফ্রান্সের ছাপ দেখা যায়, তুর্ক জাতির শ্লাঘা বা গৌরবের চিহ্ন অতি অল্পষ্ট। নূতন রাষ্ট্রের স্বচন, নূতন জাতি গঠনের পক্ষে যাঙ্গ কিছু প্রতিকূল তাহার সবই সেখানে উপস্থিত। সুতরাং আস্কারাই নুতন রাষ্ট্রকেন্দ্র-রূপে নিৰ্ব্বাচিত হইল। তাহার পর প্রায় বিশ বংসর অতিবাহিত হইয়াছে এবং মুস্তাফ কেমালের ভবিষ্যং দৃষ্টি কিরূপ প্রখর ছিল তাহা পদে পদে প্রমাণিত হইয়াছে । আঙ্কারায় কেন্দ্র স্থাপনের আর একটি কারণ ছিল। আধুনিক জাতীয়তাবাদ তাহার অস্তিত্বের কারণ দশাইবার জন্য ঐতিহাসিক পুরাতত্বের অধ্যায় খুজিয়া প্রমাণ বাহির করে। নব্য তুর্ক জাতিও এই অত্যাধুনিক ন্যায়ের ব্যতিক্রম করে নাই। যেমন ফাৰ্মিষ্ট ইটালী তাহার বহির্জগতে অধিকার স্থাপনের চেষ্টা প্রাচীনতম রোমের ইতিহাস ধারা দ্বারা ন্যায়সঙ্গত বলিয়া দাবী করিতে চাহে, brلا س- 2 م لا l তুরস্কের অভু্যদয় g۹سو؟ তুরস্কের সিবাস অঞ্চল । ভূমিকম্পে এই অঞ্চল বিধ্বস্ত হইয়াছে । সেইরূপে নব্য তুরস্কের এই ইস্তানবুল ছাড়িয়া আঙ্কারায় রাষ্ট্রকেন্দ্র স্থাপন করার ও অতি প্রাচীন নজীর আছে । পাশ্চাত্য সভ্যভার উষাকালে দুইটি প্রবল ও অতিসভ্য জাতির কৃষ্টি বিস্তারের পরিচয়ের সম্প্রতি লুপ্তোদ্ধার হইয়াছে । ইহারা দক্ষিণ-ইরাকের স্বমের জাতি ও আনটোলিয়ার হিটাইট জাতি। ঐ দুই জাতির কথিত ও লিখিত ভাষা আধুনিক তুর্ক ভাষার স্বজাতীয় । আধুনিক ব্যাঙ্ক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতির সৌধমালায় সুসজ্জিত, উদ্যান ও সুবিন্যস্ত পথঘাটে অলঙ্কত এই আঙ্কার ঐ চল্লিশ শতাব্দী পূর্বের হিটাইট জাতীর রাজধানীর ভিত্তিস্থলের উপরেই স্থাপিত হইয়াছে। এই স্থানে একাদিক্রমে হিটাইট, ফ্রিজিয়ান, ক্রুসেডর, সেলজুক, . তাতার ও মুঘল সকলেই নগরী স্থাপন, লুণ্ঠন, ধ্বংস এবং পুনর্গঠন করিয়া গিয়াছে। মুঘল বা মোঙ্গল জাতীর অটোমান তুর্কদের প্রথম স্বলতান এর্টোগ্রলও এখানেই প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন । এখানে শাসনকেন্দ্র স্থাপনের প্রথম ও অতি গুরুতর বাধ, বৃক্ষগুন্মের অভাব । এই শুষ্ক দেশে আদিম অরণ্যের উৎপত্তি ও বিনাশ বহু শতাব্দী পূৰ্ব্বেই হইয়া গিয়াছে, তখনকার মানুষ যাহা কাটিয়াছে তাহার পুনরুজ্জীবনের কোন ব্যযস্থা করে নাই। অরণ্যধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে দেশ বৃষ্টিহীন ও তৃণশপবিরল হইয়া প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হইয়া গিয়াছে । অথচ উদ্ভিদবিহীন, শুষ্কণ্ডুলিবালুবাচী ঝাড়ু বিধ্বস্ত প্রাস্তরে মৃত্তমনগর স্থাপনা প্রায় অসম্ভ স্তু আত্ম-উদ্যমে গুরুত্ৰ
পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৫
অবয়ব