পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] সমাজ ইইতে সমূলে উৎপাটনই সমাজধৰ্ম্ম আর দয়াদাক্ষিণ্যাদি মানুষকে দুৰ্ব্বল ও কাপুরুষ করে বলিয়া তাহ কৃতদাসের ধৰ্ম্ম,—মামুযের ধৰ্ম্ম শক্তসাধন। অপরদিকে স্বপ্রজননবিদ্যার (Fugenics.g3) cq#f# দিয়া বংশের অবনতি নিবারণ করিতে গিয়া পাপতাপীর ত্রাণ, বিকল্পাঙ্গ বা রাজদুষ্ট ব্যক্তির সমাজে পোষণ ও অবাধ সংমিশ্ৰণাদি হেয় ও বর্জনীয় বলিয়া ঘোষণা করা হইতেছে। এই শ্রেণীর মতে• কঠোর জীবনসংগ্রাম বংশোমতিসাধনের প্রকৃষ্ট পন্থ । আমরা এই জীবনংগ্রামকে নিয়ন্ত্রিত করিব, আরো অধিক কার্যকর করিব । কিন্তু দয়। করুণাদির প্রেরণায় তাহার প্রতিকূলাচবণ করিব না, করিলে ধ্বংসাভিমুখে পতিত হইব । অন্তর্জাতীয় *Rça ( International Lifca ) &# aR# #dl I হীন, দুৰ্ব্বল, দুৰ্ব্বত্ত ও দুষ্টবাজোদ্ভব জাতিসকলের ক্রমিক উচ্ছেদই বিশ্বমানবের পক্ষে একান্ত মঙ্গলকর । দুর্ভিক্ষ, প্লেগ, ম্যালেরিয়া, কুসংস্কার প্রভৃতিতে যে অক্ষমজাতির ক্ষয় হয় তাহা কৃত্রিম উপায় ও বাহাশ।ঞ্জর অবলম্বনে রোধ করিতে যাওয়া কেবল বিশ্বমানবের অহিত্যচরণ করা । সামাজিক জীবনে যেমন জীবনসংগ্রাম বিনা কে সক্ষম কে অক্ষম জানিবার উপায় নাই, তেমনই অন্তর্জাতীয় জীবনে যুদ্ধবিন শক্ত অশক্তের নিৰ্দ্ধারণ সম্ভব নয়। সুতরাং যুদ্ধেরই জয় ! এই শিক্ষার বিপক্ষে ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, ইহার ফলেই বর্তমান কুরুক্ষেত্র, আব সেই ক্ষেত্রে অমামুষিক বা অতিমামুষিক বৰ্ব্বর তা । মকুষ্যের কুলক্ষয়ের এমন পস্থা ইতিপূৰ্ব্বে আবিষ্কৃত হয় নাই । আর যদি এষ্ট শিক্ষাবিষ সভাসমাজদেহ হইতে বিদূরিত না হয় তাহ হইলে একটি কুরুক্ষেত্র নহে, কুরুক্ষেত্রের পর কুরুক্ষেত্র আসিতেছে,—সমগ্র মানৰজাতির ধ্বংস অনিবাৰ্য্য । কিন্তু এই মালথাস-বাদ, অতিমানববাদ ও স্বপ্রজননবাদের শিক্ষায় যে সারসত্য নিহিত আছে তাহা উপেক্ষা করিলে চলিবে না । প্রচলিত লোকসেবাধৰ্ম্মে যে অকল্যাণ সাধিত হইয়াছে, যেজন্য তাহা তেমন সার্থক বা কাৰ্য্যকর হয় নাই তাহা বুঝিবার পক্ষে এই শিক্ষণ সহায়তা করিবে । জীবনীশক্তি একটা স্বজনী বৰ্তমানযুগের সেব-আদর্শ সম্বন্ধে গুটিকয়েক কথা e - Hස චූ শক্তি,—আত্মশক্তির উদ্বোধন ন হইলে জীবন পাওয়া ষায় না। সুতরাং সেবার উদ্বেগু এমন নয় যে বাহির হইতে অভাব পূরণ করিয়া দুৰ্ব্বলতা বা অক্ষমতা বাড়াইয়। তোলা । কিন্তু প্রত্যেক মানবে—-আৰ্ত্ত পতিত রুগ্ন সকলের মধ্যেই—জীবনীশক্তি ইচ্ছাশক্তি জাগানই সেবার একমাত্র লক্ষ্য । জীবনে অধিকার (right to live), goalsco afoto (right to happiness), নিজের শক্তিনিচয়ের স্ফৰ্ত্তিতে ও ব্যবহারে নিজের ভাগ্যবিধান করিবার অধিকার—সমাজের কাছে, বিধাতার রাজ্যে, আমার কেবল দেন। নয়, অামার পাওনাও আছে এইরূপ ব্যক্তিত্ব ও স্বতন্ত্রত্ববোধ—এগুলি ন জাগিলে কণহারে কল্যাণ হয় না । লোকসেবাকে শক্তিসাধনের অমুকুল করিতে হইবে । সুতরাং অক্ষমকে সক্ষম করিয়া তোলা, লাবালক যাহাতে সাবালক হইয়া উঠে ও আত্মসংরক্ষণের উপযোগী শক্তি আহরণ করে সেইরূপ বিধান করাই আমাদের এ যুগের সেবার লক্ষ্য হইবে । বিশেষতঃ ইহা বুঝিতে হইবে ষে যতদূর সম্ভব দুঃখদারিদ্র্যের বীজ উন্মলিত করাই দুঃখদারিরী লাঘব করিবার প্রকৃষ্ট উপায়। কেবল জীবনসংগ্রামে আহত ব্যক্তির সেবা করা, সমাজের সংগ্রামক্ষেত্রে লাল ক্রুশ (Red Cross) ব৷ আৰ্ত্তসেবার চিহ্ন বহন করা ও হত আহত ব্যক্তিদের গতি করাই প্রকৃষ্ট সেবাধৰ্ম্ম নহে। এ কথা পলিলে চলিবে না যে যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ চলিতে থাকুক, তাহ নিবারণ করিবার সামর্থ্য আমাদের নাই, এস আমরা কেবল আহত ব্যক্তিদের সেবা করি। যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে হইবে । এই যে কতকাল ধরিয়া মানবসমাজে কুরুক্ষেএ চলিতেছে ইহার উপশম চাই । শক্রসেনা অসংথ্য,--কথনে প্রচ্ছন্ন, কখনো ব্যক্ত । ব্যাকটিরিয়া, অস্বাস্থ্যকর পারিপাশ্বিক অবস্থা, অজ্ঞান, ভ্রান্তমত, কুসংস্কার, কদাচার, কুপ্রথা, পাপের সামাজিক বা দৈহিক বীজ (criminal taint), রোগদূষ্ট q**#si (hereditary discasc)-aẽ #*ta13 fRFzỹ যুদ্ধঘোষণা করিতে হইবে , হত্যাক্ষেত্রে নয়, এই যুদ্ধক্ষেত্রেই শক্তি বা কমর্য্য আহরণ করিতে হইবে । Will to power প্রতাপ শৌর্য অদম্যতেজ অসীম সাহসু