পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ২।৬৬ চিত্ত প্রসন্ন না হইলে স্থিতপ্রজ্ঞ হওয়ার আশ। दूषी । “অযুক্ত ব্যক্তির বুদ্ধি নাই ও ভাবনা নাই, ভাবনার অভাবে শান্তি নাই । অশাস্তুের স্থখ কোথা ।” “অযুক্ত’ অর্থে যে যোগ প্রাপ্ত হয় নাই, অর্থাৎ যে কৰ্ম্মের কৌশল জানে না, অর্থাৎ যে রাগদ্বেষবিমুক্ত হয় নাই । ভাবনা অর্থে তৃপ্তি ( রাজশেখর বস্থ) বা কোন বিষয়ে অভিনিবেশ { শঙ্কর ) । যাহার ক্ষুধার জালা প্রবল, তাহার পক্ষে - চিত্তের প্রসন্নতা ও বুদ্ধি স্থির করা অসম্ভব। এজন্যই ধাতুর প্রসন্নতার কথা বলা হইয়াছে। “গীতাকার ইঞ্জিয় নিরোধ করিতে বলেন না, সংযত ইন্দ্রিয় দ্বারা ভোগ করিতে বলেন,—তাহাতেই চিত্তপ্ৰসাদে উৎপন্ন হয়। ‘ভাবনার" অর্থ তৃপ্তি করা হুষ্টয়াছে, কারণ ৩১১-১২ শ্লোকে "ভাবয়ুত’, ‘ভাবিত’ শব্দও তৃপ্তি অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে" ( রাজশেখর ) । ৩১১-১২ শ্লোকে ভাবনার অর্থ শঙ্কবও তৃপ্তিই করিয়াছেন । ২৬৭ ইন্দ্ৰিয়ের সহিত বিষয়ের সংযোগ হইলে যাহার মন তাহার পশ্চাৎ দৌড়িতে চাহে, তাহার প্রজ্ঞা বা বুদ্ধি বায়ুচালিত নৌকার স্তায় ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হয়। ২৬৮ সেজন্ত হে মহাবাহো অৰ্জ্জুন, যাহার ইন্দ্রিয়গ্রাম তত্তং বিষয় হইতে নিগৃহীত বা সংহরিত হইয়াছে তাহারই প্রজ্ঞা বা বুদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বুঝিতে হুইষে । Տլ Կs 3 ՓեI লোকের यांश ब्रॉबि ངས་ཙཱ་༨ সাধারণ লোকের পক্ষে যাহা অন্ধকার, তাহাতে সংযমী ( অর্থাৎ যিনি ইন্দ্রিয়গণকে নিজ অধীনে রাখিয়াছেন ) জাগুত থাকেন । সংঘমীর আত্মদর্শন হয়, কিন্তু আত্মা সাধারণের কাছে অন্ধকারে নিহিত । সাধারণের যাহাতে জাগরণ, অর্থাৎ বহির্বিষয়ে সাধারণের যে প্রবৃত্তি, মুনি অর্থাৎ নাপ্তি বুদ্ধিরযুক্তস্ত নচাযুক্তস্ত ভাবনা। ম চাগষয়তঃ শান্তিরশান্তত কুতঃ স্থথল ॥ ৬৬ ইঞ্জিয়াণাং হি চরতাং যম্মনোহজুবিধীয়তে । लक्छ इब्रछि ●ळां२ बाबूनTबबिबाखनि ॥ ७१ उच्चार् क्छ महावाप्शनिश्रुशेखानि गर्रन । हछिब्बाणैविाब्रांप्रीणछछ ●थळा यडिडैिड11 ev গীত ৪৭৯ স্থিতপ্রজ্ঞের নিকট তাহ অন্ধকাল্পময় । তিনি সেদিকে अङ्किप्टे झन् न । ২-৭০ প্রবাদ আছে, সমুদ্র নিজ বেলাভূমি অতিক্রম করেন না । “সমুদ্রে শত শত নদী প্রবেশ করিলেও যেমন সমুদ্র অচল প্রতিষ্ঠ থাকে অর্থাৎ উপচাইয় উঠে }, সেইরূপ সমস্ত কাম অর্থাৎ ভোগবস্ব অর্থাৎ ভজনিত প্ৰত্যয় যে-ব্যক্তির মধ্যে প্রবেশ করিয়া তাহার মনকে উদ্বেলিত করে না, সেই শাস্তি পায় । যাহার মন কামকামী, অর্থাৎ বিষয়া9ভূতি হলে তং প্রতি কামনাযুক্ত হইয়া ধাবিত হয়, অৰ্থাং বিষয়ভোগ ইচ্ছাজনিত বিক্ষোভ যাহার মনে উপস্থিম্ভ হয়, সে শান্তি পায় না ।” এই শ্লোকে প্রথমে “কাম’ ও পরে ‘প্ত মকামী’ শব্দ আছে।. শঙ্কর প্রথম "কাম" শব্দের অর্থ করেন "বিষয় সন্নিধানে সকল প্রকারে তাহার ভোগের জল্প ইচ্ছা’ ও দ্বিতীয় "কাম" শব্দের অর্থ করেন ‘কামনার বিষয়ীভূত বস্তু ; সেই কামকে যে কামনা করে সে কামকামী’। শঙ্কর মতে প্রথম কাম শস্বের অর্থ হইল “ইচ্ছা", ও দ্বিভীয় কাম শব্দের অর্থ হুইল "বস্তু" । আমার মতে উভয় কাম শব্দের একই অর্থ ধরিতে হইবে। এখানে কাম শব্দে “ইচ্ছা’ না বুঝাইয়া ‘কামনার বিষয়ীভূত বস্তু এবং তৎসন্নিধানে সেই বিষয়ঞ্জনিত প্রভায় বা বস্তুবোধ’ উদ্ধিষ্ট হইয়াছে। এই বিশেষ অর্থ পরিস্ফুট করিবার জন্তুষ্ট শেষ পদে ‘কামকামী’ শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। উপমার বিশিষ্টতা আলোচনা করিলেও ७३ चर्थ हे नक्रड cयथा षाडेरब । दक्ष्विञ्च यउrग्रहे, সমুদ্রে নদীজলের ন্যার, বাহির হইতে ক্রমাগত মনের ভিতরে প্রবেশ করে । ইচ্ছা বাহির হক্টতে আসে না । তাহা মনে উৎপন্ন হইয়া মনকে উদ্বেলিত করির বহিমুখ হয় অর্থাৎ বহিবিবয়ের প্রভি ধাবিত হয়। পূবের শ্লোকসমূহের অর্থ বিচার করিলেও এই সিদ্ধান্তই আসিবে। • ব। নিশা সৰ্ব্বভূতানাং ওস্তাং জাগৰ্বি সংযমী। বস্তাং জাপ্রতি ভূতানি সমিশ পশুতো মুনেঃ ॥৬৯ আপুধামাণমচল প্রতিষ্ঠং সমুদ্রমাপঃ প্রবিশন্তি বৰং । ভম্বৎ কামা ৰং প্রৰিশক্তি সৰ্ব্বে স শাভিমাপ্নোতি ন কামকামী ॥ ৭০