পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালী জাতির সমুদ্রযাত্রার স্মৃতি অনেক দেশে এমন অনেক আচার অনুষ্ঠান আছে, যাহার উৎপত্তি তথাকার লোকেরা হয়ত ভুলিয়া গিয়াছে কিন্তু যাহা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান বিদেশীরা অনুমান করিতে পারেন । পৌষ মাসের শেষদিনে প্রত্যুষে বঙ্গের কত গ্রামে ও নগরে নদী ও পুষ্করিণীতে কলার খোলের তরী ফুলের মালায় ও প্রদীপে সাজাইয়া ষে ভাসান হয়, তাহার অর্থ ও উৎপত্তির সম্বন্ধে স্বগীয়া ভগিনী নিবেদিত এই রূপ একটি অল্পমান করিয়াছেন । তাহার মতে বাঙালীরা সমুদ্রচারী জাতি ছিল । প্রধানতঃ পৌযে বাণিজ্যের নিমিত্ত ও অন্ত উদ্দেশ্নে তাহাদের সমুদ্রযাত্রা আরম্ভ হইত। যাহারা সমুদ্রে গিয়াছে,ভগবানের নিকট তাহাদের কল্যাণকামনা করিয়া কলার খোলার তরীগুলি ভাসান হইত । যে-কারণে ও উদ্দেশ্যে এগুলি ভাসান হইত, তাই লোকে ভুলিয়া গিয়াছে ; কিন্তু অনুষ্ঠানটি রহিয়া গিয়াছে। দি শিপ অব ফ্লাউয়াস্ অর্থাৎ পুষ্পের তরী নামে ভগিনী নিবেদিতার এ বিষয়ে জুলাই মাসের মডার্ণ রিভিয়ু পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে । পৌষের শেষদিন সম্বন্ধে এই প্রবন্ধ হইতে দুটি বাক্য উদ্ধৃত করিতেছি। তাহ হইতে র্তাহার অম্বুমান বুঝা যাইবে । “... it is the day of prayers for all travellers, all wanderers from their homes, for all whose footsteps at nightfall shall not lead to their own door.”

  • •••ইহা সকল পৰ্য্যটকের জন্ত প্রার্থনা করিবার দিন ; নিজ নিজ নিকেতন হইতে দূরে পরিব্রাজকদের নিমিত্ত, সন্ধ্যাগমে যাহাদের পদবিক্ষেপ তাহাদিগকে স্বগৃহের দ্বারের দিকে লইয়া যাইবে না, তাহাদের নিমিত্ত প্রার্থনার দিন ।”

ன்: லேம்டில் مة ت . we have a maritime in 13engal, people, once great amongst the world's sea-farers, “Here too. and here, on the iast day of Paus, we celebrate the opening of the annual commercial season. the old-time going-forth of merchant-enterprist and exploration.” “বাংলা দেশেও একটি সমুদ্রচারী জার্তি দেখিতে পাই, যাহার এক সময়ে পৃথিবীর সাগরগামী জাতিদের মধ্যে বড় ছিল, এবং এই বঙ্গে আমরা পৌষ ংক্রাস্তিতে বাণিজ্য-মরহুমের প্রারম্ভিক অহঙ্কান করি – ষে ঋতুতে লোকে পুরাকালে প্রবাসযাত্রা করিয়া বাণিজ্যিক উদ্যমে ও অঙ্গুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইত ” ভগিনী নিবেদিতার প্রবন্ধে তাহার অঙ্কুমানের সমর্থক অন্ত কথাও আছে । বাঙালীদের সামুদ্রিক উদ্যমের প্রমাণ নানা দিক্ হইতে সংগৃহীত হইতে পারে । যেমন, রাজশাহী জেলার পাহাড়পুরে যে প্রাচীন স্ত প খনন করিয়া আবিষ্কার করা হইয়াছে, তাহার শিল্পের সহিত সরকারী প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগেব,সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট ক্রযুক্ত কাশীনাথ দীক্ষিত জাভার প্রাচীন শিল্পের সাদৃশ্বের উল্লেখ করিয়াছেন । বাংলার সমুদ্রতট বিস্তৃত, এবং এখনও জাহাতে বন্দর আছে । বাংলার কোন কোন প্রাচীন কাব্যে সওদাগরদের সমুদ্রযাত্রার পরিচয় পাওয়া যায় । এই সব কারণে, ভগিনী নিবেদিতার অল্পমান সত্য বলিয়া মনে হয় । বাঙালীদের অহঙ্কার বাড়াইবার জন্তু এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করি নাই। পূৰ্ব্বে কোন জাতি কোন বিষয়ে বড় থাকিয়া পরে তাহার পতন হইলে, তাহ তাহার গৌরবের বিষয় না হইয়া বরং লজ্জার বিষয়ই হওয়া উচিত । কিন্তু কেবল লজ্জিত হুইবার ও লজ্জা দিবার নিমিত্তও এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করি নাই। আমাদের উদ্দেশু জঙ্ক প্রকার ।