পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] 한8) ফতে সাগর, যোধপুর পদ্মকুঁড়ির মত দুইটি শস্থ এবং বেদীতে কাধ দিয়া দুট বামন, তাহাদের পেট খুব মোটা এবং মুণ কীৰ্ত্তমুখের মত। প্রাচীনতম মন্দিরের মেঝে অনেক ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় লতা অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে, তবু বোঝা যায়। বোধ হয় চতুর্থ মন্দিরটির পিছনে অতি স্বল্প জালিকাজ করা রাজপুত ঝরোক দেওয়া একটি মন্দিরের (?) মাথায় আধুনিক ধরণের মুসলমানী গম্বুজ। ইহার দরজায় চাবি বদ্ধ। কোনো যোধপুর-দুহিত মোগল অন্তঃপুর হইতে এইখানে পূজা দিতে আসিতেন কি না কে জানে ? মন্দিরের পিছনে অনেক দূরে অতিথিশালা সম্ভবতঃ ছিল। বাধানো পথ ও ধ্বংসস্তপ দেখিয় তাহাই মনে হয়। প্রাচীন মরুধরাধিপতিরা ইহাকে অতি যত্নে রক্ষা করিতেন, চারিদিকের বিস্তৃত প্রাঙ্গণ ও চওড়া গভীর পরিখা দেখিয়া মনে হয়। পরিখার এক এক জায়গায় অল্প জল আছে । প্রাঙ্গণের বাহিরে স্বরক্ষিত বাগান ও কতকগুলি আধুনিক অপটু হন্তের বৃহৎ চিত্রাদি আছে। চুনের দেওয়ালের গায়ে রং দিয়া রাজাদের মূৰ্ত্তি জাক । এই বাগানে কয়েকটি বাঙালী মেয়ে বিলাতী রেশমের কাপড়জামা পরিয়া বেড়াইতে আসিয়াছিলেন। দেশী রং এবং ছিট যে এই সব পোষাকের কাছে সৌন্দৰ্য্য ও স্বযমায় কত উচুদরের, বাংলাদেশে আমরা তাহ ঠিক বুঝিতে পারিঃ না। রাজপুতানায় চব্বিশ ঘণ্টা কাটাইলেই রঙের দৃষ্টি বদলাইয়া যায়। তাই এই সব দেখিয়া নিজেদের নিৰ্ব্ব দ্বিত বুঝিতে পারি। মান্দোর হইতে ধাওয়া ও আসার পথে পাহাড়ের উপর কেল্ল, রাজপ্রাসাদ, নূতন বাংলা, মন্দির ইত্যাদি অনেক দূর পর্য্যন্ত দেখা যায়। বাড়িগুলি যেন পাহাড়েরই গ হইতে আপনা আপনি ফুটয় উঠিয়াছে। তাহদের রং পাহাড়েরই মত লাল, গঠন ভারী ভারী, পাহাড়ের গায়ে ঠিক মানায়, কোনপানটা পাহাড় কাটিয়া বাহির করা জার কোনটা গাথিয় তোলা একদৃষ্টিতে ধরা যায় না। পাহাড়ের গা দিয়া লাল পথ বাকিয়া বাকিয়া বহু দূর চলিয়া গিয়াছে ; প্রাসাদশ্রেণীর প্রাচীরবেষ্টনী অনেকখানি বিস্তৃত। আকাশের পটে এই রক্তাভ নগরীর ছবি বড় হুন্দর দেখায়। ঘরবাড়ি যেখানে শেষ হইয়াছে তাহার পরও কতদূর পর্যন্ত পাথর কাটার চিহ্ন। যে-সব পাহাড়ের গ৷ হইতে চারিদিক দিয়া পাথর কাটিয়া লইয়াছে, ক্রমাগত বাটালির ঘায়ে তাহা আপনি মন্দিরাকৃতি হইয়া গিয়াছে। এইজভ