পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iAM BBSBeeA SBBBSS SBBSS S S S ৩য় সংখ্যা ] জাম্বোদ' 靜 *විශේඥ বিকৃত হইয়া গেল। সত্যেন ষে একটা জিনিয়াস এ-বিষয়ে কালের কথাগুলি সত্যেন বলিল প্রসয়ের হাত বর বিশ্বম্ভর ও পীতাম্বরের মতভেদ রহিল না । নিতান্ত আগ্রহ-ভরে। পরদিন , ভট্টাচার্ষ্য মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ হইলে বিশ্বম্ভর তাহাকে বলিল যে তাহার বাবা প্রসয়ের প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ হইয়াপড়িয়াছিলেন। আর এটা তাঙ্গাদেরও স্বপ্নের অগোচর ছিল যে প্রসপ্লট এমন উৎরাইয়া যাইবে । কাল প্রসরেব কথাই ভাবিতে ভাবিতে তাহার একটা কথা মনে পড়িয়া গেল—প্রসন্ন একটা পাঠশালা খুলিলে পারে না ? এতে পয়সাও আছে, লেখা-পডার চর্চাটাও থাকিয়া যাইবে, আর সবদিকেই ভাল। এই আমাদের বাড়ী হইতেই ত এক পাল ছাত্র পাইবে । বাট যাইতে যাইতে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় ভাবিতে লাগিলেন—প্রসন্নটা সতাই খুব বঁচিয়া গিয়াছে ; এমন শুভার্থী ধে বিশ্বম্ভর সে কি মিথ্যা দোষা.ে পি করিয়া পিতাকে পত্র লিখিতে পারে ? _ বিশ্বম্ভর প্রভৃতির আগ্রহে ও উদ্যমে গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়, বারোয়ারী পূজার আটচালার এক পাশ্বে পাঠশালা বসিল ; পিতৃভক্ত প্রসন্ন নবীন জীবনের উৎসাহের শিখাটি একেবারে নিভাইয় গুরু-গিরি স্বরু করিয়া দিল । মাস-থানেক পরে সত্যেন একদিন পাঞ্জাবী, পম্স্ক পরিঘ একটা ছড়ি ঘুরাইতে ধুবাইতে প্রসন্নের পাঠশালায় হাজির হইল । প্রসন্ন অবাক হইয়া চাহিয়া রহিল । হাসিয়া সত্যেন বলিল “সবই ভুলে গেলি, এই ত দুঃখN ত তুই মা বললেও এই আমি বস্লুম।” প্রসন্ন অক্ষত্ৰত ইষ্টয়া বলিল “তুই আসবি আমি স্বপ্নে ও ভাবিনি }: চার মাস একটা খবর নিস্নে— এক শ দীর্ঘ#িশ্বাস ফেলিয়া সত্যেন বলিল বেশ, বল্ ; প্রসন্ন, আজ চার মাস বিশুব সঙ্গে মন-কষাকষি, আর আজ স্পষ্টীম্পষ্টি হ’য়ে গেল-—শুধু তোকে নিয়ে ।” প্রসন্ন জিজ্ঞাসা করিল “কিরকম ?” “কিরকম আর কি ?—বিশুকে তুইও চিন্‌লি, আমিও চিন্‌লাম। যাক সে-সব কথা। প্রসন্ন, তুই এই গুরুগিরি ছাড় আজই। আমি তোর খরচ দেব, আবার স্কুলে ফিরে চল, সবাই অাপ শোষ করে তোর জন্ত্যে ।”—শেষ-, as *sر মলিন হাসি হাসিয়া, প্রসন্ন বলিল “আর হয় না ভাই, অনেক এগিয়েছি।” সত্যেন নিরাশভাবে হাতটা ছাড়িয়া দিল, বলিজ “কি আর বলব তবে ? এই-দিকেই উন্নতি কর।” মতঃপর একটা বালকের দিকে চাহিয়া বলিল “ষাও ত খোকা, গুরু-মশায়ের বাড়ী বলে এস র্তার একজন বন্ধু আজ খাবে।” প্রসন্নকে বলিল “আজ একেবারে চটচটি, আমি স্পষ্ট বললুম একজনের জীবনটা নষ্ট করা তোর অন্যায় । ওর আর মুখ দেখ ছিনে।” প্রসন্ন চুপ করিয়া রহিল। পাঠশালের চারিদিকে চাহিয়া সত্যেন বলিল “তোর পাঠশালের একটা ঘর থাকা দরকার। কোন জিনিষটিনিষ রাখতে হ’লে, ঘাড়ে ক’রে বাড়ী না নিয়ে গিয়ে এই-খানেই রেখে দিলি । ঐ কোণটায় ঠিক হবে।” প্রসন্ন বলিল, “কোন দরকার হয় না ভাই ।” “একটা ঘর থাকলে তার আর দরকার হয় না ? কি বলিস। এই ধর ঝড়বৃষ্টির দিনেও ত ছেলে- , গুলোকে পরতে পার বি, বর্ষ আসছে। আরও কত । কাজে লাগতে পারে। লাগিয়ে দে, জানূলি ? আর খরচের ভারটা রইল আমার ওপর। এই ছোট-ছোট ছেলেদের একটু উপকার করতে পারলে আমি যদি একট ব্লগ পাই ত তুই আমায় বঞ্চিত কর্বি ?” প্রসন্ন লজ্জিত হইয়া বলিল “নান, কি, বলিস তুই ।” সেই দিনই সন্ধ্যা পর্য্যন্ত প্রসল্পের পাঠশালার এক কোণে দরমার বেড়া-দেওধ। একটা ছোট্ট ঘর খাড়া इंश्न | হাসিতে ভাসিতে বিশ্বস্তরের সম্মুখীন হইয়া সত্যেন, বলিল “নে বকশিস কর্ ; মজাট। জমিয়ে এনেছি।” আগ্রহের সহিত বিশ্বম্ভর প্রশ্ন করিল “কি করে? এলি শুনি ?” বিজয়োৎফুল্প-ভাবে সত্যেন বলিল “পরশার তামাক খাবার ঘর থাড়া করে দিয়ে এলাম,—যা ছাড়া গুরুমশায় মিছে।” “আরে ধ্যাং তোর সেই জিন হয়েছে এখন ঘোড়া হ’লেই হয়। আগে তাতে হকো ঙ্গুেলা।”