পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qパり বলিয়াছেন তাহাতে মনে হয় এ-সমুদায়ই লৌকিক ভাব ; পারমার্থিকভাবে আত্মা দেশ কালের অতীত। এস্থলেও র্তাহার সিদ্ধান্ত এই :– . এই আত্মা "নেতি” “নেতি”—‘ইহা হয়’, ‘ইহা নয়’ । ইহা অগ্রাহ, ইহাকে গ্রহণ করা যায় না ; ইহা আশীৰ্য্য, ইহা শীর্ণ হয় না ; ইহা অসঙ্গ, কোন বস্তুতে আবদ্ধ হয় না ; ইহা আবদ্ধ, ইহা ব্যথিত বা হিংসিত হয় না (বৃহঃ ৪।২) । (২) দ্বিতীয় একদিনে অপর একদিন জনক যাজ্ঞবল্কাকে ব্রহ্ম-বিষয়ে প্রশ্ন করিয়াছিলেন ( রঙ্গঃ এ-স্থলেও সিদ্ধান্ত— “আত্মাই ব্ৰহ্ম” ৷ 8|9,8 ) ( ক ) প্রথমে প্রশ্ন হইয়াছিল—“মাষ্ট্য কোন জ্যোতির সাহায্যে সংসারের কার্য্য সম্পন্ন করে ?” ইহার উত্তর এই —স্বৰ্য্য চন্দ্র ও অগ্নির সাহায্যে । ঘে সময়ে সূর্যা-চন্দ্রাদি থাকে না, সে সময়ে শব্দের সাহায্যে মানুষ কাৰ্য্য কবে । যখন শব্দও থাকে না, তখন মানুষ “আত্মজ্যোতি” দ্বার সমুদায় কাৰ্য্য সম্পন্ন করে । এখানে যে আত্ম রূপ জ্যোতির কথা বলা হইল, ইহ শুনিয়া, জনক জিজ্ঞাস করিলেন :–“সেই আত্ম। কে ?” যাঙ্গবন্ধ বললেন --প্রাণসমূহ দ্বার পরিবেষ্টিত হুইয়া যে বিজ্ঞানময় ও জ্যোতিৰ্ম্ময় পুরুষ হৃদয়ে অবস্থিতি করেন, তিনিই আত্মা" । ( ৪৩৭ ) ( २ ) ইহার পরে যা জ্ঞবল্কা বলিতেছেন—“এই আত্ম— ইহলোক ও পরলোক-এই উভয় লোকেই বিচরণ করেন, ইহাতে আত্মার একত্ব বিনাশপ্রাপ্ত হয় না । আমাদিগের মনে হয় এই আত্ম চিন্তা করেন, এই আত্মা ক্রীড়া করেন ; কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আত্মা চিন্তাও করেন না, ক্রীড়াও করেন না ।" भूएल श्रीदछ “आग्नडि शेद : ८जलां★डि छेद" ( ठूश्९ ৪৩৭ ) অর্থাৎ এই আত্মা যেন ধ্যান করিতেছেন, যেন ক্রীড়া করিতেছেন। "ইব” শব্দ ব্যবহার করিয়া ঋষি প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড বুঝাইতেছেন যে আত্মা ধ্যানও করেন না, ক্রীড়াও, করেন না। মানব ভ্রমবশতই মনে করে—আত্মা চিন্তা করিতেছেন, আত্মা ক্রীড়া করিতেছেন। ইহার পরে ঋষি বলিতেছেন —“স্বপ্লাবস্থায় আত্মা ইহলোক অতিক্রম করেন এবং মৃত্যুর অতীত হন। এই অবস্থায় আত্মা ‘স্বয়ং জ্যোতি হইয়া বিহার করেন। স্বপ্লাবস্থায় আত্মা যাহা দৰ্শন করেন, যাহা উপভোগ করেন, সেসমুদায়ই আত্মা স্বয়ং স্বষ্টি করেন। কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে স্বপ্লাবস্থা জাগ্রদবস্থারই স্মৃতি।” এস্থলে যাজ্ঞবল্ক্য বলিতেছেন—“এ মত অসত্য। এই অবস্থায় আত্মাই-কৰ্ত্তা ; আত্মাই সমুদায় বস্তু স্বষ্টি করিয়া স্বয়ং উপভোগ করেন।” ( घ ) ইহার পর ঋষি বলিতেছেন পুরুষ যখন স্বযুপ্ত হয়, তথন আত্মা স্বরূপ প্রাপ্ত ইঙ্গ ব্ৰহ্মাবস্থাই (כטוסין 8) এই অবস্থার বিবরণ এই—“যেমন লোকে প্রিয়াস্ত্রীকর্তৃক সম্পরিম্বন্ত হইলে বাহ বা অন্তর কিছুই জানে না, তেমনি এই পুরুষ প্রাঞ্জ-আত্মা কর্তৃক আলিঙ্গিত হইলে বাহ বা অন্তর কিছুই জানে না। ইহাই ইহার আত্মকাম, অকাম, ও শোক-রহিত অবস্থ। । এই অবস্থায় পিতা অপিতা হন, মাতা অমাতা হন, লোক অলোক হন, দেব আদেব হন, স্তেন অস্তেন হন, ভ্রুণহী আক্রণহী, চণ্ডাল আচণ্ডাল, পৌস্কস আপৌস্কস, শ্রমণ অশ্রমণ, তাপস অতাপস হন । পুণ্য ইহার অন্তগমন করে না, পাপ ইঙ্গর অন্তগমন করে না । তখন এই পুরুষ হৃদয়ের সমুদায় শোক হইতে বিমুক্ত হয় ।” এখানে যাহা বলা হইল তাঙ্গ দুনীতি প্রশ্রয়ের কথা নছে, তাহা অদ্বৈতবাদের কথা । বিশুদ্ধ-অদ্বৈতবাদিগণ বলেন আত্মা যখন স্বরূপ প্রাপ্ত হন, তখন র্তাহার নিকট এই জগৎ থাকে না, এবং তাহার দ্বৈতজ্ঞান থাকে না। যেখানে জগতই নাই সেখানে পিতা মাতা আত্মীয স্বজন শত্রু মিত্র ইত্যাদি কোথায় ? সংসারের পাপপুণ্য দ্বৈতমূলক । যেখানে দ্বিতীয় মানবই নাই সেখানে পাপ পুণা কিপ্রকারে সম্ভব হইবে ? এইজন্যই বলা হয় হয় ।