পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"లిషా తి । ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড जिळांना कग्रेिब्राझिलांम, कब्रुकाब्र चाब्र ठांशप्नञ्च शदिक्षा श्प्ठcझ कि न । ठीछांद्रा बलिव्-"बा. श्रां★नाञ्चां कबूक। धिग्रांप्झन दलिग्न আমরা বাচিয়া আছি।” একজন চাষী বলিল, “আমার ঘরে পাঁচটা চর্ক লইয়াছি । অবসর মত পরিবারস্থ সকলেই স্থত কাটে এবং এই উপায়ে আমার সংসারে প্রতি সপ্তাহে সাড়ে চারি টাকা ( su• টাকা ) আয় হয় । একমাত্র টপাপুর কেন্দ্র হইতে কাটুনীর মজুরী স্বরূপ প্রতি সপ্তাহে ২•• টাকা বিতরিত হইতেছে।” প্রবন্ধ-লেখক মিষ্টা এম এল রায় আর একস্থানে লিখিয়াছেন— “যখন কৃষকেরা আবার তাছাদের দৈনন্দিন কৃষিকৰ্ম্ম আরম্ভ করে, তখন আর তাহদের চর্ক। কাটিবার অবসর থাকে নী—চবুকার মধুর সঙ্গীত-ধ্বনি আর তাহাদিগকে আকৃষ্ট করিতে পারে না ।" ইহার উত্তরে ঘাহা স্বচক্ষে দেখিয়াছি তাহ বলিলেই যথেষ্ট হইৰে । সম্প্রতি মাঝে মাঝে বৃষ্টি হইতেছে, কাজেই মাটি নরম হইয়াছে। লিখিবার সময় চারিদিকে তাকাইয় দেখিতেছি, কৃষকগণ উঠিয়া-পড়িয়া হলচালনা আরম্ভ করিয়াছে। ফল কথা, যদি স্ববৃষ্টি হয়, তাহা হইলে আষাঢ় মাসের ১৪ই তারিখের মধ্যে ধাস্ত রোপণ শেষ হইবে। ১৫ই পৌষের পুৰ্ব্বে ধাপ্ত কাট। সুরু হয় না। আমরা দেখিয়াছি ১৫ই আষাঢ় হইতে ১৫ই পৌষ পৰ্য্যন্ত ইহাদের ক্ষেতের জন্ত কোনও মেহনত করিতে হয় না। কৃষকগণ হাতপা কোলে করিয়া বসিয়৷ কাটায় এবং সৰ্ব্বসাকল্যে বৎসরের মধ্যে ৮ মাস ইহাদের পূর্ণমাত্রায় অবকাশ। খুলন। জেলার স্বন্দরবনসন্নিকটস্থ প্রদেশগুলিও এক-ফসলের দেশ। সে-অঞ্চলেও চাষীদের বৎসরে তিন চারিমাসের অধিক ক্ষেতে কাজ করিতে হয় না। আচাৰ্য্যদেৰ অন্নসমস্ত। প্রভূতি বক্ত তা ও প্রবন্ধে পুনঃ পুনঃ দেখাইয়াছেন—অলসতা ও শ্রমবিমুখতাই বাঙ্গালী জাতির সর্বনাশের মূল । আত্রাই হইতে স্বল্প করিয়া একদিকে দিনাজপুর ও অপরদিকে বগুড়া পৰ্য্যস্ত মাড়োয়ারী ছাইয় পড়িয়াছে এবং দেশের সার শোষণ করিয়া লইয়। সবল ও সতেজ হইতেছে। অথচ বাঙ্গালী, কি নিম্নশ্রেণীর কি উচ্চশ্রেণীর দারিদ্র্যে নিম্পেধিত হইয়া কঙ্কালসার হইয়া পড়িতেছে। এই অঞ্চলের কৃষকগণ কিপ্রকার অলস ও শ্রমকাতর,তাহার একটি দৃষ্টান্তদিলেই যথেষ্ট হইবে। প্রসঙ্গক্রমে ডাক্তার রায় রেলের বিশ্রামাগারে সাম্ভাহারের কোনও রেলকর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করিলেন,"এখানে নিয়ত কত কুলী কাজ করে ?” উক্ত রেলওয়ে কৰ্ম্মচারী বলিন্ত্রেণ—“দুই সহস্ত্রেরও অধিক হইবে। ইহারা প্রত্যেকে প্রত্যহ আট দশ অীনা করিয়া অর্থাৎ প্রতি মাসে লুনকল্পে ১৫২ টাকা রোজগার করে।” তাহ হইলে দেখা বাইতেছে, অনুন ত্রিশ হাজার টাকা মাসে হিন্দুস্থানী ও উড়িয়া কুলীয় উপায় করিতেছে, অর্থাৎ বৎসরে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা লইতেছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই সাস্তাহার ষ্টেশনের চারিপাশ্বে চাষীগণের গ্রাম । তাহার। ইচ্ছা করিলেই বাড়ীর ভাত খাইর রেলের মজুরের কাজ করিয়া উপার্জন করিতে পারে। কিন্তু তাহা তাহারা কদাচ করিবে না। কুলীর কাজ করিলে তাহদের ইজ্জং নষ্ট হইবে। অথচ তাহারা জমিদার ও মহাজনের নিকট বিক্রীত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। যদি এই সাড়ে তিন লক্ষ টাকা প্রতিবৎসর সাস্তহার ষ্টেশনের পাশ্ববৰ্ত্তী গ্রামে ছড়াইয়া পড়িত, তাহ হইলে এই অঞ্চলের কি-প্রকার