পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮২ জীবনরক্ষার যুক্ত প্রয়াস। তাই মনে হয়, ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধৰ্ম্ম প্রাণ পল্লী"ঞ্চraয়ড়ের মধ্যে এই ধশ্বাস্থগত স্বজনমুখী রাষ্ট্রসাধন খুবই স্বসঙ্গতি লাভ করিতে পারে । আগে ভারতের জনগণের মধ্যে স্বাবলম্বন ছিল, সহযোগও ছিল, ছিল না কেবল সংঘবদ্ধ প্রতিরোধচেষ্ট । এই জন্যই অভিজাত শ্রেণীর দুই চারিঞ্জন ধুবদ্ধর ব্যক্তি কালে কালে জাতির ভাগ্য লইয়া অবাধে “:ছ নামনি" গেলিতে পারিয়াছে । পfরণ্যমে যাহা ঘটিয়াছে, এখানে তাহার পুনরুক্তি নিম্প্রয়োজন । মানবসভ্যতায় আধুনিক জগতের নূতন উপহার এই বুহিবদ্ধ নিরুপত্ৰৰ গণ আন্দোলন। আজ ইহা মুখ্যতঃ রাষ্ট্র অধিকার লাভের উপায় স্বরূপে লোকসমাজে প্রতিষ্ঠা পাইয়াছে, বিশেষ দেশকালের বিশেষ প্রয়োজন সাধনায় ইহা খণ্ডৰূপ ধারণ করিয়াছে ; কিন্তু ইহার ধে ঐ মূল ভাবরূপ, উহা সৰ্ব্বকালের সাৰ্ব্বজনীন সত্য। ঐ বুহেবদ্ধ আন্দোলনের ভাবে বিচিত্র শক্তিকেন্দ্র পল্লী - ধ্বাস্থেংকে ঢালিয়া গড়িয়া উহাকে বাস্তবের নন। বিরুদ্ধ সমস্তার সংঘাতমুখে অটল প্রতিষ্ঠা দান করা আজ বিশ্বfইত্তের অনুজ্ঞম সাধন অঙ্গ । এভfদনের কাজ ছিল, অপরিণত শক্তিকে সীমাবদ্ধ করিয়া এক একটি বিশিষ্ট পল্লীকেঞ্জে সমবায় যোগে স্থষ্টি । এখনকার কাজ হইবে, সেই স্বষ্টির উপরেও পরিণত অভিজ্ঞতার প্রসারে গুায্য অধিকার-আচরণের জগু বিরাট জনসংঘের সহযুক্ত অভিযান চালনা । ইহার জন্য একদিকে লোকশিক্ষা, অন্যদিকে লোকমত সংগঠন, এই দুই বিভিন্ন রকম সংহত ও ব্যাপক কশোর যে আয়োজন আবগুক, তাহাও মোটামুটি এখানে আলোচনা করা হইতেছে । छूझे স্থানীয় অবস্থা বিশেষরূপ অমুধাবন করিয়া পল্লীর হিতসাধনে পল্লীবাসীর বিবেক ও উদ্যম জাগান— এক কথায় পল্পীপঞ্চায়েৎ সংগঠনই পল্লীসেবকদিগের মুখ্য কাজ। পল্লীবাসীর প্রত্যেকের স্বার্থ যে সকলের স্বার্থে জড়িত, সকলের কল্যাণেই যে প্রত্যেকের কল্যাণ প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৮ [ ०s* छां★, २ग्न थ७ নিহিত, সকলের বরই যে প্রত্যেকের বল, সকলের মধ্যে যে বৃহৎ একই প্ৰf৯ষ্ঠিত—এই মহৎ জ্ঞানই পল্লীপঞ্চায়েডের প্ৰাণ ৷ পল্লীতে এমন কতকগুলি কৰ্ম্মাহুষ্ঠান চাই, যেখানে মিলিত হইয়া প্রভোকে তাহার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞ স্থা হতে সেই জ্ঞানকে সত্য বলিয়া উপলব্ধি করতে পারে । এই-সব অঙ্গুষ্ঠান দেহস্বরূপ হইয়া পল্পীপ্রাণকে বাচাইয়া রাগে ও প্রসারিত করে । জীবনধাত্রার উল্লভ প্রণালী উদ্ভাবনের জন্য প্রধান কেন্দ্রে কুষি, গোণালী, কারুকৰ্ম্মশাল, পল্পীপোষণাগার, ধৰ্ম্মগোলা, শিক্ষাসত্র, ব্রভৗদল, স্বাস্থ্যসদন প্রভূতি অম্লান থাকিবে । আসল উদ্দেশ্য সংঘস্থষ্টি রাখিয়া ধৰ্ম্ম, অর্থ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য । জীবনের এই মুখ্য চারি অঙ্গের স্নগঠন উপলক্ষ্যে শাপাকেন্দ্রের কম্মিগণ পল্লীবাসীদের হাতে সেখানকার উদ্ভাবিত স্বফলপ্রদ সাধনাগুলি ধরাইয়। দিবেন। পল্লীতে এইরূপ প্রবর্তনের কাজ বহু থাকিলেও সৰ্ব্বত্র সকল কাজের সম্ভাবন সমান থাকে না । কিন্তু একটি কাজ সৰ্ব্বত্রই করণীয়। সেটি পল্লীপরীক্ষণ ব! পল্লীতথ্য সংগ্ৰহ । গ্রামে কাজ আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে, ন। হয় সঙ্গে সঙ্গে, ভারপ্রাপ্ত কৰ্ম্মী সেখানকার স্থান স্থিতি লোকসংখ্যা, জীবক, ধৰ্ম্ম, শিক্ষা, সমাজ, কুধি, শিল্প, পশু, পক্ষী, উদ্ভিদভথ্য ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় পুঙ্খান্থপুঙ্খরুপে জানিবেন এবং একখানি পুস্তিকায় তাহ। লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিবেন । গ্রামের অবস্থানুসারে ব্যবস্থাকাব্যে পরে সেই পুস্তিকা কাজে লাগিবে। কিছু অর্থই যেখানে ঈ পাত বেশী, সেখানে কৃষি, সঞ্জীধাগান, মৎসাচাষ, গোপালন, তাত-চরথা ও স্থানীয় অন্যান্স ফুটারশিল্প প্ৰবৰ্ত্তনের সঙ্গে সঙ্গে সমবায়-প্রণালীতে যৌথ কারবার খুগিয়া আর্থিক আয়ুবুদ্ধির স্বত্রে সকলকে এক করিবার শ্রেধঃপথ হইবে ধৰ্ম্মগোলা ও সমবায় ভাণ্ডার । যেখানে শিক্ষায় লোক অকুরাগী, সেখানে বিভালয়, পাঠাগার, পুখকপুস্তিক, সাময়িকপত্র, বক্তৃত৷ মিলাইতে হইবে ।