পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ബ~് এই বাংলার মাটি, বাংলার জল, ও বাংলার বাতাস হক্টতে শক্তি সঞ্চয় করিয়া বাঙালী আগে যাহা করিতে পারিয়াছিল, এখনও তাহা করিতে পারে, ইহা স্মরণ করিবার ও করাইবার জন্ত আমরা ভগিনী নিবেদিতার প্রবন্ধটির উল্লেখ করিলাম। অবশু, কোন জাতি আগে যদি কোন বড় কাজ না করিয়া থাকে, তাহা হইলে বৰ্ত্তমানে বা ভবিষ্যতেও যে তাহারা তাহা করিতে পরিবে না, ইহা স্বতঃসিদ্ধ নহে। ইউরোপ ও আমেরিকার যে-সব জাতির লোক এখন নানাবিধ আকাশযান দ্বারা আকাশপথে বিচরণ করে, প্রাচীন কালে তাহার তাহা করিত না । আমরা প্রাচীন কালে সমুদ্রচারী না থাকিলেও, বৰ্ত্তমানে হইতে পারি । তাহার জন্ত স্বদেশে ও বিদেশে শিক্ষণ আবঙ্গক । কিন্তু বাঙালী ছেলেরা যেন মনে না করেন, যে, তাহার শীঘ্র ও সঙ্গজেক্ট জাহাজের মালিক বা ক্যাপ্টেন, এডমির্যাল, ইত্যাদি হইয়া উঠিবেন । অন্য কাজের মত, এই সব কাজ ৪ আরম্ভ করিতে হইবে সামান্য ভাবে । অধ্যাপক চন্দ্রশেখর বেঙ্কট রামনের সংবৰ্দ্ধন৷ গত ১১ই আষাঢ় কলিকাত মিউনিসিপ্যালিটা অধ্যাপক স্থার চন্দ্রশেখর পদার্থবিদ্যা-বিযয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তাহার অসাধারণ রুতিত্বের জন্য অfভমন্দিত করেন । কলিকাভার মেয়র শ্রযুক্ত ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় অভিনন্দনপত্র পা করেন। বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য অধ্যাপক রামনই প্রথমে নোবেল পুরস্কার পাইয়াছেন । ইহা একটি স্মরণীয় ঘটনা, এবং ইহার দ্বারা তিনি স্বয়ং প্রসিদ্ধিলাভ ত করিয়াইছেন, অধিকন্তু ইহার দ্বারা ভারতবর্ষের ও এশিয়ার গৌরব বুদ্ধি হইয়াছে। অভএব তাহার সংবৰ্দ্ধনা খুব ঠিকৃই হইয়াছে। অধ্যাপক রামন বিশেষ করিয়া যে আবিক্রিয়াটির জন্ত নোবেল পুরস্কার পাইয়াছেন, তাহার পর তিনি আরও গবেষণা করিয়াছেন । তাহার মধ্যে আলোকের স্বরূপ সম্বন্ধে তিনি যাহা সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, তাহার ৰাথার্থ্য আরও পরীক্ষা দ্বার প্রতিষ্ঠিত হইলে, তাহা তাহার বেঙ্কট রামনকে এশিয়ায় বিবিধ প্রসঙ্গ—অধ্যাপক চন্দ্রশেখর বেঙ্কট রামনের সংবর্ধনা Goor আন্ধান্তু জাবিক্রিয়া অপেক্ষা গানৰতিৰক্ষার সম্ভাবনা আছে । মিউনিসিপ্যালিটীর অভিনন্দনের উত্তরে তিনি যে-সকল কথা বলিয়াছেন, তাহা যথার্থ। বৈজ্ঞানিক জ্ঞানবিস্তারের নিমিত্ত এবং গবেষণার দ্বারা নূতন বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আহরণের জন্তু ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার “ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশুন ফর দি কান্টিভেশন অব সায়েন্স” স্থাপন করেন। এচ বিজ্ঞানসভার পরীক্ষাগারেই যুবা বেঙ্কট রামন অধ্যাপক হুইবার পূৰ্ব্বে গবেষণা করিতেন। তখন তিনি বিখ্যাত হন নাই। স্তার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সেই অবস্থায় তাহাকে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার প্রধান অধ্যাপক নিযুক্ত করেন । এই উভয় ঘটনার উল্লেখ করিয়া অধ্যাপক রামন ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার এবং স্তার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রতি রুভজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত পনর বৎসর তিনি অনেক মনস্বী সহকৰ্ম্মী পাইয়াছেন, ইহা তাহার সৌভাগ্য । তাহার মতে গবেষণায় তাহার অনেক কৃতিত্ব তাহাঁদের সাহায্যের ফলে সম্ভব হুইয়াছে । “সাধারণতঃ ইহাই মনে করা হয়, যে, অধ্যাপকের চালনা আহসারে কাজ করিয়া ছাত্রেরাই উপকৃত হয় । বস্তুত:, অধ্যাপকও, তাহার অধীনে যে-সব প্রতিভাশালী ছাত্রেরা কাজ করে, তাহাদের সাহচর্য্যে সমান উপকৃত হন ।” কলিকাত সম্বন্ধে ডাঃ রমন বলেন :– "For a hundred years, Calcutta has been the intellectual nietropolis not cnly of Benga', ur of India, but of the whole of Asia. From Calcutta, has gone forth a living stream of knowledge in many branches of study. It is inspiring to think of the long succession of scholars, both Indian and European, who have lived in this city, made it their own, and given it of their best. It must be a profound privilege to he able to work and live in such an environment.” "গত এক শত বৎসর কলিকাতা বিদ্যাবুদ্ধিবিষয়ে, শুধু বাংলা বা ভারতবর্ষের নহে, সমগ্র এশিয়ার প্রধান নগর হইয়া আছে। বিদ্যাকুশীলনের বহু শাখায় কলিকাতা হইতে জ্ঞানের প্রাণবান, স্রোত নানাদিকে প্রবাহিত হইয়াছে। যে-সকল ভারতীয় ও ইউরোপীয় পণ্ডিত