পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] তোমর জাসিয়াছ, মনোযোগ আমি তোমাদের ভাল করিব। উপস্থিত তোমাকে এবং . প্রিয়নাথকে মদ্য হইতে মাসে ৫০ টাকা ও বাকী কয়জনকে ১০ টাকা হিসাবে মাহিনী,বৃদ্ধি করিয়া দিলাম।” সুতরাং কাবুলে পৌঁছিয়া প্রিয়নাথ বাবু ও রাজকৃষ্ণ বাবুর ৯০০ শত করিয়া ও . অবশিষ্ট ১২ জনের করিয়া মাসিক বেতন নিৰ্দ্ধারিত হইল । সকলে প্রায় এক ঘণ্টা কাল আমীরের নিকট "বস্থিতি করিবার পর বাসায় প্রত্যাগত হন । e আমীর র্তাহাদিগকে চাকরের মত জ্ঞান না করিয়া অতিথিস্বরূপ গ্রহণ করায় তাহাদিগের অভ্যর্থনার নিমিত্ত প্রথম তিন দিন প্রচুর আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থা হইয়াছিল। এই উপলক্ষে তাহাদিগের সহিত কাবুলের বহু ব্যক্তি নিমন্ত্রিত হইয়া প্রমোদমণ্ডপে উপস্থিত হইয়াছিলেন । র্ত{হাদিগের সহিত ভাবী কারখানার অধ্যক্ষ জান মহম্মদ খাও নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন ; পূৰ্ব্বোক্ত সোভান আলি খা তাহার সহিত বাঙ্গালী কয়জনের পরিচয় করিয়া দেন । তিন দিবস পরে আমীরের আদেশে কারখানার কার্ধ্য আরম্ভ হয়। র্তাহীদের বাসা হইতে অৰ্দ্ধ ক্রোশ দূরে “বাবুর বাগ” নামক স্থানে কারখান-বাড়ী এবং সঙ্গেসঙ্গেই কল বসান আরম্ভ হয়। কলগুলি ইতিপূৰ্ব্বেই estoisia się cofiozitrůst (Walter Lock and Co. ) মাফ ৎ কাবুলে অানান ছিল । এইসকল কল বসাইতে রাজকৃষ্ণ বাবুর ছয় মাস লাগিয়াছিল । তিনটি কারখানার মধ্যে• ১নং কারখানা হাজার ফুট, ২নং পাঁচশত ফুট ও ৩নং কারখানা দুই শত ফুট জমির উপর নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । তিনটি কারখানায় সৰ্ব্বসমেত ২৫০ জন , কারিগর নিযুক্ত করা হইয়াছিল। স্থানীয় কারিগরের হাতের কাজই জানিত এবং যন্ত্র ব্যবহারে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ছিল। পূৰ্ব্বে তাহার। হাতেই বন্দুক ও কামান প্রভৃতি তৈয়ার করিত । আমীর প্রতি সপ্তাহে একবার কারখানা দেখিতে আসিতেন । রাজকৃষ্ণ বাবু তাহার গমনাগমনের জন্য দরবার হইতে কারখানা পৰ্য্যন্ত রেল লাইন পাভিয়া দেন । এজন্য হিন্দুস্থান " و ۹ های همراه নেপালপ্রবাদী কাপ্তেন রাজকৃষ্ণ কৰ্ম্মকার দিয়া কাজ কৰ্ম্ম কর । ৬৩৫ হইতে একটি পাঁচ ঘোড়া জোরের চলিষ্ণু কল আনা ইষ্টযুছিল । কিন্তু ইঞ্জিনের উত্তাপে আযীরের কষ্ট হওয়ায় ইষ্ট ইণ্ডিয়। রেল কোম্পানীর প্রথম শ্রেণীর গাড়ীর মত একখানি গাড়ী তৈয়ার করা হয়। এ সমুদয় কাৰ্য্য রাজকৃষ্ণ বাবু ও তাহার সঙ্গীগণের দ্বারাই 'সম্পাদিত হইয়াছিল। ছয়মাস পরে কারখানা প্রস্তুত হইয়া যেদিন সৰ্ব্বপ্রথম কল চালান হয় সেদিনু আমীর সাহেব স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া কলসমূহ সুচারুরূপে চলিতে দেখিয়। অতিশয় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং ঐ সঙ্গে তাহার পুরোহিত মুল্লা সাহেব আসিয়া এই কারখানার প্রত্যেক যন্ত্রটিকে আফগান-শাস্ত্রমতে পূজা করেন । ইহার পর আমীরের আদেশে সকলের জলযোগের নিমিত্ত মিষ্টান্ন ও মেওয়া বিতরিত হয় এবং ১৩ জন বাঙ্গালীকে আমীর উচ্চপদস্থ ও সন্ত্রান্ত ব্যক্তিদিগের ব্যবহার্য্য লুঙ্গীর পাগড়ী উপহার দিয়া বিশেষভাবে সন্মানিত করিয়া প্রস্থান করেন। এগ্রিমেণ্ট অনুসারে আড়াই বৎসর જૂર્વ হইলে, রাজকৃষ্ণ বাবু সঙ্গীগণের সহিত আমীরের নিকট বিদায় প্রার্থনা করেন । আমার তাহণদের কার্য্যের জন্য যারপরনাই সন্তোষ প্রকাশ করিয়া ও পুরস্কত করিয়া বিদায় । দেন। রাজকৃষ্ণু বাবুকে তিনি একখানি নিদর্শনপত্রসহ একটি অটোমেটিৰ্ক ঘড়ি, কাবুলের একপানি সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট গাম্মুিচা, নগদ দুইশত টাক। এবং একটি উত্তম অশ্ব পুরস্কারস্বরূপ দেন এবং বলেন--"তোমরা পুনরায় আসিও, এবার তোমার ৫০৩২ শত টাকা ৰেতন করিয়া দিব।” আমীরের সদাশয়তায় তাহদের কাবুলপ্রবাস যথেষ্ট সুখপ্রদ হইয়াছিল। র্তাহার। যখন কারখানায় কৰ্ম্ম করিতেন প্রতি সপ্তাহে আমীর-ভবন হইতে র্তাহাদের জন্য রাজতোগের উপযোগী মেওয়া প্রভূতি খাদ্যসামগ্রী আসিত এবং আমীর প্রত্যহ তাহীদের সকলের কুশলংবাদ লইতেন। কাবুলে থাকিতে একবার রাজকৃষ্ণ বাবুর প্রাণসংশয়কর বিপদ ঘুটিয়াছিল ; তিনি একদিন সন্ধ্যার প্রাক্কালে অশ্বারোহণে যাটতেছিলেন ; সেই সময়ে আর-একজন অশ্বারোহী তাঁরবেগে আসিয় তাহার অশ্বকে এমন ভাবে কষাঘাত করিয়া নিমেযে অন্তৰ্হিত হয়, যে, তাহার অশ্ব উন্মত্তের মত দিগ্বিদিকুজ্ঞানশূন্ত'