পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মীয়-বিরোধ • কল্যাণীয়াস্থ* ৰাজের ধর্থটি বেড়ে উঠেচে । নানা লোকের নানা রকমের ফরমাস খাটতে হয় ; তবু সে আমার বহুদিনের অভ্যাসে কতকটা সহ চয়ে এসেচে । কিন্তু নিরতিশয় পীড়িত ক’রে তোলে অত্যাচারের কথা। আমার বেদনাবহ নাড়ী এই রকম কোনও সংবাদের নাড়। খেয়ে যখন ঝনঝন করে ওঠে, তখন সে যেন কিছুতে থামতে চায় না। সম্প্রতি দেহমনের উপর সেই উপন্দ্রব দেখা দিয়েচে । এতদিন বন্যাপ্লাবনের দুঃখ দেশের বুকের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে ছিল ; তার উপরে চট্টগ্রামের বিবরণটা সাইক্লোনের মত এসে তার সমস্ত বাসাটা যেন নাডা দিয়েচে । আমাদের আপন • লোক যখন নিৰ্ম্মম হয়, তখন কোথাও কোন সাস্বনা দেখিনে । এর পিছনে অণর কোনো দুগ্রহের যদি দৃষ্টি থাকে, তবে তা নিয়ে আক্ষেপ ক'রে কোনো লাভ নেই। বলতে হবে—“এহু বাহ ।” সকলের চেয়ে আমাদের সাংঘাতিক ক্ষতি এই ষে, হিন্দুরা পাছে সমস্ত মুসলমান সমাজের প্রতি বিরুদ্ধ হয়ে ওঠে। এ কথা বলাই বাহুল্য, এবং আমার অভিজ্ঞতা থেকে এ আমি নিশ্চিত জানি মোটের উপরে ভাল মত পরিচয়ের অভাব থেকেই আমাঙ্গর পরস্পর জাতীয়ভার ব্যাঘাত ঘটে । কোনো জাতের একদল মাত্র যখন অপরাধ করে, তখন সেই জাতের সকলের উপরেই কলঙ্ক লাগে এটা অনিবার্ধ্য—কিন্তু এ রকম ব্যাপক অবিচার কঠিন দুঃখেও আপন লোকের উপর করা চলবে না । দেশের দিক দিয়ে মুসলমান জামাদের একাত্ত জাপন, এ কথা কোনো উৎপাতেই অস্বীকৃত হতে পারে ন। একদিন জামার একজন মুসলমান প্রজা অঞ্চারণে ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাকে একটাক সেলামী দিয়েছিল। জামি বললুম, আমি তো কিছু দাবি করিনি। সে বললে, আমি না দিলে তুষ্ট খাবি কি। কথাটা সত্য। মুসলমান প্রজার অল্প এতকাল ভোগ করেছি । তাদের অন্তরের সঙ্গে ভালবাসি, তারা ভালবাসার যোগ্য। জাজ যদি তার হঠাৎ আমাকে আঘাত করতে আসে, তা হ’লে পরমদুঃখে আমাকে এই কথাই ভাবতে হবে, কোনো আকস্মিক উত্তেজনায় তাদের মতিভ্ৰম ঘটেচে—এটা কখনোই তাদের স্বাভাবিক বুদ্ধি নয় । দুর্দিনে এমন ক’রে যদি আমি ভাবতে পারি, তা হলেই এই ক্ষণকালের চিত্তবিকার দূর হতে পারবে। আমিও যদি রাগে অধীর হয়ে তাদেরই অস্ত্র কেড়ে তাদের উপর চালাই, তা হলেই এ বিকার চিরদিনের মত স্থায়ী হবে—শেষকালে আসবে বিনাশ । মুসলমান যদি কোনোরকম প্রবর্তনায় হিন্দুকে मित्रोफ़न कग्नरङ दूर्छिऊ मा झंझ, उों श्'zल ५ कधी মনে রাখতে হবে যে, এ শেল বাইরের নয়, এ মৰ্ম্মস্থানের বিস্ফোটক-এ নিয়ে রাগারগি লড়াই করতে গেলে ক্ষত বেড়ে উঠতে থাকবে । বুদ্ধি স্থির রেখে এর মূলগত চিকিৎসায় লাগা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বিলম্ব হলেও সে-ই একমাত্র পস্থা । ফুে পরজাতির - পক্ষে ভারতবর্ষ অল্পের খালি, তার যদি সেই অল্প হ্রাস বা নাশের আশঙ্কায় আমাদের পরে কঠোর হয়ে ওঠে, তা হ’লে বুঝতে হবে সেটা স্বাভাবিক, এবং সেটা স্বার্থের জন্তে । এস্থলে তাদের প্রেয়োবুদ্ধি বিচলিত হ’লে পরমার্থের দিকে না হোক, অর্থের দিকে একটা • মানে পাওয়া যায় । কিন্তু আপন লোকের কুত অন্ধ জঙ্কায় তাদের নিজেরই স্বার্থের বিরুদ্ধ। তারা চিরদিনের মত দেশের চিত্তে জবিশ্বাসকে জাষিল ক’রে ফ্লোলে ; তুতে চিরদিনের জল্পই তাদের নিজের