পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V. o o তন্ময় হইয়া যাওয়ার নামই শিক্ষা। ইহা করিত্বে করিতে ছেলেরা এত অভ্যস্ত হইয়া যায় যে যখন তাহার একটু উপরের ক্লাসে পড়িতে আরম্ভ করে, তখন পূৰ্ব্বোক্ত যোগাভ্যাসের ফলে তাহীদের আর একটা দৈবীশক্তি জন্মে। অনাবশু্যক কথা শুনিয়া তাহ মনে রাখিতে গিয়। স্মৃতিশক্তিকে তাহার। আর ভারাক্রাস্ত করিয়া তোলে না, মাষ্টার বা প্রোফে দ্য যাহাই বলুন না কেন, তাহার জানে ও-সমস্ত বাজে ; খালি ডিগ্রীপ্রাপ্তির জন্য যতটুকু দরকার সেইটুকু রাখিয় বারস্বর তাহারই নিদিধ্যাসন করে ও বাকী আর-সমস্তই চিত্তবিক্ষেপের কারণ বলিয়া যথাসম্ভব পরিহার করিয়া মনকে তাহা হইতে সংযত রাখিতে চেষ্টা করে । দীর্ঘ অভ্যাসের ফলে এইরূপে পৃথিবীর আর-সমস্ত বিষয়ের রসই এই হংসঙ্গাতীয় জীবের পক্ষে জলের মত স্বাদবিহীন হয় । সমস্ত একেবারে মায়িক হইয়া দাড়ায়, কে বগ পাশই একমাত্র ব্রহ্মের মত মহাসত্য ও অমৃতের মত রসপ্রচুর হইয় উঠে। গোড়া হইতেই তাহীদের ধারণ জন্মিয় যায় যে তাহার। মানুষ হইবার জন্ত জন্মে নাই, ২৫শ বৎসরের পূৰ্ব্বে ভাল ভাল পাশ করিয়া চাকরীর উপযোগী হইবার জন্যই জন্মিয়াছে, স্বয়ং ব্রহ্ম। পাশের জন্তই মামুযের স্তষ্টি করিয়াছেন, মামুষের জন্য পাশ হয় নাই । যে নীচ, স্বাথানুসন্ধিৎসু শিক্ষার আদেশ মানুষকে এমন দাস-ভাবাপন্ন করিয়া তোলে, যে, মাঙ্গুষ হইবার উচ্চাভিলাষটাও তাহার মৰ্মে জাগ্রত হইবার অবসর পায় না, সেই আদর্শে উদগীবভাবে আমাদিগকে দীক্ষিত করিতে আমরা যে একটুও কুষ্ঠিত হই না ইহা বাস্তবিকই আশ্চর্য্যের বিষয় । যতদিন পর্য্যন্ত আমাদের নিজেদের মন হইতে শিক্ষার এই হীন আদশট। দুরীভূত না হইবে ততদিন কোনওরূপ শিক্ষণপ্রণালীই আমাদের দেশে সুফল ফলাইতে পরিবে না । পরিণামবাদের মূল তথ্যটির দিকে দৃষ্টিপাত করিলে দেখা যায় ষে মামুযের সঙ্গে পৃথিবীর সঙ্গে কি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শরীরের একবিন্দু রক্তের জন্ত ও সে বাহ প্রকৃতির নিকট ঋণী, এক মুহূৰ্ত্তের নিশ্বাসের জন্যও সে তাহার নিকট কৃতজ্ঞ। প্রাণশক্তির যে বৃত্তিগুলি উদ্বুদ্ধ হইয়া JS JSJSJJSAMS AAASASASS JJSS AAAAS --ء . "مبر ، بی ۔ প্রবাসী—ফাস্তুন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড মানুষকে মানুষ করিয়াছে, সেই প্রাণশক্তিও বf প্রকৃতির দ্বার দিয়া তাহার ভিতরে সঞ্চারিত হইয়াে গাছ যেমন তার শিকড়ের দ্বারা ক্রমশঃ রস অব করিয়া আপনার সমস্ত শক্তিকে সংহত করিয়া ফুল কf ফুটাইয়া তুলিবার চেষ্টায় শিরার পর শিরা শাখার শাখা বৰ্দ্ধিত ও পরিস্ফুট করিতে থাকে, সমস্ত প্রকৃf যেন ঠিক তেমনি করিয়া তার সমস্ত শক্তির চরম বিং ও চরম সফলতা করিয়া মানুষকে বহুযুগের চেষ্টা যত্নে ফুটাইয়া তুলিয়াছে। গাছপালা লতাপাত ফুল নানাবিধ জীবজন্তু লইয়৷ এই বিশ্ব জুড়িয়া এমনই এ আত্মগোষ্ঠী আত্মপরিবার রচিত হইয়াছে, যে, ইহা প্রত্যেকের সহিত প্রত্যেকের যেন একট। নাড়ীর যে রহিয়া গিয়াছে ; গাছ মাটি হইতে রস সংগ্রহ কf লইয়া নিজের দেহকে পুষ্ট করিতেছে, আবার তাহা দেহ হইতে রস সংগ্ৰহ করিয়া মাকুষ আপনাকে বাচা রাথিতেছে । জগনৃsাতা বসুমতীর অমৃতনিষাদ বি প্রবাহ উদ্ভিদ ও জীবজগতের নাড়ী প্রবাহের মধ্য { আমাদের মুখে নিত্যক্ষরিত হইয়া তাহাদের - আমাদের সম্পর্ক এত নিবিড়তর করিয়া তুলিয়াে বিশ্বপরিবারের মধ্যে নিজের এই যথার্থ স্থানটি ম' যাহাতে বুঝিতে পারে ও হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে, তাহা নাম শিক্ষা । বিশ্বপরিবারের এই গে।পন মিলন-বন্ধ জাগ্রত ও চেতনা ময় করিবার জন্যই মানুষ স্থষ্ট হইয়াে নিজের গোপন কথাটি বুঝিতে সজাগ হইবে, অ৷ অন্ধতাকে দূর করিয়া দিবে, ইহার জষ্ঠ প্রকৃতি উ হইয়া লক্ষ লক্ষ যুগ ধরিয়৷ সাধন করিয়া মাকু পাইয়াছে ; জড় অবস্থায় মুঢ়তা, উদ্ভিদ অবস্থায় ত মুঢ়তা, প্রাণিজগতের কিঞ্চিয়ুঢ়তা অতিক্রম কf মানুষের মধ্যে সে অপেন বোধিকে লাভ করিয়া স হইয়াছে । আপনার অনন্তবিস্তারী সাধনার ক্ষেে মধ্যে আপন সিদ্ধিকে রত্নপীঠের উপর বসাইয়। সে ত অfপ্তকামা হইয়াছে। বিশ্বপরিবারের এই বিপুল সংস্থা মধ্যে মানুষ যখন আপনার যথার্থ স্থানটি বাছিয়া লই পারে, এবং তাহার চারিদিকের সমস্ত বস্তুর সঙ্গে আপ মমতার বন্ধনটিকে দৃঢ়তর করিয়া তুলিতে পারে, তখ