পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3)● লাগিল। তখন তিনি তাহার রাত্রে আশ্রয়দাতা বাগদি পিতামাতার সহিত র্তাহাদের পরিচয় করাইয়া দিয়া বলিলেন, ‘এরা এসে আমাকে রক্ষা না করলে কাল রাত্রে যে কি কর্তুম, বলতে পারি না।’ তাহার পর সকলে আবার পথচলা আরম্ভ করিবার জন্ত প্রস্তত হইলে সারদামণি দেবী ঐ পুরুষ ও রমণীকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাইয়া বিদায় প্রার্থনা করিলেন । তিনি বলিয়াছেন, “এক রাত্রের মধ্যে আমরা পরস্পরকে এতদূর আপনার - করিয়া লইয়াছিলাম যে, বিদায়-গ্রহণ-কালে ব্যাকুল হইয় অজস্র ক্ৰন্দন করিতে লাগিলাম। অবশেষে হুবিধামত দক্ষিণেশ্বরে আমাকে দেখিতে আসিতে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ পূর্বক ঐকথা স্বীকার করাইয়া লইয়া অতিকষ্ট্রে তাহাদিগন্ধে ছাড়িরা জাগিলাম। আসিবার কালে তাহার। অনেক দূর পৰ্যন্ত আমাদের সঙ্গে আসিয়াছিল, এবং রমণী পার্শ্ববর্তী ক্ষেত্র হইতে কতকগুলি কড়াই-গুটি তুলিয়া কঁদিতে কঁাদিতে আমার অঞ্চলে रौiदिब्रां कांठब्रकtॐ वजिब्रांहिला, “भ नांद्रन, ब्रांtब रुथन भूक्लि शांत्रि, छशन এইগুলি দিয়ে খাস । পুৰ্ব্বোক্ত অঙ্গীকার তাহার রক্ষা করিয়াছিল। মিষ্টায় প্রভৃতি দ্রব্য লইয়া আমাকে দেখিতে মধ্যে মধ্যে কয়েকবার केचिर*षtग्न यांगिब्रां ॐहिठ हड़ेब्रांहिल । '@नि७ अांभांब्र निकः। - गकण कथीं खनिम्नां ॐ ममठग्न उॉक्षभिtर्णग्न महिष्ठ छांभांखांब्र डांग्र ব্যবহারে ও জাদর-আপ্যায়নে তাহাদিগকে পরিতৃপ্ত করিয়াছিলেন । এখন সরল ও সচ্চরিত্র হইলেও আমার ডাকাত-বাবা পূর্কে কখন কথন ডাকাইতি যে করিয়াছিল, একথা কিন্তু আমার মনে হয়।" ১২৯৩ সালের ৩১শে শ্রাবণ পরমহংস দেব দেহত্যাগ করেন। তখন সারদামণি দেবীর বয়স ৩৩ বৎসল্প । আমি শুনিয়াছিলাম, স্বামীর তিরোভারে সারদামণি দেবী বিধবার বেশ ধারণ করেন নাই । ইহা সত্য কি না জানিবার জন্ত পরমহংস দেবের ও সারদামণি দেবীর একজন ভক্তকে চিঠি লিথিয়ছিলাম। তিনি উত্তর দিয়াছেন :- * “প্রজমংপরমহংস দেবের দেহরক্ষার সময় মা হাতের বালা খুলিতে গেলে, শ্ৰীশ্ৰীপরমহংস দেব, জীবিত অবস্থায় রোগহীন শরীরে যেমন দেখিতে ছিলেন, সেই মুক্তিতে আসিয়া মার হাত চাপিয়া ধরিয়া বলেন—আমি কি মৰিয়াছি যে তুমি এয়োজীর জিনিষ হাত হইতে খুলিতেছ ? এই কথার পর আর মা কখন শুধু হাতে থাকেন নাই—পরিধানে লাল নক্লন-পেড়ে কাপড় এবং হাতে বালা ছিল ।”

  • e আঙ্কার অমরত্বে এইরূপ বিশ্বাস সকলের থাকিলে সংসারের অনেক দুঃখ পাপ তাপ ওঁ দুৰ্গতি দূর হয়।

প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড স্বামীর তিয়ােভাবের পর সারদামণি দেবী ও বসর বঁচিয় ছিলেন । তিনি ১৩২৭ সালের ৪ঠা শ্রাবণ ৬৭ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন। তাহার পরবর্তী ভাত্র মাসের “উদ্বোধন” পত্রে তাহার ব্রত, ত্যাগ, নিষ্ঠা, সংষম, সকলের প্রতি সমান ভালবাসা, সেবাপরায়ণতা, দিবারাত্র অক্লান্ত ভাবে কৰ্ম্মানুষ্ঠান ও নিজ শীরের স্থখদুঃখের প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীনতা, তাহার সরলতা, নিরভিমানিত, সহিষ্ণুতা, দয়া, ক্ষম, সহানুভূতি ও নিঃস্বার্থপরতা প্রভৃতি গুণ কীৰ্ত্তিত হইয়াছিল । তাহার স্বামীর ও তাহার ভক্তেরা তাহাকে মাতৃসম্বোধন করিতেন এবং এখনও মা বলিয়াই তাঙ্গার উল্লেখ করেন । এই মাতৃসম্বোধ সার্থক হউক । * সারদামণি দেবীর সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত রচনা আমার পক্ষে নান কারণে সহজ হয় নাই । তাহাকে প্রণাম করিবার ও র্তাহার সহিত পরিচিত হইবার সৌভাগ্য আমার কখনও না হওয়ায় তাহার সম্বন্ধে আমার সাক্ষাৎ কোন জ্ঞান নাই। পুস্তক ও পত্রিকা হইতে আমাকে তাহার বিষয়ে তথ্য সংগ্ৰহ করিতে হইয়াছে। কিন্তু তাহা হইতেও যথেষ্ট সাহায্য পাই নাই। “শ্ৰীশ্ৰী রামকৃষ্ণলীলাগ্রসঙ্গ” আমার প্রধান অবলম্বন। ছোট অক্ষরে যাহা ছাপা হইয়াছে, তাহা ছাড়া অন্ত অনেক স্থলেও ঐ পুস্তকের ভাষা পৰ্য্যন্ত গৃহীত হইয়াছে । “উদ্বোধন” হইতেও অল্প সাহায্য পাইয়াছি। ইহার ছটি প্রবন্ধে ভক্তিউচ্ছসিত ভাষায় তাহার নানা গুণের বন্দন আছে। যে-সকল কথায় কাজে ঘটনায় আগ্যায়িকায় ঐ-সকল গুণ প্রকাশ পাইয়াছিল, তাহার কিছু কিছু লিখিত হইলে ভাল হয়। যাহাতে মাহুষের অন্তরের পরিচয় পাওয়া যায়, এমন কোনও কথা কাজ ঘটনা আখ্যায়িকাই তুচ্ছ নহে। কাহারও জীবন্ত ছবি মাহুষের নিকট উপস্থিত করিতে হইলে এগুলি আবশুক । “ঐঐ রামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ” ব্যতীত, সারদামণি লেৰীর ষেসকল ফোটােগ্রাফ হইতে ছবি প্রস্তুত করাইয়াছি, সেইগুলির এবং কয়েকটি সংবাদের জন্তুও আমি ব্ৰহ্মচারী श्रत्यञ्जनार्थब निको भी। उशत्रु उन्क्छ क्लज्खज्र জানাইতেছি । ] - ষ্ট্র রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়