পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ8 প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড নগরের স্তিমিত দীপ্তি চোখটিও লাল হইয়া উঠিবে न-कि ? বারো মাইল দূরে মালির ষ্টেশনে যখন দেশবরেণ্য নেতা অবতরণ করিলেন তখন নওজোয়ানের দল তাহাকে কালো কুলে সম্বৰ্দ্ধনা করিয়াছে, ধিক্কারে অভিনন্দিত করিয়াছে ; আর একটুকু হইলে তাহারা অভিনন্দনের চিহ্ন তাহার গায়ে রাখিয়া দিত। তাহারা অপর একজন সন্ধিপ্রার্থী নেতার গাড়ীর কাচ চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া ও সভাক্ষেত্রে তাহাকে চীৎকারে বসাইয়া দিয়৷ নওজোয়ানের হাওয়া কোন দিকে বহিতেছে তাহ জানাইয়াছে। লাল ঝাণ্ডার তলে নওজোয়ানের मृउl বসিল । অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি স্বামী গোবিন্দানন্দ । কোমাগাতা মারুর সঙ্গে তাহার নাম বিজড়িত । এই লালে-লাল আকাশের তলে র্তাহার কথায় একটু রক্ত-রাগ থাকিবারই কথা । তিনি কহিলেন,— ভগৎ সিংহের ফাসীর পরে ভারতবর্ষের নওজোয়ান আর ইংরেজের সঙ্গে কোনও রফা নিম্পত্তিতেই রাজী হইতে পারে না। তাহারা চায় জনগণের শাসন । ভারতীয় পরিচ্ছদে তাহার রুশের সাম্যবাদকে বরণ করিতে চাহে-সেই সাম্যতান্ত্রিক পূর্ণ चाशैौनरूीब्र बछड़े मूबरुमण ai१ निष्व। शाकौ-चाक्हेन् চুক্তিপত্র যৌবনের ধৰ্ম্মের বিরোধী । এই-সব ধনিক্‌ ও ब्राछनौडिकदमब्र डफ़ाश्बा मिश्र, cश् नecछाब्रान् ! তোমরা কুষাণ ও মজুর শক্তিকে সংগঠন কর । "প্রমুখ’ ঐযুক্ত স্থভাষচন্দ্র বস্ব বয়সে প্রবীণ ন'ন ; “তরুণের স্বপ্ন’ ও ‘নূতনের সন্ধান তাহার জীবনের সাধনা । দেশের রাষ্ট্রনীতিক মঞ্চে তাহার আবির্ভাব এ পধ্যস্ত ঝড়ো পার্থীর মত ঝড়ের সুচনা করিয়াছে। ভারতবর্ষের এক বৎসরের বিক্ষুব্ধ বটিকা যখন শান্তভাৰ ধারণ করিতেছে, তখন পশ্চিমাঞ্চলের নওজোয়ানগণ তাহাকেই তাহদের প্রমুখ নির্বাচিত করিয়া নূতন ঝড়ের অগ্রদূত করিতে চাহিতেছে। স্বভাষচন্দ্রের বাণী কিন্তু সোজা সেই আসন্ন ঝটিকার বন্দনাগীতি হইল न-ड़िनि उक्tर्षब्र वध्र बिबूठ कब्रिtणन,-नetजांबांप्नब्र কাজ আর্থিক ও সামাজিক নূতন বিন্যাস-ঘাঁহাতে মাহুষের প্রভূততম স্থখ, পূর্ণতর মন্থন্যত্ব বিকাশের সম্ভাবনা তেমনিতর সমুহতান্ত্রিক (collective) ব্যবস্থাকে কার্ধ্যে পরিণত করা। এই আনকোরা নূতন সমূহভান্ত্রিক জীবন ধৰ্ম্মের গোড়াকার মন্ত্র—স্বভাষচন্দ্রের মতে—কিন্তু অনেক পুরাতন—সেই স্ববিচার, সাম্য, স্বাধীনতা,স্বশুঙ্খলা ও মৈত্রী। “আমার বক্তব্য স্বল্পকথায় এই যে, আমি চাই ভারতবর্ষে এক সাম্যবাদী (সোশ্র্যালিষ্টিক ) সাধারণতন্ত্র । আমার বাণী পূর্ণ, ব্যাপক, নির্জলা স্বাধীনতা, —যতদিন অগ্রগামী বা বিপ্লবমুখীন শক্তি উদ্বুদ্ধ না-হয় ততদিন সে-স্বাধীনতা লাভ করা যাইবে না, আর সেই বিপ্লবী শক্তিকেও জাগানো সম্ভব নয়, যতক্ষণ পৰ্য্যস্ত . না এমন এক মন্ত্রে তাহাকে অকুপ্রাণিত করিতে পারি, যে-মন্ত্র মানুষের অস্তুর মথিত করিয়া উখিত হয় ও মাহুষের অন্তরকে মথিত করিয়া দেয়।” কংগ্রেসের কাৰ্য্যস্বচী আজও সেই মন্ত্রকে বরণ করে নাই—বিপ্লবী শক্তিকে কংগ্রেস চেতন করিতে চাহে না। উহা চাহে ধনিকে শ্রমিকে, জমিদার রায়তে, উচ্চে-নীচে কোনও রকম একটা জোড়াতালি দেওয়া বন্দোবস্ত । তাই, স্বাধীনতা ঐ নীতিতে লাভ করা যাইবে না। স্বাধীনতা আয়ত্ত করিতে হইলে স্বভাষচন্দ্রের মতে নিম্নরূপ কাধ্যক্রম গ্রহণ করা আবগুক — (১) সমাজতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করিয়া কুষাণ ও মজুরের সংগঠন ; (২) কড়া শৃঙ্খলায় দেশের যুবক-শক্তিকে স্বেচ্ছাসৈনিক বাহিনীতে নিয়ন্ত্ৰণ ; (৩) ‘জাত পাত ভোড়ন ও সমস্ত সামাজিক কুসংস্কারের মূলোচ্ছেদ ; (৪) নারী সমিতি সংগঠন ও এই নূতন মন্ত্র ও নূতন সাধনায় তাহাদের দীক্ষিত করা ; (e) ব্রিটিশ পণ্যদ্রব্য বয়কটের আন্দোলন জোর চালানো ; 輸 (৬) পল্লীতে পল্লীতে এই নূতন পথ ও নূতন দলের প্রচারকার্ষ্য চালানো ;