ঐ বৃদ্ধি হইত তাহ পাঠকবর্গকে আর বলিয়া দিতে হইবে না। মিষ্টার এম এল রায়ের কবি-কল্পনা-প্রস্তুত কয়েকটি উপাদেয় ছত্র উদ্ধৃত করিয়া পাঠকবর্গকে উপহার দিতেছি। তিনি বলিতেছেন—একফসলের দেশে কৃষকগণ ১২ ঘণ্টা বা ততোধিক কাল পরিশ্রম করে। “যেভাবে কৃষকদিগকে কঠিন পরিশ্রম করিতে হয়, তাহাতে তাহাদের জীবনশক্তি এমনভাবে নষ্ট হইয়া যায়, যে, যদি তাঁহাদের এই কয় মাস অবসরের সময় না থাকিত, তাহা হইলে তাছাদের জীবনের শেষ হইয়৷ বাইত। এক-ফসল-জস্ব দেশের চাষীদিগকে দেখিয়া মনে হয়, যে, তাহারা বৎসরের মধ্যে ৪ মাস অলসভাবে বসিয়া থাকে। কিন্তু বাস্তবিৰু পক্ষে তাহারা ১২ মাসের কাজ আটমাসে সম্পন্ন করিয়া যে অবসর ভোগ করে, ইহা তাহদের স্থায্য ও অর্জিত অবসর।” আটমাস কঠোর পরিশ্রমের দজন বাকী চার মাস শরীর ও স্বাস্থ্যরক্ষার জস্ত কুম্ভকর্ণের মত নিদ্রাভিভুত থাকা দরকার, ইহাই তাহার যুক্তি। লেখক মহাশয়ের যদি স্বাস্থ্যতত্ত্বের নিয়মগুলির সহিত কিছুমাত্র পরিচয় থাকিত, তবে তিনি এইরূপ যুক্তি প্রদর্শন করিতে কখনই সাহস করিতেন না। উপযুপিরি ৮ দিন প্রচুর আহার করির ৪ দিন উপবাস করা যেমন দেহের পক্ষে অনিষ্টকর, ১২ মাস কঠিন শারীরিক পরিশ্রম করিয়া ৪ মাস বিশ্রাম ভোগ করাও তেমূনি স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপদজ্জনক। আমি পূর্বেই বলিয়াছি, যে, একফসলের দেশে কৃষককে ৩৪ মাসের অধিক পরিশ্রম করিতে হয় না। দৈবাৎ ২৪ দিন মাত্র রোপণের সময় ১২ ঘণ্ট পরিশ্রম করিতে হয় । এবিষয়ে অধিক লেখা নিম্প্রয়োজন । আর-একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করি। চর্কার প্রচলনে যে কেবল কাটুনীর পয়সা রোজগার করে তাহ নয়, জোল এবং তাতীগণও তাহদের জীবিক অর্জন করিতে সমর্থ হয়। এই তালোড় কেন্দ্রের সঞ্জিকট গ্রামগুলিতে অনেক কারিকর জেলা আছে। তাহার এই ভীষণ অন্নকষ্টের দিনে পৈতৃক ব্যবসায়ে অল্প হয় না দেখিয়া নানা স্থানে পাগলের মত ছুটয় বেড়াইতেছিল। কিন্তু আজ যরের দুয়ারে চরকার স্বতা পাইবা তাহদের প্রাণে আনন্দ হইয়াছে। খাদ্বি-কেন্দ্রগুলি যে তাতী, জোল ও কাঢ়নীদের মধ্যে অন্ন বিতরণ করিতেছে, সেইজন্ত আজ ঐগুলি আমাদের পুণ্যতীর্থ। মহাত্মা গান্ধী যে চরকাকে অন্নপূর্ণ নাম দিয়াছেন, তাহ আজ সার্থক হইয়াছে। আমরা হিসাব করিয়া দেখিলাম যে, দুইসের স্থতায় কাটুলীর যে-স্থলে ২॥• টাকা পায়, সে-স্থলে জোল তাতীরা তিনটাকা রোজগার করে । দেশবাসীর নিকট আজ এই মাত্র বক্তব্য যে, দেশের গরীব তাতী ও গরীব কীটুনী তাঁহাদের প্রাণ দিয়া যে খদ্দরকে আমাদের নিকট নিবেদন করিয়াছে, তাহ কি আমরা সাদরে গ্রহণ করিব না ? 臣 পরিশেষে বক্তব্য এই, গত বস্তায় প্রপাড়িত লোকদিগকে সাহায্য করিবার পর বঙ্গীয় রিলিফ, কমিটির হাতে কিছু টাকা উদ্বত্ত থাকে। প্রথম বৎসরের কাজ শেষ হইতে-না-হইতে এঅঞ্চলে গত বৎসর অনাবৃষ্টির দরুন ফসল একরূপ হয় না । ভাবী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার রিলিফ কমিটি ঐ উদ্বত্ত টাকা দিয়া চবুকার প্রচলন করেন। ঐ টাকার দ্বারাই এত বড় অনুষ্ঠান চলিতেছে। রিলিফ কমিটির এই টাকাও শেষ হইয়া আসিতেছে । আচাৰ্য্যদেবের অধিনায়কত্বে খন্দরের কাজ করিয়া রিলিফ কমিটি বাংলা তথা ভাৰতবর্ষের অস্কাঙ্ক প্রদেশের অনেক সহৃদয় ব্যক্তির যেরূপ সহানুভূতি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছে, তাহাতে আশা করা: যায় অর্থাভাবে এরূপ মহৎ অনুষ্ঠান কখনও নষ্ট হইবে না। ঐ বিনয়কুমার সেন