ولسونج বিষয় হইয়াছে। যাহারা অধিকতর সৌভাগ্যবান, তাহার হৃদয়মনের এই ভোজের নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করিবেন না। --eقسم লর্ড লিটন ও মন্ত্রীদ্বয় লর্ড লিটন বহুকষ্টে মন্ত্রী-গিরি করিডে রাজা দুজন লোক পাইয়াছেন। স্থতরাং তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিতে তিনি স্বভাবতই নারাজ । কিন্তু তিনি তাহাদিগকে রাখিতে ব্যগ্র হইলে কি হয়, তাহারই দেশের লোকের তৈরী আইনে বলিতেছে, যে, দেশের প্রতিনিধিদের অধিকাংশ যদি কোন মন্ত্রীকে না চায়, তাহা হইলে তাহাকে মন্ত্রীত্ব ছাড়িতে হইবে । মন্ত্রীদের বেতন মঞ্জুর হয় নাই, তথাপি লর্ড লিটন নিজের ও অন্য-সব লোকের মনকে বুঝাইতে চান, যে, তাহা দ্বারা ইহা প্রমাণ হয় নাই, যে, মন্ত্রীদিগের উপর অধিকাংশ ব্যবস্থাপকের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস নাই। একটি বেশী ভোটে যাহ। গ্রাহ বা অগ্রাহ হয় তাহাকে গ্রাহ বা অগ্রাহ মনে করাই সৰ্ব্বত্র সব ব্যবস্থাপক সভার নিয়ম। এই নিয়ম না মানিলেই বা বা চলিবে কেমন করিয়া ? অামাদের মনে হয়, ভয়-প্রদর্শন ও প্রলোভনাদি কৌশলে যদিই বা লর্ড লিটন মন্ত্রীদের বেতন আবার মঞ্জুর করাইয়া লইতে সমর্থ হন, তাহা হইলেও মন্ত্রীদের পক্ষে কাজ করা সহজ হইরে না ; গবর্ণমেণ্টের বিরোধী দল পুনঃ পুনঃ তাহাদের কাজে বাধা দিতে চেষ্টা করিবে এবং তাহাঁদের চেষ্টা মধ্যে মধ্যে সফলও হইবে । মন্ত্রীদেরও এমনি করিয়া জোকের মত পদটি জাকৃড়িয়া ধরিয়া থাকা অশোভন হইতেছে। তারা ভাল লোক কি মন্দ লোক, যোগ্য লোক কি অধোগ্য লোক, কথাটা তা নয়। দেশের লোক র্তাহাদিগকে চায় কি না, কথাটা তাও নয়। দেশের অল্প-সংখ্যক লোককে গবর্ণমেণ্ট ব্যবস্থাপক সভায় প্রতিনিধি-নিৰ্ব্বাচনের ক্ষমতা দিয়াছেন এবং কিছু ব্যবস্থাপক সরকারের মনোনীত ও নিজের লোক আছেন । এইসমুদ্বয়ের মধ্যে অধিকাংশ লোক মৰীদিগকে চান কিম্বা না চান, তাছাই আইনঅনুসারে বিবেচ্যু * প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড নামঞ্জুরকে মঞ্জুর করা যে আইন-অনুসারে বর্তমানে দেশের কাজ চলিতেছে, তাহাতে বলে, যে, প্রাদেশিক কতকগুলি বিভাগ গবর্ণমেণ্ট নিজের হাতে রাখিবেন? তাহাজের নাম রিজার্ভ ড, । মন্ত্ৰীদিগকে যে বিভাগগুলির ভার দেওয়া হইবে, তাহদের নাম ট্রান্স ফার্ড বা হস্তান্তরিত। টাকা ভাগের বেলায় কাৰ্য্যতঃ প্রাদেশিক রাজস্বের বেশীর ভাগ গবৰ্ণমেন্ট নিজের হাতের বিভাগ-সমূহের জন্ত লইয়া বাকী খুদ-কুড়াটা মন্ত্রীদের হাতের বিভাগসকলে দেন । এই ত গেল এক নম্বর অবিচার । তার পর, রিজার্ড ড. বিভাগগুলির কোন বরাদ নামঞ্জুর হইলে তাহা মঞ্জুর করিয়া লইবার ক্ষমতা আইন গবর্ণ ব্লকে দিয়াছে ; কিন্তু ঐ আইনের সরকারী ব্যাখ্যা এই, যে, হস্তান্তরিত বিভাগের কোন বরাদ্দ নামঞ্জুর হইলে তাহা মঞ্জুর করিয়া লইবার ক্ষমতা গবর্ণয়ের নাই। ইহা দু-নম্বর অবিচার। ইতার মানে কাৰ্য্যতঃ এই দাড়ায়, যে. তোমাদের বিভাগের কাজ চলুক বা না চলুক, তাহার জন্য মাথা-ব্যথা গবর্ণমেণ্টের নাই, আইন-কর্তা পালেমেণ্টের নাই, পালেমেণ্ট-নিৰ্ব্বাচক ইংরেজ জাতির নাই । সরকারী চিকিৎসক ও স্কুল-পরিদর্শক শিক্ষা-বিভাগের স্কুল-পরিদর্শক কৰ্ম্মচারীদের বেতন এবং সরকারী চিকিৎসা-বিভাগের চিকিৎসৰদের বেতন নামঞ্জুর হওয়াটা রাজনৈতিক চা’ল হিসাবে কিরূপ হইয়াছে, তাহার বিচার হইতে পারে, এবং স্কুল-পরিদর্শনের ও চিকিৎসার সরকারী বন্দোবস্তের প্রয়োজন আছে কি না, তাহারও বিচার হইতে পারে। নামঞ্জুরীট স্বরাজ্য ও স্বাধীন দলের ইচ্ছাকৃত, ন, অবস্থাচক্রে অনভিপ্রেতভাবে ঘটিয়াছে, তাহা না জানিলে রাজনৈতিক চা’ল হিসাবে উহার বিচার ঠিকৃমত করা যায় না। উহা যদি অনভিপ্রেত-ভাবে ঘটিয়া থাকে, তাহা হইলে উহাকে চা’ল বল চলে না ; মতভেদ-অনুসারে, উহাকে স্বঘটনা বা দুর্ঘটনা বলা চলে।
পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৩
অবয়ব