পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] পেত না যদি আমাদের দুৰ্ব্বলতা তাকে আশ্রয় না দিত। পরাভবের সব চেয়ে বড় উপাদান আমর। নিজের ভিতর থেকেই জুগিয়েচি । এই আমাদের আত্মকুত পরাভব থেকে মুক্তি দিলেন মহাত্মাঙ্গী— মযবীর্য্যের অনুভূতির বন্যাধারা ভারতবর্ষে তিনি প্রবাহিত করলেন । এখন শাসনকৰ্ত্তার উদ্যত হয়েচেন আমাদের সঙ্গে রফা নিম্পত্তি করতে, কেন-না তাদের পরশাসনতন্ত্রের গভীরতর ভিত্তি টলেচে, ষে-ভিত্তি আমাদের বীর্য্যহীনতায় । আমরা অনায়াসে আজ জগৎসমাজে আমাদের স্থান দাবি করচি । তাই আজ আমাদের জানতে হবে, যে-মাতুস বিলেতে গিয়ে রাউণ্ড টেবল কনফারেন্সে তর্কযুদ্ধে যোগ দিয়েচেন, যিনি খদ্দর চরক প্রচার করেন, যিনি প্রচলিত চিকিৎসাশাস্ত্রে, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিতে বিশ্বাস করেন বা করেন না—এই সব মতামত ও কৰ্ম্ম প্রণালীর মধ্যেই যেন এই মঙ্গপুরুষকে সীমাবদ্ধ ক'রে না দেখি । সাময়িক যে-সব ব্যাপারে তিনি জড়িত তাতে তার ক্রটিও ঘটতে পারে ; তা নিয়ে তর্কও চলতে পারে—কিন্তু এহ বাহ । তিনি নিজে বারংবার স্বীকার করেচেন তীর ভ্রান্তি হয়েচে, কালের পরিবর্তনে তাকে মত বদলাতে হয়েচে । কিন্তু এই যে অবিচলিত নিষ্ঠ যা তার সমস্ত জীবনকে অচলপ্রতিষ্ঠ ক'রে তুলেচে, এই যে অপরাঞ্জেয় সঙ্কল্পশক্তি - এ তার সহজাত, কর্ণের সহজাত কবচের মত, এই শক্তির প্রকাশ মানুষের ইতিহাসে চিরস্থায়ী সম্পদ। প্রয়োজনের সংসারে নিত্যপরিবর্তনের ধারা ব’য়ে চলেচে, কিন্তু সকল প্রয়োজনকে অতিক্রম ক’রে যে মহাজীবনের মহিমা আজ আমাদের কাছে উদঘাটিত হ’ল তাকেই যেন আমরা শ্রদ্ধা করতে শিথি । মহাত্মাঙ্গীর জীবনের এই তেজ আজি সমগ্রদেশে সঞ্চারিত হয়েচে, আমাদের মানভা মার্জন ক’রে দিচ্চে । তার এই তেজোদীপ্ত সাধকের মূৰ্ত্তিই মহাকালের আসনকে অধিকার ক’রে আছেন । বাধা বিপত্তিকে তিনি মানেন নি, নিজের ভ্রমে তাকে থৰ্ব্ব করে নি, সাময়িক উত্তেজনার ভিতরে থেকেও তার উর্কে তার মন অপ্ৰমত্ত। এই বিপুল চরিত্ৰশক্তির মহাত্মা গান্ধী ১৬৭ AMMMMAAA SAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASA SAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAASA SAASAASS A AAAAA AAAA MMAAAA यांथांब्र शिनि उँft:कझे श्रांछ ऊँीव्र छद्मभिटम यांभब्र নমস্কার করি । পরিশেষে আমার বলবার কথা এই যে, পূৰ্ব্বপুরুষের পুনরাবৃত্তি করা মনুষ্যধৰ্ম্ম নয়। জীবজন্তু তাদের জীর্ণ অভ্যাসের বাসাকে অঁাকড়ে ধরে থাকে, মানুষ যুগে যুগে নব নব হৃষ্টিতে আত্মপ্রকাশ করে, পুরাতন সংস্কারে কোনোদিন তাকে বেঁধে রাখতে পারে না । মহাত্মাজী ভারতবর্ষের বহুযুগব্যাপী অন্ধুতা, মূঢ় আচারের বিরুদ্ধে যে-বিদ্রোক একদিক থেকে জাগিয়ে তুলেচেন আমাদের সাধনা হোক সকল দিক থেকেই তাকে প্রবল ক’রে তোলা । জাভিভেদ, ধৰ্ম্মবিরোধ, মৃঢ় সংস্কারের স্বাবৰ্ত্তে যতদিন আমরা চালিত হ’তে থাকব ততদিন কার সাধ্য আমাদের মুক্তি দেয় । কেবল ভোটের সংখ্যা এবং পরম্পরের স্বত্বের চুলচেরা হিসাব গণনা ক’রে কোনো জাত দুৰ্গতি থেকে উদ্ধার পায় না । যে-জাভির সামাজিক ভিত্তি বাধায় বিরোধে শতছিদ্র হয়ে আছে, যারা পঞ্জিকায় ঝুড়ি ঝুড়ি আবর্জনা বহন ক’রে বেড়ায়, বিচারশক্তিহীন মূঢ় চিত্তে বিশেষ ক্ষণের বিশেষ জলে । পুরুষানুক্রমিক পাপক্ষালন করতে ছোটে, যারা আত্মবুদ্ধি, আত্মশক্তির অবমাননাকে আপ্তবাক্যের নাম দিয়ে আদরে পোষণ করচে তারা কখনও এমন সাধনাকে স্থায়ী ৪ গভীর ভাবে বহন করতে পারে না যে-সাধনায় অস্তরে বাহিরে পরদাসত্বের বন্ধন ছেদন করতে পারে, যার দ্বার স্বাধীনতার দুরূহ দায়িত্বকে সকল শত্রুর হাত থেকে দৃঢ় শক্তিতে রক্ষা করতে পারে । মনে রাখা চাই বাহিরের শত্রুর সঙ্গে সংগ্রাম করতে তেমন বীয্যের দরকার হয় না, আপন অন্তরের শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করাতেই মনুষ্যত্বের চরম পরীক্ষণ। আজ র্যাকে আমরা শ্রদ্ধ করচি এই পরীক্ষায় ডিনি জয়ী হয়েচেন, তার কাছ থেকে সেই জ্বরূহ সংগ্রামে জয়ী হবার সাধনা যদি দেশ গ্রহণ না করে তবে আঞ্জ আমাদের প্রশংসাবাক্য, উৎসবের আয়োজন সম্পূর্ণই ব্যর্থ হবে । আমাদের সাধনা আজ আরম্ভ হ'ল মাত্র, দুৰ্গম পথ আমাদের সাম্নে পড়ে রয়েচে । শান্তিনিকেতন seढ़े चात्रिन, २७७४