৬ষ্ঠ সংখ্যা ] অপরাজিত , ૬ चाबि कि बबाबू चाहि । ७ लाग्न झाक्र्यौं सभाम cथ८क কেউ নড়াতে পারচেন না—যিনিই আম্বন । হাসিয়া বলিলেন;–এবার মাইনে বেড়েচে, এই পয়তাল্লিশ হ’ল । জপুর মাথা কেমন বুরিয়া উঠিল—সাইরিশ বছর একই অন্ধকার ঘরে, একই হাতবাক্সের উপর ভারী খেয়ে বাধানো রোকড়ের খাতা খুলিয়া বালি ও ষ্টিলপেনের সাহায্যে শীলেজের সংসারের চালডালের হিসাব লিখিয়া চলা-চারিধারে সে একই দোকানপসার, একই পরিচিত গ’ল, একই সহকৰ্ম্মীর দল, একই কথা ও আলোচনা বারোমাস, তিনশে। ত্রিশ দিন --- সে ভাবিতে পারে না—এই বদ্ধজল, পঙ্কিল, পচা পান। পুকুরের মত গতিহীন, প্রাণহীন, ক্ষুদ্র জীবনের কথা ভাবিলেও তাহার গা কেমন করিয় উঠে ! বেচারী রামধনবাবু দরিদ্র বৃদ্ধ, ওর দোষ নাই, তাও সে জানে ! কলিকাতার বহু শিক্ষিত সমাজে আড্ডায় ক্লাবে সে মিশিয়াছে। বৈচিত্র্যহীন, একঘেয়ে জীবন— অর্থহীন, অপবিত্র, ছাইন-কি ঘটনাবিহীন দিনগুলি! শুধু টাকা, টাকা,—শুধু খাওয়া, পানাসক্তি, ব্রিজখেলা, ধূমপান, একই তুচ্ছ বিষয়ে একঘেয়ে অসার বকুনি-তরুণ মনের শক্তিকে নষ্ট করিয়া দেয়, আনন্দকে ধ্বংস করে, দৃষ্টিকে সঙ্কীর্ণ করে, শেষে ঘোর কুয়াসা আসিয়া স্বর্যালোককে রুদ্ধ করিয়া দেয়—ক্ষুদ্র পঙ্কিল, অকিঞ্চিংকর জীবন কোনো রকমে থাত বাহিয়া চলে । সে শক্তিহীন নয়— এই পরিণাম হইতে সে নিজেকে বাচাইবে । তারপর সে রামধনবাবুর অনুরোধে ও কতকট। কৌতুহলের বশবৰ্ত্তী হইয়া শীলেদের বাড়ী গেল। সেই জাপিস, ঘরদোর, লোকের দল বজায় আছে । খুব আদর অভ্যর্থনা করিল সকলে । মেক্তবাবু কাছে বসাইয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিলেন । বেল। এগারটা বাজে, তিনি এই মাত্র ঘুম হইতে উঠিয়াছেন–বিলিয়ার্ড ঘরের সামনের বারান্দাতে চাকর র্তাহাকে এখনই তৈল মাখাইবে, বড় রূপার গুড়গুড়ীতে রেশমের গলাবন্দ-ওয়ালা নলে ৰেহাৱা তামাক দিয়া গেল । এ বাড়ীর একটি ছেলেকে অপু পূৰ্ব্বে দিনকতক পড়াইয়াছিল, তখন লে ছোট ছিল, বেশ স্বন্দর দেখিতে ছিল—ভারী পৰিত্ৰ মুখঞ্জ ছিল, স্বভাৰটিও ছিল ভারী মধুর ! সে এখন আঠার উনিশ বছরের ছেলে, কাছে আসিয়া পায়ের ধূৱ লইয়া প্ৰণাম করিল—আগু দেখিয়} ব্যথিত হইল যে, সে এক্ট সকালেই অন্তত দশটা পান থাইয়াছে—পান খাইয়া খাইয় ঠোট কালো—হাতে রূপার পানের কেীট-পান ও জর্দা । এবার টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করিয়াছে, খানিকক্ষণ কেবল নানা ফিন্মের গল্প করিল, বাষ্টার কিটনকে মাষ্টারমশায়ের কেমন লাগে ?--- চালি চ্যাপলিন ? নৰ্ম্ম শিয়ারার-ও সে অদ্ভুত ৷ এখনও সে ছেলেমানুষ—সম্পূর্ণ সরলভাবে জাগ্রহের সহিত সে ডগলাস ফেয়ারব্যঙ্কস্ সম্বন্ধে মাষ্টারমশায়ের মতামত জিজ্ঞাসা করিল, তাহার উত্তর সাগ্রহে শুনিল । ফিরিবার সময় অপুর মনটা বেদনায় পূর্ণ হইয়। গেল। বালক, উহার দোষ কি ? এই আবহাওয়ায় খুব বড় প্রতিভাও শুকাইয়া যায়—ও তো অসহায় বালক— ওর দোষ কি ?--- রামধনবাবু বলিলেন, চললেন অপূৰ্ব্ববাবু ! নমস্কার, আসবেন মাঝে মাঝে । গলির বাহিরে সেই পচা খড় বিচালী, পচা আপেলের গোল, শুটুকি মাছের গন্ধ । রাজিতে অপুব মনে হইল সে একটা বড় অস্কায় করিতেছে, কাজলের প্রতি একট। গুরুতর অবিচার করিতেছে । ওরও ত সেই শৈশব । কাজলের এই অমুল্য শৈশবের দিনগুলিতে সে তাহাকে এই ইট, কংক্রিট, সিমেন্ট ও বার্ড কোম্পানীর পেটেণ্ট ষ্টোনে বাধানে। কারাগারে আবদ্ধ রাখিয় দিনের পর দিন তাহার কাচা, উৎসুক, স্বপ্নপ্রবণ শিশুমন তুচ্ছ বৈচিত্র্যহীন অহুভূতিতে ভরাইয়া তুলিতেছে—প্তাহার জীবনে বন-বনানী নাই, নদীর মৰ্ম্মর নাই, পান্ধীর কলস্বর, মাঠ, জ্যোৎস্না, সঙ্গীসাথীদের মুখদুঃখ-এ-সব কিছুই নাই, অথচ কাজল মুতি স্বন্দর ভাবপ্রবণ স্নেহপ্রবণ বালক— তাহার পরিচয় সে অনেক ধার পাইয়াছে । कांछन छूःथ खांष्ट्रक, छामिब्रा यांश्च cशद् । छूः তার শৈশুৰে গল্পে-পড়া লেই সোনা-কর বাছকর । ছেড়াখোড়া কাপড়, ঝুলিঘাড়ে বেড়ায়, এই চাপদাড়ি, কো৭ে
