পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিস্তারের জন্য কোন চেষ্টাই ত করে না। সিরাজগঞ্জের অষ্ট্রেলিয়ান মিশনের পাদ্রিগণের দ্বারা নমঃশূদ্ৰজাতির কল্যাণ হইতে পারে বুঝিয় তিনি পাদ্রাদিগের সাহায্য • প্রার্থী হন। পাস্ত্রীগণও এই সুযোগে নমঃশূদ্রদিগের চিত্ত আকর্ষণ করিবার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করিতে থাকেন। কঠিন পীড়ায় ঔষধ পথ্য দান, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদিগকে খেলনা, জামা, মিষ্টান্ন ইত্যাদি দিয়া এবং কোলে পিঠে করিয়া তাহাদিগকে শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করা, এবং ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের যৎসামান্ত সাহায্য-প্রাপ্ত প্রাইমারী বিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদিগকে তাহদের মিশন হইতে কিছু কিছু সাহায্য-প্রদান, স্কুলগৃহ-নিৰ্ম্মাণে-সাহায্য দান প্রভৃতি উপায়ে তাহার। নমঃশদ্রের অন্তরে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের প্রতি অনুরাগ জন্মাইতে চেষ্টা করিতেছেন । এইসকল সাহায্য-প্রাপ্ত পাঠশালায় বাইবেল পাঠ ও ধাশুর নিকট প্রার্থন এব" খ্ৰীষ্ট সঙ্গীত শিক্ষা দেওয়া হয়। এই শিক্ষা এমনই প্রসার উমাকালে ৩৪বৎসরবয়স্ক শিশু পিতামাতার কোলে জাগ্রত হুইয়ু “জয় প্রত্ব ধাশু" গান করে । একটি তিনবং সরবয়স্ক শিশুর পিত। তাহার পুত্রের সম্মপেই এই কথার সাক্ষা দিতেছিলেন, আর আম্নি শিশু আমাদিগকে শুল হবার জন্য তাঙ্গার আপ-আধু ভাস।য গান ধরিল “জয় প্রভূ যীশু, জয়ু প্রতু পাণ্ড” । পাদ্রীমহোদয়গণের এই প্রচার-প্রচেষ্ট নিতান্তই প্রশঃ সাহ ও স্বধৰ্ম্ম প্রীতির পরিচায়ক সন্দেহ নাই । কি স্তু আমি বিশেযভাবে অনুসন্ধান করিয়া দেখিলাম, মিশনারাদিগের এইসকল সদয় ব্যবহারে তাহাদিগের প্রতি নমঃশদ্রদিগের চিত্ত কতজ্ঞ হইয়াছে বটে কিন্তু খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণের জন্য তাহদের চিত্ত মোটেই আগসর হয় নাই । সাতানাথ লাভ করিতেছে, সে সরকার প্রমুখ কয়েকজন লোক এ-বিষয়ে অগ্রসর হুইয়াছে মনে হইল। কিন্তু আমার সরল ও উদার ধৰ্ম্মমতের কথা শুনিয়া সীতানাথ নিজেই আমাকে বলিলেন, “আপনি বড় দেরীতে আসিয়াছেন । এরূপ মতের কথা আমি শুনিয়াছি, কিন্তু চেষ্টা করিয়া ও ইহার বিস্তৃত বিবরণ সংগ্ৰহ করিতে পারি মাই।” সীতানাথের গৃহে একজন বি-এ উপাধিধারী ও একজন অপেক্ষাকৃত অল্পশিক্ষিত নমঃপূদ্র খ্ৰীষ্টান বাস করিতেছেন, দেখিতে পাইলাম । পাবনায় নমঃশূদ্র-সমস্যা ২২৫ তাহারা হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি নমঃশুদ্রদিগের বিরাগ জন্মাইয়৷ দিবার জন্য সপারাতি চেষ্টা করিতেছেন। সীতানাথ স্বাধীনচিত্ত মাথষ হইলেও অশিক্ষিত । তাতার শিক্ষাহীনতার সাহায্যে তাহার হিন্দুসমাজের প্রতি বিদ্রোহী চিত্তে হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি বিরাগ জন্মাষ্টয় দেওয়৷ কিছুই কঠিন কাজ নহে। খ্ৰীষ্টিয়ানদিগের নিকট শুনিয়৷ হিন্দুদিগের শবদাহ রীতির প্রতি সীতানাথের নিতান্ত অশ্রদ্ধা জন্মিস্থাছে, দেখিলাম। আমিও মৃতদেহ সমাধিস্থ করা অপেক্ষা দাহ করাই বিজ্ঞানসঙ্গত বলিয়৷ মনে করি জানিয়া তিনি আমার সহিত তর্ক করিতে প্রবৃত্ত হন । কিন্তু আমি ইহার যৌক্তিকতা বুঝাইয়ু৷ দিলাম। আজকাল অনেক ইউরোপীয় দাহ-প্রথার অনুরাগ হইতেছেন শুনিয়া বিস্মিত হইয়া তিনি উপস্থিত খ্ৰীষ্টিয়ান ভদ্রলোকটির দিকে জিজ্ঞায় দৃষ্টিতে চাহিলে, তিনি ৪ আমার উক্তির সত্যত স্বীকার હિનન fઠનિ મૂનifા-છબાસ નિના બાંદ્ર છ করিলেন । আমিও এই প্রথার সমর্থন করি না জানিয়| তিনি নিরুওর হইলেন । আত্মশক্তির উপর সরকার মহাশয়কে কিঞ্চিং অধিক নিভরশীল দেখিলাম । তিনি খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলে আর কত লোক খ্ৰীষ্টিয়ান হইবার সগুfবন জিজ্ঞাসা করায় তিনি উত্তর করিলেন “আমি খ্রষ্টিয়ান হইলে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণ ন করিয়া থাকিতে পরিবে এ-অঞ্চলে এমন লোক ত দেপি না ।” ১৩ই এপ্রিল প্রাতঃকালে বানিয়াগাতি গ্রামে সীতানাথ সরকার মহাশয়ের বাড়ীতে এইসকল আলোচনা হয়। তৎপরে আমরা তাহার গৃহে জলযোগ করিবার সময় খ্ৰীষ্টিয়ান ভদ্রলোক দুইটি এবং আমাদের সহিত র্তাহাকে একত্র আহার করিতে অঙ্গুরোধ করায় তিনি তাহ এড়াইয়। গেলেন। শুনিয়াছিলাম, গলার তুলসীর মালা তিনি ছিড়িয় ফেলিয়াছেন কিন্তু তাহার উন্মুক্ত কণ্ঠে বড় বড় তুলসীয় মাল। বঙ্গিয়াছে দেখিতে পাইলাম। তংপরে তাহাদের সহিত একসঙ্গেই আমরা গোপালপুরে ফিরিয়া আসিলাম । নমঃশদ্রদিগের খ্ৰীষ্টিয়ান হইবার ইচ্ছা দূর করিবার জন্য সেদিন অপরাহ্লে সিরাজগঞ্জের হিন্দু ভদ্রলোকদিগের চেষ্টায় একটি সভার আয়োজন হইয়াচিল । কলিকাত S@び羽t々 3 করিলেন ।