পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। ] 態 এখানে যে যুক্তি দ্বারা পুনর্জন্মবাদ সমর্থন করিবার চেষ্টা করা হইয়াছে, হাৰ্বার্ট স্পেনসার সেই যুক্তি দ্বারা প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন যে ‘এই দেহ বিনাশের সঙ্গে সঙ্গে আত্মারও বিনাশ হইয়া থাকে । তুলনায় যদি সমালোচনা করিতে হয় তাহ হইলে বলিতে হইবে হাব টি স্পেনসারের যুক্তিই অধিকতর সারবান । কিন্তু আমরা কোন যুক্তিরই সারবত্তা স্বীকার করি না । শরীরের সঙ্গে আত্মার কি সম্বন্ধ তাহার আলোচন৷ এস্থলে সস্তব মহে ৷ এইমাত্র বলা যাইতে পারে যে জড়বাদীগণও প্রমাণ করিতে পারে নাই যে দেহ হইতে আত্মার উৎপত্তি । সুতরাং দেহের বিনাশে আত্মার বিনাশ হইবার কোন কারণ নাই । পুনর্জন্মবাদী বলেন—“সমস্ত জীবনে যাহার একান্ত প্রয়োজন হইল, যাহা ন হইলে এক মুহূৰ্ত্তও চলিল না, একবার তাহার বিনাশ হওয়৷ মাত্র তদনুরূপ আর কিছুর প্রয়োজন হইল না ইহা যেন প্রাকৃতিক নিয়মবিরুদ্ধ, সুতরাং অসম্ভব বোধ হয় । সমস্ত জীবন দেহ ন হইলে চলিল না, আর কোথাও কিছু নাই মরণাস্তে সহসা বিদেহ অবস্থায় আত্মার কার্য্য চলিতে লাগিল, ইহা সম্ভবপর বলির মনে হয় না।” ইহার মধ্যে অসম্ভব কিছুই নাই । জগতে এপ্রকার ঘটনা অহরহই ঘটিতেছে । এজগৎ এক সময়ে অত্যন্ত উত্তপ্ত ছিল, প্রাণের চিহ্নমাত্রও ছিল না । কোথাও কিছু নাই, জগতে প্রাণ আসিয়া হাজির হইল ! জগতে কেবল প্রাণই ছিল, চৈতন্সের চিহ্নযাত্র ছিলনা, কোথাও কিছু নাই হঠাৎ চৈতন্যের আবির্ভাব হইল । জলে ক্রমাগত উত্তাপ দেওয়া হইতেছে, কোথাও কিছু নাই হঠাৎ ১৭০০ গুণ বাড়িয়া গেল । প্রণদেহ জরায়ুশয্যায় শায়েত । পরিপাক কfরয়৷ ইহাকে রক্তমাংসাদি উৎপন্ন করিতে হয় না । মাতার দেহের রক্তেই ই হার দেহ রক্ষিত হইয়৷ থাকে ; ক্রণদেষ্ট মাতার দেহেরই অঙ্গীভূত, একটি নাড়ী উভয় দেহকে সংযুক্ত করিয়া রহিয়াছে । ভ্রণের যদি বিচার করিবার শক্তি থাকিত, তাহা হইলে সে পুনৰ্জ্জন্মবাদীদিগের যুক্তি অনুসরণ করিয়া অবশ্যই বলিতে পাfরত —“২৭ •।২৮০ দিন এখানে বাস করিবার পর যখন অন্য জগতে যাইতে হইবে তখন নিশ্চয়ই একটি নাড়ী অন্তর হইতে রক্ত আনিয়া আমাদিগের শরীর পোযণ করিবে ; কোথায়ও কিছু নাচ আর হঠাৎ এই দেহেই Y > (<F2 1당 জন্মান্তর-বাদ . ধেন প্রাকৃতিকনিয়মবিরুদ্ধ বলিয়া মনে হয় ।” ৩২৭ ادبی ۔ م_احم ، ہ ، مہ s تیرحمہ ۔ ب۹ہ ۔۔م۔ রক্ত উৎপন্ন হইলে ইহা অসগুব বলিয়া মনে হয় ; সমস্ত জীবনে যে নাড়ীর প্রয়োজন হটল, যাহাঁ ন হইলে এক মুহূৰ্ত্তও চলিল না, একবার সেই নাড়ীর বিনাশ হওয়া যাত্র তদন্ত্ররূপ আর কিছুরই প্রয়োজন হইল না, ইহা জরায়ুরাজ্যের ব্যাপার দেখিয়া যেমন আমাদিগের এই রাজ্যের ব্যাপারের কোন ধারণ হওয়া সস্তধ নহে, তেমনি এই পৃথিবীর ব্যাপার দেখিয়া পরলোকের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত করা সঙ্গত ই তবে না । ( & ) ইন্দ্রিয় ভোগ ও পুনর্জন্ম । ( ক ) কেহ কেহ বলেন--“পর কালে মুখ থাকিবে না, থাইব কি করিয়া ; জি অব থাকিবে না, মিষ্ট রস ভোগ হইবে কি প্রকারে ? প1 থাকিবে ন! অথচ স্থাটিব, হাত থাকিবে ন! অথচ গ্রহণ করিব, চক্ষু থাকিবে ৭। অথচ দেখিব, কণ থাকিবে না অথচ শুনিব, মস্তিষ্ক থাকিলে না অথচ চিন্ত করি ব—-এ কি করিয়া সম্ভব ?” মানবজীবন যেন ইন্দিয়ভোগ ভিন্ন আপ কিছুই নহে । অনেক লোক আছে যাহারা ইন্দ্রিয়সুখ ভিন্ন আর কিছুই বুঝে না, ইন্দিরের চার গর্থতা না হইলে আর কিছুতেই তৃপ্ত হয় না । এই শেণীর লোক ভাবে জীবনও যাহা ইfশুদয় সুপও তাহ হ ! ( , ) কেহ কেহ ব্যস্ত ই ঠয়! বলিবেন “এসব না হয় তুচ্ছ ইঞ্জিয়, কিন্তু চক্ষুকণrদি ত জ্ঞামের দ্বার ; এসমুদয় না হইলে ৩ ধৰ্ম্মকৰ্ম্মও হয় না ; এসব না থাকিলে চলিবে কেন ?” আমরা জিজ্ঞাসা করি, চক্ষু কৰ্ণ দ্বারা যে জ্ঞানলাভ হহ অপেক্ষ উৎকৃষ্টতর এই সংসারেই কি সব করি চহাই কি শ্রেষ্ঠ জ্ঞান ? জ্ঞান কি হইতে পারে না ? সময়ে আমর। চক্ষু কৰ্ণ লইয়াই থাকি, না থাকিতে ভালবাসি ? অনেক সময়ে কি ইহুদিগকে বিষয় হইতে নিবৃত্ত করিয়া আমরা ইন্দিয়া তাত রাজ্যে প্রবেশ করিতে চেষ্টা করি না ? আর এই পৃথিবীতে ত এমন এক সময় উপষ্ঠিত হয়, যখন চক্ষু কৰ্ণ থাকিয়াও নাই ? আমরা কি কেবল চক্ষু কর্ণাদি ইঞ্জিয় লইয়াই থাকিব ? ইহা অপেক্ষ৷ উচ্চ আদশ কি হওয়া সম্ভব নয় ? বিধাতার