পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] t প্রতিকার-ক্ষমতা এখনও আমাদের হস্তগত হয় নাই, কিন্তু স্বদেশে ও বিদেশে এইসব সত্য ঘটনার কথা প্রচারিত হওয়ার মূল্য আছে। জেল সম্বন্ধে মহাত্মা গান্ধীর অভিজ্ঞতা মহাত্মা গান্ধী জেল সম্বন্ধে তাহার অভিজ্ঞতা-প্রস্থত যে-সব প্রবন্ধ লিখিতেছেন, তাহা অতি মূল্যবান। তাহার দ্বারা যদি দেশের লোকদের চোখ ফুটে এবং গবর্ণমেণ্টেরও চোখ ফুটে, এবং ফলে কারাগারের সংশোধন হয়, তাহা হইলে মহাত্মা গান্ধী এবিষয়েও দেশের মহদুপকার সাধন করিবেন। যদি “গবর্ণমেণ্টেরও চোখ ফুটে” লিগিয়াছি, তাহা ভুল। গবর্ণমেণ্টের সবই জানা আছে, কিন্তু সংস্কার করিবার কার্যকরী ইচ্ছা নাই। জেলগুলিতে কদৰ্য্য থাদ্য অপ্রচুর খাদ্য দেওয়া হয়, তথাকার বন্দোবস্ত অস্বাস্থ্যকর, কয়েদীদের প্রতি অনেক সময় নিষ্ঠুর ব্যবহার হয়, ইত্যাদি কথা আজকাল লেখাপড়াজান লোকমাত্রেই জানেন। কিন্তু অস্বাভাবিক পাপে বিস্তর কয়েদী কিরূপে পশুর অধম হয়, এবং অনেকের উপর কিরূপ অস্বাভাবিক অত্যাচার হয়, তাহ গবর্ণমেণ্টের জানা থাকিলেও সৰ্ব্বসাধারণের জান নাই । অপরাপনিবারণ কারাদণ্ডের প্রকাশ্যভাবে ঘোষিত উদ্বেষ্ঠ ; কিন্তু জেল গুলিতে সৰ্ব্ববিধ অপরাপ ও পাপ অতুষ্ঠিত হইয় থাকে ; মানুষ কারাগার হইতে অধমতর হইয়৷ বাহির হয় ; কারণ, জেলগুলি মানুষের স্বস্ট বাস্তব নরক, কল্পিত নরক নহে । মধ্যপ্রদেশে বাঙালী গত ৬ই বৈশাখ মধ্যপ্রদেশের রায়পুর সহরে মধ্যপ্রদেশবাসী বাঙালীদের সম্মিলনীর প্রথম অধিবেশন হয় । তাহাতে শ্ৰীযুক্ত স্তাবু বিপিনকৃষ্ণ বস্তু মহাশয়ের যে অভিভাষণ-পঠিত হয়, তাহার একখণ্ড পাইয়াছি। উহা বিলম্বে পাওয়ায় এবং ইতিমধ্যে খবরের কাগজে প্রকাশিত হইয়া যাওয়ায়; আমরা ছাপিতে পারিলাম না। বস্থ :মহাশয় । এই অভিভাষণে যেসকল- বাঙালীর পরিচয় দিয়াছেন, তাহারা বাস্তবিকই বাঙালী জাতির মুখ উজ্জল : कब्रिब्बादक्कन १२ ... " • *- :. 、予 ". ." বিবিধ-প্রপঙ্গ-বিদেশী-দেশী দিয়াশলাই રક્તજ বস্থ মহাশয় ৫২ বৎসর পূৰ্ব্বে মধ্যপ্রদেশে যান। এই দ্বীর্ঘকালের অভিজ্ঞতা হইতে তিনি র্তাহার অভিভাষণে যে একটি বিষয়ে পুনঃ পুনঃ সাক্ষ্য দিয়াছেন, তাহা পড়িয় সাতিশয় প্রীত হইয়াছি। তিনি গোড়ার দিকে বলিয়াছেন— “আমি জব্বলপুর আসিয়াই দেখি, বাঙালীদের সঙ্গে সেদেশের লোকদের সম্ভব । ইহাতে আtfম বড়ই ধ্ৰুতিলাভ করি।” অন্যত্র, নাগপুরের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে বলিতেছেন— “তখনকার বাঙালীর অল্পসংখ্যক হইলেও মহারাষ্ট্ৰীয় ভ্রাতাদের সঙ্গে সকল শুভকাম্যে উৎসাহের সঙ্গিত যোগ দিতেন।” পরে বলিতেছেন— .. “যে সস্তাবের অঙ্কুর ১৮৭৪ সালে আসিয় রোপিত হইত্তে দেখি, তাহা এখন বৃহৎ বৃক্ষরূপে পরিণত হইয়াছে। ইহা যে যার-পর-নাই সুখের বিষয়, তাহ৷ সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিবেন। আমি এত দিন এখানে কাটাইলাম, বাঙ্গালীদের সঙ্গেও এদেশবাসীদের সঙ্গে কখনও মনোমালিন্য হইতে দেখি নাই । বরং বঙ্গালীর মুখে স্থপী, দুঃখে দুঃখী ও বিপদে মহানুভূতির ভূরি ভুরি নিদর্শন পাইয়ছি। বাঙ্গালীরাও সৰ্ব্বতোভাবে এইভাব বজায় রাখিয়াছেন।” ویسے مه ইস্পাত-পণ্যশিল্পের সংরক্ষণ ট্যারিফ বোর্ডের অর্থাৎ শুদ্ধসম্বন্ধীয় বিচারসমিতির সুপারিস অন্তসারে ভারতগবর্ণমেণ্ট, ভারতীয় ইস্পাতশিল্পের সংরক্ষণ জন্ত বিদেশ হইতে আমদানি ইস্পাত ও ইস্পাতের জিনিযের উপর শুল্ক বসাইবার নিমিত্ত আইন প্রণয়ন করিবেন । ইহা না করিলে দেশী ইস্পাতশিল্প টিকিত না । অতএব এই নিৰ্দ্ধারণ ঠিক হইয়াছে। বিদেশী-দেশী দিয়াশলাই , সুইডেনের দিয়াশলাই-নিৰ্ম্মাতা “মুইডিশ, ম্যাচ, ম্যানুফ্যাকৃচ্যারিং কোম্পানী” তাহার মূলধন দ্বিগুণ করিয়৷ ১৯ কোটি ক্রাউনে পরিণত করিয়াছেন। এক স্কুইডিশ, ক্রাউন প্রায় ৬/১৭ র স্বমান। স্থতরাং এই কোম্পানীর মূলধন এখন ধোল কোটি তিন লক্ষ সাড়ে বার হাজার টাকা হইল, কোম্পানী তাহার নূতন মূলধন বোম্বাই, কলিকাতা, মান্ডাজ ও করাচীত্বে , তাহার দিয়াশলাইয়ের কারখানাগুলির নির্মাণসমাধা ও কাৰ্য্য পরিচালন করিবার জন্ত ব্যবহার করিরে নয়,বিদৃেশ