পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] প্রণালী অনুযায়ী হয় নাই, হাইকোর্টের বিচারও মোড়লী রকমের এবং আমলাতন্ত্র-ঘেষা হইয়াছে। • জজের রায় বাহির হইবার আগেই গবর্ণমেণ্ট কেন চারিজন আসামীকে ৩নং রেগুলেশ্বন অনুসারে ধরিবার মতলব আঁটিয়া জেলের কর্তৃপক্ষকে তাহাদিগকে র্তাহার হেফাজতে রাখিবার আজ্ঞা দিলেন ? ইহাতে কি আদালতের উপর এবং আইনসঙ্গত বিচারের উপর অগ্রদ্ধা ও অসম্মান প্রদর্শিত হয় নাই ? কৰ্ত্তারা মাকড় মারিলে ধোঁকড় হয় ; অন্তের ঐরূপ কাজ করিলে আদালতের অবমাননা হয়, ও তাহার জন্ত শাস্তি হয় । মান্থবগুলাকে বিনা ব্যয়ে ধরিয়া বন্ধ করিয় রাখিবার উপায় থাকিতে সৰ্বকার বাহাদুর গরীব প্রজাদের হাজার হাজার টাকা কেন এই মোকদ্দমায় খরচ করিলেন, আদালতের সময় কেন নষ্ট করিলেন, এবং জুয়র বেচারাদের কয়েকমাস সময় বিন পারিশ্রমিকে কেনই বা লইলেন ? নমঃশূদ্র-সমস্যা নমঃশূদ্র জাতির সামাজিক বিদ্রোহী ভাবের প্রতি হিন্দু সমাজের দৃষ্টি পড়িয়াছে। নমঃশুদ্ৰগণ সচেষ্ট থাকিলে সমাজ আর ঘুমাইতে পারিবে না। বামুনদের মধ্যে ২১ জন এবিষয়ে অস্তুত যুক্তি দেখাইতেছেন। একজন পণ্ডিত বলিতেছেন, নমঃশূদ্রেরা তাহদের পূৰ্ব্বজন্মের । দুষ্কৃতিবশতঃ নিম্ন জাতিতে জন্মিয়াছে ; অতএব তাহারা তাহা মানিয়া লউক । তাহীদের ইহজন্মের সুকৃতি দ্বারা ইহার পরজন্মে “উচ্চ” জাতি হইবার আশা থাকিতে পারে, ইত্যাদি। এই চমৎকার যুক্তিটি যে শুধু সামাজিক বিষয়ে প্রয়োগ করা যায়, তা নয় ; রাজনৈতিক, আর্থিক, জ্ঞানিক, সব বিষয়েই প্রযুক্ত হইতে পারে। পরাধীন জাতির স্বাধীন হইবার, দরিদ্র জাতির ধনী হুইবার, অজ্ঞ জাতির জ্ঞানী হইবার চেষ্টা করা উচিত নয় ; কারণ তাহাদের বর্তমান দুরবস্থা পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্মফলে ঘটিয়াছে। অতএব, সকলে স্বাধীন, ধনী, জ্ঞানী ইত্যাদি হইবার চেষ্টা না করিয়া কেবল "স্বকৃতি” করিতে থাক ; তাহার দ্বারা পয়জন্মে স্বাধীন, ধনী, জ্ঞানী বিবিধ প্রসঙ্গ-দক্ষিণ ভারতে জাত্যভিমান ఇసి) হইতে পারিবে। “স্বকৃতি"র একটা মানে অবগু ব্রাহ্মণদিগকে বেশী বেশী দক্ষিণ ও ভোজ্য আদি দান । আর-একজন পণ্ডিতপুঙ্গব “অস্পৃশু” ও “অনাচরণীয়” জাতিদিগকে মানবদেহের কোন কোন অস্পৃশ্ব স্থানের সহিত উপমিত করিয়া অপূৰ্ব্ব যুক্তির অবতারণা করেন। তাহা পরীক্ষা করিয়া আমাদের সময় ও প্রবাসীর জায়গা নষ্ট করিতে চাই না। কিন্তু এই ব্রাহ্মণপুজব কি ভাবিয়া দেখিয়াছিলেন, যে, এই তুলনা দ্বারা ঐসকল জাতির লোককে অপমান করা হইতেছে কি না ? নমঃপূত্রদের ভবিষ্যৎ তাহাদের নিজের হাতে। র্তাহারাও তাহা বুঝিয়ছেন মনে হইতেছে। অল্পদিন হইল বঙ্গের যে সরকারী পঞ্চবাৰ্মিক শিক্ষা-রিপোর্ট বাহির হইয়াছে, তাহাতে দেখিলাম, বঙ্গের ভূতপূৰ্ব্ব শিক্ষাডিরেক্টর হনেল সাহেব তাহদের সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন, “their present position in education and lheir present social advancoinent bring theim under it liighor category." “শিক্ষাবিষয়ে তাহাদের বর্তমান অবস্থ এল তাহদের বর্তমান সামাজিক উন্নতি গুহাদিগকে উচ্চতর শ্রেণীতে অনিয়াছে।” পঞ্চবার্ষিক রিপোর্টটিতে লেখা হইয়াছে, “The counmunity is raising its status rapidly, and, arguing inainly from its consistent educational advance. is constantly making out a case for licing regarded as ether than lockward.” “নমঃশুত্রসমাজ দ্রুত নিজের সামাজিক পদবী উন্নত করিতেছে, এবং, প্রধানতঃ শিক্ষাবিলয়ে ইহার যে অবিরাম • ক্রমোন্নতি হইতেছে ভtহ৷ হইতে, এই সিদ্ধাস্ত করা যায়. যে, পশ্চাৎপদ বা অমুন্নত জাতি বিবেচিত ন হইবার প্রমাণ নমঃপূদ্রের সর্বদা উপস্থিত করিতেছে।” রিপোটের উপর সকারীর মন্তব্যেও লিখিত হইয়াছে, “Of the lackwald classes the most advanced ale the Vanyasudras : cilitation has spread among them to such an extent that it is doubtful whether they should now lie included among the backward classes.” "অমুন্নত শ্রেণীর মধ্যে নমঃপূদ্রর সকলের চেয়ে অগ্রসর ; তাহদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার এরূপ হইয়াছে, যে, তাহাদিগকে এখন পশ্চাৎপদ শ্রেণীর অন্তভূর্ত মনে করা উচিত কি না, সন্দেহ ।” দক্ষিণ ভারতে জাত্যভিমান ঞ্জিবাক্কড় রাজ্যের ভাইকম্ নামক স্থানের একটি দেবমন্দিরের পাশ্ববর্তী রাস্তা দিয়া "নিম্ন” শ্রেণীর কতকগুলি