পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-c8 প্রবাসী—জাখিন, ১৩e৮ . [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড খায়ের পার্থীর গৰ্ত্তে হাত দিও না কাজল, সাপ থাকে । কিন্তু সে শোনে না, সেদিনও গিয়াছিল পিসিমাকে शूकाहेच्न, किक्त অন্ধকার হইয়া গেলেই তার কত ভয়। ছুপুরে সেদিন পিসিমাদের বাড়ীর পিছনে বাশবনে পাখীর বাসা খুজিতে বাহির হইয়াছিল। হেমন্ত-স্থপুর, সবে বর্ষাকাল শেষ হইয়া রৌত্র বেজাম্ব চড়িয়াছে, আকাশে বাতাসে বনে কেমন গন্ধ । বাবা তাহাকে কত বনের গাছ, পাখী চিনাইয়া দিয়া গিয়াছে, তাই সে জানে কোথায় রনমরিচার লতায় থোকা থোকা মুগন্ধ ফুল ধরিয়াছে—কেলেকোড়ার লতার কচি ডগ ঝোপের মাথায় মাথায় সাপের মত দুলিতেছে। কখনও সে ঠাকুরদাদার পোড়ে ভিটাটাতে ঢোকে নাই। বাহির হইতে তাহার বাবা তাকে দেখাইয়াছিল, বোধ হয় ঘন বন বলিয়। ভিতরে লইয়া যায় নাই । একবার ঢুকিয়া দেখিতে খুব কৌতুহল হইল । জায়গাট খুব উচু ঢিবিমত । কাজল এদিকওদিক চাহিয়া ঢিবিটার উপরে উঠিল -তারপরে ঘন কুঁচকাটা ও শ্যাওড়া বনের বেড়া ঠেলিয়া নীচের উঠানে নামিল। চারিধারে ইট, বাশের কঞ্চি, ঝোপঝাপ । পার্থী নাই এখানে ? এখানে ত কেউ আসে না—কত পার্থীর বাস আছে হয় ত—কে বা খোজ রাখে ? বসন্তচৌরী ডাকে-টুকৃলি, টুকুলি, টুকুলি—তার বাবা চিনাইয়াছিল। কোথায় বাসাটা ? না, এমনি ডালে বসিয়া ডাকিতেছে ? মুখ উচু করিয়া খোক ঝিকৃড়ে গাছের ঘন ডালপালার দিকে উৎম্বক চোখে দেখিতে লাগিল। এক কলক হাওয়া যেন পাশের পোড়ে ঢিবিটার দিক হইতে অভিনন্দন বহন করিয়া জানিল—সঙ্গে সঙ্গে ভিটার মালিক ব্রজ চক্রবর্তী, ঠ্যাঙাড়ে বীরু রায়, ঠাকুরদাদা হরিহর রায়, ঠাকুরমা সৰ্ব্বজয়া, পিসিমা দুর্গজানা অজানা সমস্ত পূৰ্ব্বপুরুষ প্রভাতের তরুণ আলোয় অভ্যর্থনা করিয়া বলিল—এই যে তুমি আমাদের হয়ে আবার ফিরে এসেচ-আমাদের সকলের প্রতিনিধি ষে জাঙ্গ তুমি—জামাদের আশীৰ্ব্বাদ নাও, বংশের উপযুক্ত হও । - चांद्र७ झझेल । cनiनांलि ब८मब्र छोब्रां झहे८ङ জল আহরণরত সহদেব, ঠাকুরমাদের ৰেলতলা হইতে শরশষ্যাশায়িত ভীষ্ম, এ ঝোপের ও কোপের তলু হইতে বীর কর্ণ, গাওঁীবধারী অৰ্জ্জুম, অভাগিনী ভানুমতী, কপিধ্বজ রথে সারথি প্রকৃষ্ণ, পরাজিত রাজপুত্র দুৰ্য্যোধন, তমসাৰ্তীরের পর্ণকুটীরে প্রীতিমতী তাপসবধূবেষ্টিতা আশ্রমুখী ভগবতী দেবী জানকী, সরযুতটের বনে মরণাহত কিশোর বালক সিন্ধু, ংবর সভায় বরমাল্যহস্তে ভ্ৰাম্যমাণ আনতবদন স্বন্দরী স্থ ভদ্রা, মধ্যাহের খররেীত্রে মাঠে মাঠে গোচারণরত সহায়সম্পদহীন দরিদ্র ব্রাহ্মণ-পুত্র ত্ৰিজট-হাতছানি দিয়া হাসিমুখে অভ্যর্থনা করিয়া বলিল—এই যে তুমি, এই যে আবার ফিরে এসেচ 1 চেন না আমাদের ? কত দুপুরে ভাঙা জানালাটায় বসে বসে আমাদের সঙ্গে মুখোমুখি ষে কত পরিচয় ।--এস.এস. সঙ্গে সঙ্গে রাণুর গলা শোনা গেল—ও খোকা, ওরে ছই ছেলে, এই একগলা বনের মধ্যে ঢুকে তোমার কি হচ্চে জিজ্ঞেস করি—বেরিয়ে আয় বলচি। থোকা হাসিমুখে বাহির হইয়া আসিল । সে পিসিমাকে মোটেই ভয় করে না । সে জানে পিসিমা তাকে খুব ভালবাসে—দিদিমার পরে এক বাবা ছাড়া তাকে এমন ভাল আর কেউ বাসে नांझे । হঠাৎ সেই সময় রাণুর মনে হইল অপু ঠিক এমন দুষ্ট মুখের ভঙ্গি করিত ছেলেবেলায়—ঠিক এমনটি। যুগে যুগে অপরাজিত জীবন-রহস্ত কি অপূৰ্ব্ব মহিমাতেই আবার আত্মপ্রকাশ করিল ! খোকার বাবা একটু ভুল করিয়ালি । চব্বিশ বৎসরের অনুপস্থিতির পরে অবোধ বালক অপু আবার নিশ্চিন্দিপুরে ফিরিয়া আসিয়াছে । সম্পূর্ণ