পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] কবরের দেশে দিন পনর ত্রয়োদশ দিবস—নব্য মিশর। ১৯১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানবপরিষদের .প্রথম অধিবেশন হইয়াছিল । শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, লোহিত্যুঙ্গ, পীতাঙ্গ ইতু্যাদি জগতের সকলপ্রকার জাতি হইতে পণ্ডিতগণ সেই সভায় নিজ নিজ সমাজ, ধৰ্ম্ম ও সভ্যতা সম্বন্ধে বক্তৃতা” করিবN.জষ্ঠ নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন । মানবজাতির বিভিন্ন শাখার মধ্যে পরম্পর সধ্য ও পৌহার্দ্য বদ্ধনই এই সভার উদ্বেগু ছিল। বঙ্গের সুপ্রসিদ্ধ হিন্দুসাহিত্যপ্রচারক দার্শনিক যুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল এই সভায় নেতৃত্বের পদে আধু৩ হন। ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে শ্ৰীযুক্ত গোখলে মহোদয় প্রবন্ধ পাঠাইয়াছিলেন । আধুনিক মিশর সম্বন্ধেও একজন প্রবন্ধ লিথিয়াছলেন। তাহার নাম মহম্মদ সুরুর বে। হনি কাইরো নগরের একজন প্রসিদ্ধ ব্যাখ্রষ্টার । অন্তজাতিক বিচারালয়সমূহে ইনি ওকাণতা করেণ । ফরাস ৩। ষার সাহায্যে ইনি উচ্চশিক্ষা লাভ কfরয়ছিলেন । হান ফরাসী ভাষাতেহ ব্যবসায় চালা হয়৷ থাকেন । মিশরের বর্তমান সমাজে হইfর মধ্যাদা বেণ উচচ । কাইরের অfর- একজন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত বাহগাত বে । ইনি চিকিৎসক । পাশ্চাত্য বিজ্ঞ:নানুসারে চিকিৎসা শিক্ষা করিয়াtছলেন। এক্ষণে চিকিৎসা বিদ্যালয়ে অং্যাপক ৩া করেন । ইণি ইংরেজীতে বেশ লিথি৩ে બાજુના “નામ ફમનામ". ત્રા નાનાના হন একজন নায়ক । জগতের মুসলমানধৰ্ম্মাবলম্বী জনগণের তবিয্যৎ আদর্শ ইনি যথেষ্ট পাণ্ডি ৩্য ও দার্শনিকতার সৃষ্টিত আলোচনা করিয়াছেন। দুঃখের বিষয়, ভারতীয় মুসলমানের। “প্যান-ইসলাম” আন্দোলনকে অনেকটা হিন্দু-বিরোধী আন্দোলনে পরিণত করিয়া তুলিতেছিলেন । কিন্তু ডাক্তার বাহগাত বে মহাশয়ের আদর্শ অতি উচ্চ । জগতের সভ্যতা-ভাণ্ডারে আধুনিক মুসলমান জাতিরাও নিজেদের যাহা দিবার তাহা দিয়া ইহাকে নব উপায়ে ঐশ্বৰ্য্যশালী করিয়া তুলিবে— কবরের দেশে দিন পনর \\ე 8 » ইহাই তাহার আকাঙ্ক্ষণ । ভারতবাসী হিন্দুগণও তাঁহাই ਾਂ বিশ্বের আধুনিক ইতিহাসে হিন্দুল্লত্যতা তাহার স্বাতন্ত্রী রক্ষা করিয়৷ জগতের ঐশ্বর্য বুদ্ধি’ করিবে—ইহাই বর্ধমান হিন্দুজাতির মৰ্ম্মকথা। . 鳍 _ ডাক্তার বে মহাশয়ের বৈঠকখানায় আগাগোড়া "স্বদেশী শিল্প, কারুকার্য্য ও চিএ দেখিলাম । তাহার গৃহের ছাদ, প্রাচীর, টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি সকল জিনিবেই মুসলমানী কায়দার অলঙ্কার ও সাজসজ্জ। রহিয়াছে। কোন স্থানেই নব্য আলোক বা “আলফ্রাঙ্কা’র চিহ্ন দেখিলাম না। গৃহে যতগুলি ছবি রহিয়াছে সকল গুলিই মুসলমান-সমাজ-বিষয়ক । তুরস্কের ও মিশরের নানা দৃষ্ঠ ও ঘটনা এই চিত্রাবলীর আলোচিত বিষয় ; 斜 আমাদের প্রাচীন নালন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ কাষ্টবোর “এলু—আজিীর” বা মসজিদ-বিশ্ববিদ্যালয় পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি। ইহার প্রভাবের কথাও পূৰ্ব্বে শুনিয়াছি। অাজ কথায় কথায় আমাদের প্রদর্শক, বলিলেন,—‘এই বিশ্ববিদ্যালয় হইতেই আধুনিক ইংরেজ ও ফরাসী পণ্ডিতগণ আরবী ও মুসলমানী সাহিত্য শিক্ষা করিয়াছেন। মুসলমান ব্যতীত অঙ্গধর্মাবলম্বী লোকও এই স্থানে শিক্ষা পায়। অকসফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামবিষয়ক বিদ্যার প্রবত্ত ক ত্রযুক্ত অধ্যাপক ব্রকর্ড ( Brochardt ) এই মসজিদ-বিদ্যালয়েই প্রথম আরবী শিক্ষণ করেন। ভারতীয় সেনবিভাগের কাপ্তেন শ্রীযুক্ত স্যার উইলিয়ম বার্টনও এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা পাইয়াছিলেন। পরে ইনি মুসলমানধৰ্ম্ম অবলম্বনপূর্বক আবদাল্লা নাম গ্রহণ করেন। ভারতীয় মধ্যযুগ বা মুসলমান প্রভাবের কাল সম্বন্ধে শ্রীযুক্ত লেন পুল গ্রস্থ লিথিয়৷ প্রসিদ্ধ হইয়াছেন । ইনিও এই মসজিদ-বিদ্যালয়েরই 团西目 আঙ্গ মিশরীয় মুসলমান-সমাজের এক নূতন উদ্যম ও কৃতিত্বের পরিচয় পাইলাম। এতদিন মিশরে সুকুমার শিল্প ও চিএকশ শিখাইবার কোন ব্যবস্থা ছিল না । মুসলমানদিগের প্রতিভ এই বিভাগে আদৌ আছে কি না তাহাই অনেকে সন্দেহ করিতেন। প্রায় সাত বৎসর '