পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] মেয়ে দেখিয়া পছন্দ করার অধিকার মাকে কত চিঠি লেখালেখি করিয়া সে আদায় করিয়াছে। আজই ও-বাড়ি হইতে লোক তাকে লইতে আসিবে। ইচ্ছা ছিল মণিলালকে লইয়া যায়,—তার মতটার কত দাম, জার পছন্দও কত অাটিষ্টিক । মণিলালের কি আর এদের বিশেষ পছন্ম হুইবে,-বড় বড় সোসাইটির কত স্থদেরী মেয়ের সঙ্গে মেশে,—তবু সে যদি মেয়ের মুখের "কাট"-টাকে একেবারে জান-বেয়ারেবল বলে তবে আর তাকে বিয়ে করা চলে না । মণিলাল কহিল, “আর তা ছাড়া আজ একটা এনগেজমেন্টও আছে । ছাড়াতে পারলেই বঁচিতাম, ডাঃ নাগের ফ্লার্ট মেয়েটাকে যতই অ্যাভয়েড করি ততই এসে আমার উপর ভর করে । আজ সিনেমায় যেতে হবে তাদের নিয়ে ।” “ভবে থাকৃ,”—বলিয়া ক্ষুaমনে বিনোদ বাহির হইয় যাইতেছিল, সহসা মণিলাল ডাকিয়া কঠিল, “না নী, তোকে আমি ডিসয়্যাপয়েণ্ট করতে চাই না,—যাবে। - * * - - - * * * : " & " * :T ... " - نبـ د . . . . " " . . . . i r - .. ':' :

  • * - K, - ۰۲ " را

. - t সোনার মেডেল পাইয়াছে। ম্যাটিক ক্লাসে পড়ে। : "স্থ্য, সেতারটা তন্থরই। জাহা সবই তো ফেলে গেলে— খাবারগুলি ভস্থর নিজ হাতে ঙৈৰি ।" । সবটাই মণিলাল কৃপা-মিশ্রিত অবজ্ঞার চোখে দেখিতে লাগিল । “কোন স্কুলে পড়ে মেয়ে ? লরেটোতে ?” “না, গালদ এইচ-ই ?” মণিলালের ইহাতে করুণ হুইল । কছিল, "কেন ষে টাকা খরচ করে যা তা ইস্কুলে পড়ান ? মেয়েদের পড়াতে হ’লে কলকাতায় ঐ আপনার একটি মাত্র স্কুল— লরেটে ।” মেয়ের ভাই অলক্ষ্যে শুধু কটমট করিল। মণিলাল একটা নাতিদীর্ঘ হাই তুলিবার পর কছিল, “এই তো আমার মামাভো-বোন ডলীকে নিয়ে মাম। মহামুস্কিলে পড়েছিলেন । কলকাতায় একটা রেসপেকূটেবল স্কুলষ্ট নেই । শেষে সিম্লেতে কনভেণ্টে রেখে পড়ালেন । ভ1 অবশ্য মামার কথা আলাদা, টাকার তো আর অভাব DDDD BBB BB BBBS BB BBB BBS BB BB S BS BB BBS BBBB BBBB BBB BBS ফোন করে দেওয়া যাবে।” খুশী হুইয়া বিনোদ ফিরিয়। আসিল । নান৷ আলোচনা । “তারা মধ্যবিত্ত লোক, তাদের বাড়ি নিয়ে কিন্তু নাক সি টকাতে পারবে না । আচ্ছা মণি, তোর মামার একট। মোটর আনা যায় না,–পাচটা তো আছে, তাতে চড়েই যাওয়া যেত ।” মণিলাল হতাশায় করতল-দুটি fচৎ করিয়া কহিল, “আর দিন পেলিনে, বললি যেদিন তিনটার ভেতর ছুটে সোফারেরই জয় । অার একটা তো সারাক্ষণ মামার সঙ্গেই ঘোরে।” বিনোদের ইচ্ছা হইতেছিল, বলে, “কেন তুমিও তে৷ চালাতে জানো,”—কিন্তু লজ্জায় আর বলা হইল না । অতএব মোটর করিয়া যাইবার ইচ্ছা বিসর্জন দিতে হইল । ট্যাকৃসি করিয়াও যাওয়া চলে, কিন্তু সেটা তো আর তেমন রেসপেকটেৰল নয়। স্বাকু, স্থ-বন্ধু যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হইল । আদর-আপ্যাম্বন, মেয়ে সেলাইয়ের জন্ত একজিবিশানে বাড়ির লোকের বিস্মিত চোখে মণিলালের দিকে তাকাইয়া রহিল । ছেলেট কে রে বাবা! মধ্যবিত্ত বাঙালী গৃহস্থের ঘরে মেয়েরা যেন সচরাচরই পিয়ানো বাজায় । মেয়ের কাকা বলিল,“না ও-সব বাজনা কি আর আমাদের গৃহস্থের ঘরে থাকে । সেতার বাজায় বেশ ।” "ও আই সী, সে-কথা আমি প্রায় ভুলেই গিছলাম । আমাদের মধ্যে ওটা একটা নেসেসিটির মধ্যে কি না । হ্যা, আমাদের পুওর কানটিতে সবাই কি জার একট। পিয়ানো প্রভাক্টড করতে পারে । তবে সেতারটা বড় এটিকোয়েটেড—ভায়োলিন হ’লে না হয়—” মেয়ের ভাই একেবারে জলিয়া উঠিবার জোগাড় { বড়রা চোখ টিপিয়া তাহাকে শাস্ত করিবার চেষ্ট৷ করিতেছে। কিন্তু মণিলালের সেদিকে খেয়ালই নাই। বড় ফ্যামিলির ছেলে, বড় দৃষ্টি । এ-সব সাধারণ কথ} জিজ্ঞাসা করিলে কাহারও আবার রাগ হইতে পারে নাকি । লিন্ডের রুমাল বাছির করিয়া মুখ মুছিতে মুছিতে মেয়ের কাকাকে সে কহিল, "বাড়ির কত রেন্ট জে৭r -