পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や〉8 প্রবাসী—ফাস্তুন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড

  • * * * * حمبر

BBDB BBB BBBB BBBBB BBBB BB SBBSS SBBSS BBBBB SBBB BBBB BBBB BB BBBS খৃঃ পূঃ ) । পরে আলেকৃজাণ্ডারের পরবর্তী টলেমীদিগের কাল পর্য্যস্ত নানাসময়ে নানা কবর উষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত হইয়াছে। এই সকল বৃষ-কবরের উপর বৃষবাহনের মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । তাহ। এক্ষণে দেখা যায় না ; কবরের মধ্যে গ্রীকযুগের কতকগুলি চিহ্ন দেখিতে পাইলাম । গ্রীকের দেবদেবীগণের আশীৰ্ব্বাদ ও কৃপা ভিক্ষা করিবার জন্য এই কবরের গাত্রে নানা প্রার্থণা লিখিয়া যাইত । এইসমুদয় লিপি এখনও বর্তমান । সিরাপিয়ামের মধ্যে প্রশস্ত রাস্তার ভিন্ন ভিন্ন ভাগে কতকগুলি খিলন-কর। দরজা দেখিতে পাইলাম। সার্কোফেগাসের উপর যথারীতি চিত্রাঙ্কন এবং হয়েরোগ্লিফিক লিপিও পোদিত রহিয়াছে । বৃষ-সমাধি দর্শন করিয়া বালুকাময় পথে মরুভূধির উপর আসিলাম । নিকটেই একটা বিশ্রামস্থান। আমেরিকান, জাৰ্ম্মান, ফরাসী, ইত্যাদি নানাঙ্গাতীয় লোকের সঙ্গে এখানে দেথা হইল। পূৰ্ব্বদিকে কাইরে-নগর দেখ। যাইতেছে, স্যামল শস্যক্ষেত্রের উপর দিয়া শীতলবায়ু আমাদের উপর প্রবাহিত হইতে লাগিল। মরুভূমির ভিতরে এরূপ ঠাণ্ড বাতাস প্রাকৃতিক নিয়মে পাইবার কোন সম্ভাবনা নাই । বিশ্রামস্থানে অtহারাদি করিয়া আর-একটা কবর দেখিতে বাহির হইলাম। এটা মানুষের কবর-পশুর নয় । তবে অন্যান্য কবর হইতে ইষ্ঠার স্বাতন্ত্র্য আছে । ইহা কোন ফ্যারাওর সমাধিক্ষেত্র নয়। প্রাচীনমিশরের একজন প্রসিদ্ধ রাজকৰ্ম্মচারী ও ধনীব্যক্তি এই কবরের মধ্যে শয়ান । এইরূপ কবরকে ‘মস্তাবা’ বলে । সেই বিবান-উলু-মুলুকের রীতিতেই বালুক-প্রোথিত পৰ্ব্বতকন্দরে এই কবর নিৰ্ম্মিত । কবরের নিৰ্ম্মাণ-প্রণালী, প্রাচীরগাত্রে চিত্রাঙ্কন, কবরের অভ্যন্তরস্থ গৃহ-সমাবেশ ইত্যাদি সমূদয়েই সেই লুক্সারের কায়দা অকুস্থত দেখিলাম । তবে প্রদর্শক মহাশয় বলিলেন, “এই মস্তাবগুলি বিবান-উল-মুলুকের রাজকবর অপেক্ষা বহুপ্রাচীন ।” এই স্থানে দুইটি বড় বড় মস্তাব আছে। একটিতে

মেরার মস্তাবায় প্রবেশ করিলাম। প্রাচীনমিশরের কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়, বাণিজ্য, সবই আমরা প্রাচীরগাত্রে চিত্রিত বা খোদিত দেখিতে পাইলাম । ভারতের জলবাহকের যেরূপ স্বন্ধে বাক রাখিয়া সম্মুখে ও পশ্চাতে জলের কলসী লহিয়া থাকে, প্রাচীন মিশরেও সেই নিয়মে ভারবহনের চিত্র দেখিলাম । একস্থানে দেখা গেল পশুচিকিৎসালয়ের চিত্র, অার একস্থানে নর্তকীদিগের অঙ্গভঙ্গা । কোথাও মেরা পদ্মফুল শু-কিতেছেন, কোথাও বা নরনারীগণ পূজার উপহার মাথায় লইয়; আসিতেছে। মস্তাব দেখিয়া পুনরায় গর্দভপৃষ্ঠে যাএ। করিলাম । প্রায় দুইঘণ্টা চলিয়। রেলওয়ে ষ্টেসনে পৌছিলাম। পথে দুইতিনটা পল্লী দেখিতে পাওয়া গেল । শান্তিপূর্ণ লোকবাস, মুদীখানা, দোকান ইত্যাদি সবতাতেই ভারতীয় পল্লা সাদৃশ্ব রহিয়াছে। ফেল্প ও ফেল্লাপত্নীর মাঠে চাষ করিতেছে । শসা, কুমড়া, কড়াইগুটি, গম, তুলা, ইক্ষু ইত্যাদি নানাবিধ শস্তোর অাবাদ দেখিতে পাইলাম । পারগুচক্রের সাহায্যে ক্ষেতে জলসেচন করা হইতেছে। ছোট ছোট কোদাল ও উষ্ট্র-বাহিত লাঙ্গলের সাহায্যে মাটি কাটা হইতেছে । প্রায় সকল পথেই নাইল খালের নানা শাখা প্রশাখা বিস্তৃত। জলের অভাব কোথাও লক্ষ্য করিলাম না । সৰ্ব্ব এই কষ্ণমৃত্তিক দেখিতে পাইলাম । এইপথে আসিতে প্রাচীন মেম্‌ফিসনগরের পুরাতন স্থান অতিক্রম করিলাম। এক জায়গায় রামসেস সম্রাটের বিশাল প্রতিমূৰ্ত্তি পড়িয়া রহিয়াছে । এই প্রতিমূৰ্ত্তির পশ্চাদ্ভাগে তাহার পত্নীর চিত্র খোদিত। এইরূপ যুগলমূৰ্ত্তি লুক্সারের যু্যামন-মন্দিরে পূৰ্ব্বে কয়েকটা দেখিয়ছি । রামসেসের মূৰ্ত্তি মেমফিসের দেবতা বৃষবাহন “তা”-দেবের মন্দির-সম্মুখে অবস্থিত ছিল । সেই মন্দিরের কোন অংশই বর্তমান নাই । মাটি খুড়িয়া পাথর বাহির করা হইতেছে দেখিলাম । মিশরের স্থাপত্য, অট্টালিকা এবং চিত্রাঙ্কণ দেখিয়া ভারতবর্ষের বিবিধ শিল্পকলার সঙ্গে তুলনা করিতে এখনও কোন সুধী প্রবৃত্ত হন নাই। ইংরেজ অধ্যাপক পেট্রি এবং ফরাসী অধ্যাপক ম্যাম্পেরে। প্রভূতি পণ্ডিতগণ