পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা} চীনে রবীন্দ্রনাথ ংবাদপত্রপাঠকেরা চীনে রবীন্দ্রনাথের বিপুল অভ্যর্থনা ও সম্বৰ্দ্ধনার কথা অবগত আছেন । র্তাহার ও র্তাহার সঙ্গীদের আদরষত্ব খুব হইতেছে। রবীন্দ্রনাথ নিজে ১লা ৰৈশাপ তারিখের একখানি চিঠিতে লিথিয়াছেন— “বেশ মনে হচ্ছে, এদের সঙ্গে আমাদের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠত হবে । [ বিধুশেখর । শাস্ত্রী মহাশয়কে এখানে পাঠান দরকার আছে । আমাদের প্রস্তাব শুনে এর ভারি খুসি হয়েছে । এরাও এখান থেকে অধ্যাপক পাঠাতে সম্মত আছে। তা হ’লে বিশ্ব ভারতীতে চীনীয় ভাষা শেখ বার স্থব্যবস্থা হবে। চীনীয় থেকে হারান সংস্কৃত বইয়ের তর্জমারও স্ববিধ হ’তে পারবে । "বোধ হয় মে মাসের শেষ পর্য্যন্ত আমাদের এগানকার পাল । তার পরে জাপানে জুনের মাঝামাঝি। তার পর জাভা, খাম, ক্যাম্বোডিয়া প্রভৃতি শেষ করতে জুলাই আগষ্ট এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি লাগতেও পারে। তার পরে দেশে ফিরব, এই রকম আন্দাজ করছি।” বিশ্বভারতীর কৃষি ও গ্রামসংগঠন বিভাগের অধ্যক্ষ এন্ম হাই সাহেবের একখানি চিঠিতে দেখিলাম, রবীন্দ্রনাথ ও তাহার সঙ্গীদিগকে প্রত্যুদগমন করিবার নিমিত্ত পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্থ, চু, এবং চাঙ নামক তিন জন স্থপণ্ডিত ব্যক্তি শংঘাই আসিয়াছিলেন । এন্মহাষ্ট । মহোদয় লিখিয়াছেন—“গুরুদেব হ স্বকে পাইয়া ভারি খুলী। ই স্থ বরাবর আমাদের সঙ্গে থাকিবেন এবং আশা করি ভারতবর্ষ পৰ্য্যন্ত যাইবেন ; যদি আমরা বন্দোবস্ত করিয়া উঠিতে পারি, তাহা হইলে চু মহাশয়ও আমাদের সঙ্গে ভারতবর্ষ যাইবেন। বিশ্বভারতী-গ্রন্থালয়ের পুরস্কার রবীন্দ্রনাথের কাব্য-গ্রন্থাবলী হইতে জুই শত শ্রেষ্ঠ কবিতা নিৰ্ব্বাচন করিয়া দিবার জন্য বিশ্বভারতী-গ্ৰস্থালয় পাচটি পুরস্কার দিবেন। তাছার বিশেষ বৃত্তান্ত বিজ্ঞাপনের বিবিধ প্রসঙ্গ-বিশ্বভারতী-গ্ৰন্থালয়ের পুরস্কার ՀԵՓ পাতায় ছাপা হইয়াছে। র্যাহারা রবীন্দ্রনাথের সমুদয় কবিতা পড়িয়াছেন, এবং কবিতার উৎকর্ষ নির্ণয় করিবার ক্ষমত র্যাহাদের আছে, তাহীদের নির্বাচনই উৎকৃষ্ট হইবে। যাহারা সমস্ত কবিতা পড়েন নাই, তাহাদের পক্ষেও পড়িয়া নির্বাচন করিবার যথেষ্ট সময় আছে । যাহারা পড়িয়াছেন, তাহারাও আর একবার পড়িলে ঠিক নিৰ্ব্বাচন করিতে পরিবেন। নির্বাচনের কাজ কঠিন বটে ; কিন্তু আপাত-দৃষ্টিতে যত কঠিন মনে হইতে পারে, তত কঠিন নহে । কোনও পুস্তক বা কবিতাকে কেন ভাল মনে করি, তাহার ঠিক সমুদয় কারণ নির্দেশ করা খুব কঠিন, কিন্তু কোন কোন পুস্তক বা কবিতা আমাদের ভাল লাগে, তাহ বলা কঠিন নয়। বিশ্বভারতী-গ্রন্থালয়ও ‘রবীন্দ্রনাথের কবিতার রস গ্রাহীদিগকে বস্তুতঃ ইহাই বলিতে আহবান করিতেছেন, যে, কোন দুই শত কবিতা তাহাদের ভাল লাগে । পুরস্কার-পাওয়া অপেক্ষা বেশী লাভ কবি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গ-লাভ। অধ্যয়ন-অভ্যাসের গুণই এই যে, আমাদের সুবিধা মত অল্প বা অধিক সময়ের জন্য আমরা ঘরে বসিয়া যে-কোন মহৎ লোকের সঙ্গলা ভ করিতে পারি। মহৎ লোকদিগকে চাক্ষুব দেখা ও র্তাহাদের সঙ্গে কথা কহার আনন্দ লোভের জিনিয সন্দেহ নাই । কিন্তু এক হিসাবে তাহীদের গ্রন্থপাঠ আরও আনন্দের ও লাভের বিষয় । কারণ, তাহীদের গ্রস্থে তাহাদের ব্যক্তিত্বের—ভাবচিস্তা আদর্শ রসিকতা আদির—শ্রেষ্ঠ অংশ আমরা নিবন্ধ দেখিতে পাই, যাহার পরিচয় কোন-এক সময়ে তাহাদের সঙ্গে দেখা করিতে গিয়া আমরা না পাইতেও পারি। এই জন্য মনে হইতেছিল, যে, রবীন্দ্রনাথের সহিত পরিচয়ের সৌভাগ্য থাকিলেও, যদি অবসর পাইতাম তাহা হইলে পুরস্কার-লিঙ্গা-ব্যপদেশে তাহার সমুদয় কাব্য পড়িয়া ফেলিতাম ; রবীন্দ্রনাথ এক নহেন, অনেক ; তন্মধ্যে বরেণ্যতম রবীন্দ্রনাথের সঙ্গ-লাভে আনন্দিত হইতাম, উন্নত হইতাম, অনুপ্রাণিত হইতাম, মনের মলা কাটিত, প্রাণে নূতন প্রেরণা নূতন শক্তি আসিত। কিন্তু কৰ্ম্মফল ও কৰ্ম্মবন্ধনবশতঃ কোনও মহদ্ব্যক্তির এইরূপ নিভৃত সঙ্গ-লাভ ইহজীবনে আর ঘটিবে কি না, সন্দেহের