পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৮ AA SAT MA AMAMAMAM MM SAAA MMAAA S TA AMS MA AAAA AAAA AAAA SAS SSAS SSAS SSAAAA AAAAMAMMM AMAAA AAAA SAS A SAS A SAS AAA AAAA AAAA AAAASAAAS ংস ব্যাপার দর্শনে পুণ্ডরীকের হস্ত হইতে কুঠার জ্বলিত হইয়া পড়িয়াছে—সে বেতলপত্রের মত কঁাপিতেছে। শকীলক কুঠার কুড়াইয়া লইলেন এবং পুত্রের হাত ধরিয়া যন্ত্রচালিতের মত তাহাকে লইয়া গৃহাভিমুখে প্রস্থান করিলেন। গৃহে উপস্থিত হইয়া পুত্রকে তাহার নিজ ঘরে বসাইয়া বহিদেশি হইতে অর্গলবদ্ধ করিয়া দিলেন । কিছুক্ষণ একাকী গৃহমধ্যে অবস্থান করিবার পর পুণ্ডরীক প্রকৃতিস্থ হইল। তখন স্বশায়, রোবে, ক্ষোভে তাহার মন মথিত হইতে লাগিল । মুহুর্ভের জন্ত আর সে এরূপ পিতার গৃহে অবস্থান করিবে না। দারুণ উদ্বেগে অবশিষ্ট রাত্রি কাটাইয়া প্রত্যুষে তাহার নিদ্ৰাকর্ষণ হইল । ঘুম ভাঙিলে দেখিল—মুক্ত দ্বারপথ দিয়া প্রভাত স্বধ্যকিরণ গৃহে আসিয়া পড়িয়াছে, এবং গৃহমধ্যে প্রশাস্ত সৌম্যমূৰ্ত্তি তাহার পিতা চিরপরিচিত বেশে দাড়াইয়া আছেন। রাত্রের সমস্ত ঘটনা দুঃস্বপ্ন বলিয়া মনে হইল । কিন্তু পরক্ষণে নিজের কেীপীন ও ভৈলাক্ত শরীরের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া তাহার সে ভুল ভাঙিয়া গেল। পিতা কহিলেন,—“বৎস! বৃথা উতলা হইও না। এমন কিছুই ঘটে নাই, ষাহা তোমার মনোকষ্টের কারণ হইতে পারে।” পুণ্ডরীক বলিল,—“গতরাত্রে যাহা প্রত্যক্ষ করিয়াছি তাহাতে আর মুহূৰ্ত্তকালও এ গৃহে অবস্থান করিবার ইচ্ছা নাই । আমি এই দণ্ডে গৃহত্যাগ করিব, আপনি পথ ছাড়িয়া দিন । পিতা বলিলেন,—“অনাহারে, অনিদ্রায় ও দুশ্চিন্তায় তোমার মন প্রকৃতিস্থ নাই ; তুমি স্বানাহার করিয়া কিছুক্ষণ বিশ্রাম কর, পরে তোমাকে আমাদের বংশ-গত কৌলিক দীক্ষার বিবরণ বলিব । সমস্ত শুনিয়া তখন যদি গৃহত্যাগ করিতে ইচ্ছা হয় করিও, আমি তাহাতে বাধা দিব না। কিন্তু এখন তুমি কোথাও যাইতে পাইবে না।” পুওরীক বুঝিল পিতার অমতে তাহার গৃহ হইতে বাহির হওয়া অসম্ভব । প্রয়োজন বুঝিলে তিনি বলপ্রয়োগেও দ্বিধাবোধ করিবেন না। অগত্য নিতান্ত অনিচ্ছা সত্বেও পুণ্ডরীককে স্বানাহার সারিয়া বিশ্রাম করিতে হইল । দ্বিপ্রহরে শীলক আসিলেন । বলিলেন,—“ষাহ বলি, অবহিতচিত্তে শ্রবণ কর। তোমার কিছু প্রশ্ন [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড থাকিলে পরে করিও ।” শববীলক বলিতে লাগিলেন,— “আমাদের বংশ অতি প্রাচীন। পাণ্ডবের রাজত্বকাল হইতে অদ্যাবধি আমাদের বংশে একই কৌলিক প্রথা চলিয়া আসিতেছে । পুত্র ষোড়শ বর্ষে উপনীত হইলে পিতা তাহাকে সৰ্ব্বশাস্ত্রে শিক্ষিত্ত করিয়া, কৌলিক প্রথায় দীক্ষিত করিবেন। আমিও ষোড়শ বর্ষে আমার পিতার নিকট হইতে দীক্ষা পাইয়াছি এবং আশা করি তুমিও পুত্ৰলাভ করিয়া তাহাকে ষোড়শ বর্ষ বয়সে এই সনাতন কুলপ্রথায় দীক্ষিত করিয়া বংশের কৌলিক আচার অক্ষুণ্ণ রাথিৰে । আমার যে এই অতুল ঐশ্বধ্য দেখিতেছ, তাহার অধিকাংশই পরের নিকট হইতে বাহুবলে অজিত । আমি দিবাভাগে লোকধৰ্ম্ম পালন করি, অনাথ আতুর দুঃস্থ অভাবগ্রস্ত লোকের প্রার্থনা পূর্ণ করি, এবং রায়ে কৌলিক আচার পালন করিয়া অর্থোপার্জন করি । এই কৌলিক আচার পালনে আমাকে কোনও প্রকার অধৰ্ম্ম স্পর্শ করে না। আমি বুঝিতেছি তোমার মনে কি চিন্ত উদিত হইতেছে । তুমি তোমার পিতাকে ভণ্ড, পরস্বাপহারক ও নরহস্তা বলিয়া মনে করিজেছ । ভাবিতেছ, এরূপ পিতার আশ্রয়ে বাস ও অল্পগ্রহণ মহাপাপ । ইহা অপেক্ষা ভিক্ষান্নভোজন অথবা মুতু্যও বাঞ্ছনীয় । তোমার মনে দুঃখ ক্ষোভ ও নানাবিধ ব্যামোহ আসিয়া চিত্তবিভ্রম ঘটাইতেছে । তোমার শরীর মন প্রকৃতিস্থ নাই। তুমি ভীক্ষধী। স্থিরভাবে সমস্ত কথা বিচার করিলে দেখিতে পাইবে, বাস্তবিকপক্ষে তোমার মনক্ষোভের কোনই কারণ নাই। তুমি গীতাশাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছ ও তাহার মর্শ্ব উপলব্ধি করিয়াছ। অর্জুনেরও যুদ্ধকালে ঠিক এইরূপ চিত্তবিকার দেখা দিয়াছিল । আমি নিজকর্শ্বের জন্য তোমাকে কোনরূপ মনগড়া কারণ দেখাইয়া দোষক্ষালনের চেষ্টা করিব না । সৰ্ব্বলোকমান্ত গীতাশাস্ত্রের উপদেশমাত্র তোমাকে স্বরণ করাইয়া দিব ; তুমি নানাশাস্ত্রে ব্যুৎপত্তিলাভ করিয়াছ—সহজেই গীতার উপদেশের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করিতে পারিবে। তুমি মোহবশে অর্জুনের মত কষ্ট পাইতেছ। প্রকৃষ্ণ যখন অৰ্জুনকে কুরুসৈন্তের সম্মুখীন করিলেন, তখন