পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ]


-

SAAAAAA SAAAAMAMAM MMAAASAAASAAA SS AASAA S مهاجعهحجمعیت গিয়েছিল হারিয়ে। বঁ হাতের মুঠোর মধ্যে র্কাচের পুতুলটি সে বুকের কাছে চেপে ধরেছিল। হয়ত ভাবছিল, চুরির জিনিষ ফিরিয়ে দেবার লজ্জা সে কেমন ক’রে সাম্লাবে! ছেলেটি আবার মুখ ফিরোল। এত বড় অবজ্ঞা সয়েও যে এমন ক’রে বসে থাকৃতে পারে তার প্রতি কেমন যেন একটু মায়া হ’ল। দু জনেই প্রায় সমবয়সী । একজনের কাছে এই বিশাল পৃথিবী শুধুই রূপকের কল্পলোক, আনন্দের অরণ্য, স্বপনের অমরাবতী ; আর একজন ধূলিকণ্টকাকীর্ণ রূঢ় বাস্তবের পথচারী, জীবন-সংগ্রামের অসহায় পদাতিক,—এ পুথিবী তার কাছে দুঃখের, অসহনীয় অভিজ্ঞতার, অনন্ত বেদনার ! ছ’ জনে প্রায় পাশাপাশি বসল। একটি নদী যেন এক বিস্তৃত মরুভূমির প্রাস্ত সীমায় এসে থেমেছে । তার সেই স্বন্দর চোখের ভিতর তাকিয়ে ছেলেটি জিজ্ঞাসা কবুল,—নাম কি ? —নাম ? শুনবে ? শেয়ান্তি দেবী । তোমার নাম ? ছেলেটি সেই নির্জন ষ্টেশন আর অন্ধকার পথের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে ঈষৎ হেসে বলল— কি হবে আমার নাম শুনে ? তোমার ত’ মনে থাকৃবে না ! শান্তি বলল,—আমার নাম তবে জেনে নিলে কেন ? বল শিগগির । ছেলেটি এড়িয়ে গেল। নাম . ব’লে এই নিভৃত আলাপের যবনিকা সে টানতে চাইল না। বলল,—তুমি কিছু কিনলে না, আমার কেমন ক’রে চলে বল ত ? আজ সারাদিনে বলতে গেলে কিছুই...তোমার মুলুক কোথায় ? শান্তি বলল, পান্‌জাব ; অমিরতসর। —এদিকে এলে যে ? শাস্তি এবার মুখ রাঙা ক’রে মাথা হেঁট করল । যেপ্রশ্নটা ছেলেটি উত্থাপন ক’রে বসল, সে-প্রশ্ন যেন কোনো নিকটাত্মীয়ের। ছোট মেয়ে, ইতিমধ্যে ভুলেই গেছে ছেলেটি পথের একটি সামান্ত ফেরিওয়ালা, পূৰ্ব্ব-পরিচয় তার সঙ্গে একবিন্দুও নেই ! —চুপ ক’রে রইলে যে ? শাস্তি বলল—আমি এই প্রথম এলাম এ মুলুকে চাচার সঙ্গে ।--আর ওই ছেলেট, ওই যে গা-গ। ক’রে নাক ডাকৃছে—ও-ও যাচ্ছে আমাদের সঙ্গে —বলে সে দরজার ভিতর দিয়ে নিদ্রিত যুবকটিকে দেখাল । —ও কে শেয়ান্তি । আবার যে চুপ করলে ? বলবে না ? Y শান্তি শেষ পৰ্য্যস্ত স্বীকার করতে বাধ্য হ’ল, সুবকটির সঙ্গে তার বিবাহ হয়েছে। কাকা ওই ছেলেটার অজানা SSS


is ------ - - -------حمتہ۔ -----یہ۔---۔--------۔--سی-م- --

চাকুরি দিয়ে সংসার পেতে দেবার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন কালিমাটিতে । চাচা তার টাটা কোম্পানীর বড় চাকুরে কি-না ! ছেলেটি তার জিনিষগুলির দিকে তাকিয়ে কিয়ৎক্ষণ কি যেন চিন্তা করল, তারপর একটি ছোট অলক্ষ্য নিঃশ্বাস ফেলে বলল, এবার আমাকে যেতে হবে, ও লাইনে গাড়ী আসবে এখুনি। আর শোন, নাম জানতে চাইছিলে না তখন ? আমার নাম বদরি । এই কথা কটি ব'লে সে ওঠ বার চেষ্টা করতেই শাস্তি বলল, এত রাতে কেউ তোমার জিনিষ কিনবে না। আমিই-ব এখানে এ ক্লা ব’সে বসে কি করব ? এ একেবাবে অদ্ভুত প্রশ্ন ! সামান্ত আধঘণ্টার পরিচয়ে এত বড় দাবি যে খাটামে যেতে পারে একথা বদরির জানা ছিল না । তার মনে হ’ল, শাস্তি ক্ত কম স্বার্থপর নয় । খেয়ালের খেলার মত তাকে থানিকক্ষণ নড়াচাড়া ক’রে গাড়ী এলেই ত সে স্বামীর সঙ্গে পালিয়ে যাবে! তার জন্য শুধু রেখে যাবে নিজন উদাসীন ষ্টেশন, ক্রেতার জন্য ব্যর্থ খোজাখুজি, এবং একটি নিঃশ্বাস ! আর একদিনের কি একটা গল্প তার মনে পড়ল । না, এ হ’তেই পারে না ! ক্ষুদ্ধ অভিমানের সঙ্গে সে বলল,— তুমি যাও ভাই, তোমার চাচার কাছে । -- যাব না, কি করবে তুমি ? এই আমি বসে রইলাম।—বলে শাস্তি খেলনার ঝাপির একট। কানা হাতে চেপে বসে রইল । বদরি বলল, আমার লোসকান দেবে কে ? শান্তি বলল—তোমার জিনিষ, তুমিষ্ট দেবে ? বদরি আবার তাকাল তার মুখের দিকে। বিদেশিনীর দুটি দীর্ঘায়ত গভীর কালো চোখে এক পিলিপ্ত চাহনি । মাথার বেণাটি ভার ঝুলে পড়েছে কোলের মধ্যে । নধর স্বপুষ্ট হাতখানিতে একগাছি চিক্‌চিকে সোনার চুড়ি, ক’ড়ে আঙ্গুলে একটি ছোট্ট আংটি, পা দুখানি ধুলো-বালি মেথে আরও স্বন্দর হয়ে উঠেছে। শীতপ্রধান দেশের মেয়ে ব’লে মুখখানিতে রক্তের আভা স্পষ্টরূপে দেখা যাচ্ছিল । বহু যাত্ৰীগাড়ীতে বদরি বহু স্থনরী মেয়েকেই দেখেছে, কিন্তু এত কাছাকাছি এমন রূপবতী নারী আর কোনোদিন তার চোখে পড়েনি। এই কিশোরীটির হাত’ ছাড়িয়ে চলে যাবার মানসিক দৃঢ়তা সে হারিয়ে ফেলেছিল। বদরি অনেকক্ষণ তার চোখের ভিতর তাকিয়ে বলল,—আমি তোমাকে চিনি ! —দুর, কোনোদিন দেখেছ না-কি যে চিনবে ? অভিভূত হয়ে বদরি বলল,—হঁ্য চিনি, নিশ্চয় চিনি, আমি তোমাকে দেখেছি এর আগে । •