পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 У о পথ-প্রদর্শক বলিলেই হয়। উাহার লিখিত অশ্রুমতী, পুরু-বিক্রম ও সরোজিনী ( ঐতিহাসিক) নাটক তিনখানি একসময়ে বহুবার সাধারণ রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হইয়াছে। য়াখাল-বাবুর উল্লিখিত তিনজন নাট্যকারের নামের সহিত ঐতিহাসিক নাট্যকার-ছিসাবে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের নামেল্লেখ নাই কেন ? ঐ সলিলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় । “ভারতের রত্নঅাদি খনিজ” • जाtर्कङ्ग '८दी'एउ छब्रट्ठङ्ग ब्रङ्गज्रो िथनिछ' Gथक्क २e8 •ो७ोग्न লেখক 'ডাইকে’র সংজ্ঞায় লিখেছেন,—কোন-একপ্রকার পদার্থের স্তরের কাটলে বাধের বা প্রাচীরের আকৃতি-বিশিষ্ট অস্তবিধ পদার্থরাশিকে ভাইৰূ বলে। কিন্তু ভূ-বিজ্ঞানের দিক দিয়ে দেখতে গেলে ‘অস্তবিধ ন লিখে জাগ্নেয় ( ignoous ) লেখা উচিত : কারণ উক্ত প্রাচীরের আকৃতিবিশিষ্ট পদার্থরাশি যদি আগ্নেয় না হয় তা হলে তাকে 'ডাইক্ৰ’ বলে না। অমিয় বস্থ সম্পাদকীয় মন্তব্য। পত্র-লেখক বাহ বলিয়াছেন, তাহা ঠিকৃ। কিন্তু ডাইকের সংজ্ঞা প্রবন্ধ-লেখকের নহে , উহা সম্পাদককর্তৃক বন্ধনীর মধ্যে সংযোজিত হইয়াছিল। খনিজ পদার্থ পলিমাটির দেশে বা জলজ স্তরে পাওয়া যায় না, প্রবন্ধে বলা হইয়াছে। অতএব ডাইক্ যে কিপ্রকার জিনিষ, স্পষ্ট করিয়া বলিয়া না দিলেও সেবিষয়ে ভ্রম হইবার সভাৰনা কম । প্রবাসীর সম্পাদক বাল-বিধবার বিবাহ জ্যৈষ্ঠের প্রবাসীতে বালবিধবাদের বিবাহ-প্রসঙ্গে—“র্তাহীদের বিবাহ প্রচলিত করিবার জঙ্ক যে মহাত্মা বাংলা দেশে প্রথম সফল-চেষ্টার স্বত্রপাত করিয়াছিলেন—’ইত্যাদি কথায় খুব সম্ভব আপনি স্বৰ্গীয় বিদ্যাসাগর প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড মহাশয়কে লক্ষ্য করিয়াছেন। এখানে বোধ হয় বলা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না যে বিদ্যাসাগর মহাশয়েরও প্রায় একশত বৎসর আগে বাংলা দেশে অন্ততঃ আরও দুইজন হিন্দু শাস্ত্রমতে বিধবাদের বিবাহ দেওয়ার জন্ত চেষ্টা করিয়াছিলেন । তাহীদের এই উদ্যম তাহদের জীবনকালে সফল ন হইলেও আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এর মূল্য আছে, কারণ কোনও সত্য-প্রচারের প্রয়াস ব্যর্থ হইলেও তার একটা সার্ধকতা থাকে। বাৰু কালীনাথ চৌধুরী-প্রণীত রাজসাহীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে ( ১৭৯ পৃষ্ঠায়) রাণী ভবানী ও রাজা রাজবল্পভের বিধবা-বিবাহ প্রচলন-চেষ্টার উল্লেখ অাছে। “রাণী ভবানীর কস্তা তার ঠাকুরবি অল্প বয়সে বিধবা হইয়াছিলেন। র্তাহার বৈধব্য-যন্ত্রণায় রাণী ভবানী সৰ্ব্বদা দুঃখিত থাকিতেন । ঢাকার রাজবল্লভ ঐরূপ স্বীয় কস্তার বৈধব্য-যন্ত্রণায় প্রপীড়িত ছিলেন। রাণী ভবানী ও রাজবল্লভ তাহীদের বিধবা কঙ্কার বিবাহের প্রস্তাব পণ্ডিতমণ্ডলীতে উত্থাপন করিলেন। সেসময় বিক্রমপুর ও নদীয়ার ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ সমাজের শিরোমণি ছিলেন। নদীরার পণ্ডিতগণ নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অধীন, বিক্রমপুর ও নদীয়ার পণ্ডিতগণের বিচারে বিধবাবিবাহ ব্যবস্থাস্থচক বলিয়া স্বীকৃত হয় কিন্তু রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কৌশলে কাৰ্য্যে পরিণত হইল না।" রাজবল্লভ ও রাণী ভবানীর সহিত কৃষ্ণচন্দ্রের বিশেষ ভাব ছিল না, তাই হয়ত তিনি এই সংস্কার-চেষ্টার বিরোধী হইয়৷ থাকিবেন। যাহা হউক, গ্ৰাতঃস্মরণীয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত রাজা রাজবল্লভ এবং দূরদর্শিনী স্থtণী ভবানীর নামও একসঙ্গে আমাদের ভক্তি-সহকারে স্মরণীয় । শ্ৰী অবিনাশচন্দ্র দত্ত সম্পাদকীয় মন্তব্য। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পূৰ্ব্বেও বাংলা দেশে বিধবাদের বিবাহ দিবার চেষ্টা হইয়াছিল, ইহা আমাদের জানা ছিল । কিন্তু আমরা “সফল" চেষ্টার কথাই বলিয়াছি। সুতরাং আগেকার বিফল-চেষ্টার অনুল্লেখে কোন দোষ হয় নাই। প্রবাসীর সম্পাদক। কবিতা ও বনিত কবিতা বনিতা সমান (ই) ভণিতা সংসারে তাদের সমান দর। কবিতা যেমন বনিতা তেমন করিলে আপন, নহিলে পর । ঐ বৈদ্যনাথ কাব্য পুরাণতীর্থ