পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

høj তাহার পাঠ-জীবন শেষ হইয়া গিয়াছে। সকলের মূলে cष दिवखद्र उोश७ उांशब जानिएउ ७ दूविरज cनौ লাগিল না। সন্ধ্যা হইতে ইতস্ততঃ করিতে করিতে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের আহারাদির পর প্রয়োজনমত সাহস সঞ্চয় করিন্থ প্রসন্ন বলিল, “ৰাবা আমার ত কোন দোষ নেই ; বিশু নিজে ফেল করে’ ৩৪ জন মিলে’ আমার পেছনে লেগেছে।” পিতাকে নিরুত্তর দেখিয়া সে পুনরায় বলিল, “এ একটা বছর আমি ছেলে পড়িয়ে চালিয়ে নেব না छ्भ !” পিতা তাহার মাথায় হাত দিয়া বলিলেন, “জমিদারের সঙ্গে টকা দেয় কি, বাবা ? বাপ পিতেমো যা করে এসেছে তাই করো ; আর দুঃখ করে কি হবে ? অর্ধেক রাত্রি-পৰ্য্যস্ত বই-গুলাকে বুকে চাপিয়া প্রসন্ন भूजिr' कूनिबा कैंiमिल । পরদিন ব্রাহ্মমুহূর্তে প্রসন্নকে শয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিতে | হইল। প্রাতঃরুত্যের বর্ধিত-কলেবর ফর্দটি সমাপন করিতে প্রায় ৭টা হইয়া গেল । তাহার পর দাওয়ার উপর এক কুশাসন পাতিয়া তাহাকে “পুরোহিত-দর্পণের’ গোড়ীর বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করিতে হইল। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় উঠিয়া গেলে, সে পা টিপিয়া টিপিয়া জুয়ার পর্য্যস্ত গমন করিল এবং তিনি অনেকটা দূর চলিয়া গেলে ঘরের মধ্যে গিয় তাহার অতীতের পাঠ্য-পুস্তকগুলিকে অনেকক্ষণ ধরিয়া অসীম বাৎসল্যের সহিত থাকে থাকে গুছাইয়া সিন্দুকে ভরিতে লাগিল। দু-একটা মলাটো উপর কয়েক বিন্দু অশ্র যখন চেষ্ট-সত্বেও ঝরিয়া পড়িল তখন আর সেখানে তিষ্ঠান তাহার দায় হইয়া উঠিল । বাবার আসিবার সময় হইয়া আসিয়াছিল। চক্ষের সমস্ত জল টিপিয়া বাহির করিয়া চক্ষু দুইটা ভাল করিয়া মুছিয়া সে আসনের উপর “পুরোহিতদর্পণ হইতে পড়িতে লাগিল “ওঁ গজেন্দ্ৰবদনমূ চারুচন্দ্রনিভাননমূ—” ”, পঞ্চম দিবসের পড়া ধরিয়া উৎসাহভরে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় পীকে বলিলেন,“গিনি, এই পূর্ণিমায় রাষ্ট্র-বাড়ীর ‘সত্যনারায়ণ পূজে পরশা করবে ; লোককে বলতে হবে— ‘খানারাণ ভট্টাচার্ঘ্যের পৌত্র বটে।” - ^ * *. * ', 17 : -- : x ~ , or or ovzoro , *. প্রবাসী—জী, ১৩৩১ [રકન હાને ફ્રેષણ পূর্ণিমায়, রায়বাড়ীর সত্যনারায়ণ পূজার পুরোহিত প্রসন্নই হইল। বিপুল উৎসাহ-ভরে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় পুত্রের বন্ধিত শিখায় একটি সপুষ্প গ্রন্থি দিয়া তাহার উৰ্দ্ধাঙ্গ বিধিমত চন্দন-চর্চিত করিয়া দিলেন । ( כי ) পূজার দালানের এক কোণে বিশ্বম্ভর ও তাহার বন্ধুৰয় কৰ্ত্তার অগোচরে থাকিয়া বেজায় চাপা হাসি বুরু করিয়া দিয়াছিল । হাসিতে হাসিতে বিশ্বম্ভরের গায়ে গড়াইয়। সত্যেন বলিল, “আমি ভাব ছি, কবেই বা ওর টিকি-গাছটা গজাল, কবেই বা বড় হ’ল, আর কবেই বা পত্রে পুষ্পে সুশোভিত হ’য়ে উঠল।” হাসির মধ্যে তাহার পিঠে এক চাপড় কষিয়া বিশ্বম্ভর বলিল, “দূর পাষও, তবে আর ব্রহ্মতেজ বলি কাকে ?” ইহাতে হাসির মাত্রা এতটা বাড়িয়া গেল যে প্রসন্নের কানেও একটু আওয়াজ পৌছিল। ব্ৰহ্মতেজের কথায় সত্যেন বলিল “ঐ-তেজেই ত হাতের কুশ-গাছটা শুকিয়ে গেছে। আবার আঙ্গুলের কায়দা দেখিয়ে হাত চালানো দেখ, ।” সত্যেন বিশ্বম্ভরের দেহ হইতে পীতাম্বরের দেহে লুঠাইয়া পড়িয়া বলিল, “তাই ত আমিও ভাবছি। এখন, ও কসরৎ দেখাচ্ছে কি ভেস্কি দেখাচ্ছে বল তোরা ; আমার সংশয় দূর কর।” প্রসম্নের উপর দৃষ্টি সংবদ্ধ করিয়া বিশ্বম্ভর বলিল, “কেয়া মানিয়েছে দেখেছিল, যেন বুড়ো ঠাকুরাদাদাটি- ” বাধা দিয়া সত্যেন বলিল, “কিছু না, ওকে পুরো বুদ্ধ সাজাতে পারে শর্মা ; আমার মাথায় একটা'fাও মতলব এসেছে ।” - * বিশ্বম্ভর ও পীতাম্বর সৌৎস্থক্যে "তেনের মুখের নিকট মুখ আনিয়া বলিল, “কি সেটা বল শীগগির, তোর প্রসন্ন ভট্টাচার্য্যের দিব্যি ।” সত্যেন আবার হাসিতে ভাঙিয়া পড়িয়া বলিল, “ওকে —ওকে গুরুমশায় কর—সোনায় সোহাগা হবে ; আমন বুড়ে সাজতে আর অন্ত কেউ পারে না।” এ-মতলবের পুরস্কার-স্বরূপ সত্যেন যে একটা প্রচণ্ড চড় বকশিস পাইল, তাহাতে তাহার মুখটা ক্ষণিকের দৃষ্ট