পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] প্রকাশ করতে পাৰ্বতেন তা হলে তার খুবই আনন্দিত হতেন সন্দেহ নেই, কিন্তু মাসিক পত্রগুলির বিভিন্ন নামের সার্থকতা কোথায় থাকৃত জানি না । প্রত্যেক মৃতন পত্রের পিছনে নূতন লেখক মৃতন রকম মস্তিষ্কের পরিচয় নিয়ে যদি না দাড়াতে পারেন তবে তাদের আয়োজনের সার্থকতাটা কোথায় ? একই জিনিষ দশ হাজারের জায়গায় বিশ হাজার প্রচার করতে পারলে কোন লাভ নেই কেউ বলবে না, কিন্তু নূতন । তার মধ্যে যে নিশ্চয়ই নেই তা’ বলাই বাহুল্য । সকল জিনিষকে সমগ্ৰ ভাবে দেখার সঙ্গে খণ্ডভাবে দেখার প্রয়োজন আছে । মৃতরাং সকলেই একই সৰ্ব্বাঙ্গণ আদর্শে অনুপ্রাণিত না হ’য়ে যদি ভিন্ন ভিন্ন অংশের ও ভিন্ন ভিন্ন আদর্শের চেহার দেশকে দেখাতে চাইতেন ত। হ’লে দেশ অধিকতর লা ভবান হ’ত । এক ছাচের দশখানা পত্রের চেয়ে দশ ছাচের দশখন পেলে দেশেব লাভ যে বেশী হ’ত তা ত বলাই বাহুল্য, কারণ স্থষ্টির ধ্ৰুপ ত বৈচিত্র্যেই খোলে । অভাবপক্ষে এক ছাচের দশখানায় যদি একছনচেরই দশ গুণ খাটি জিনিষ মিলত s হ’লেও নিতান্ত কম আনন্দের কথা হ’ত ন । কিন্তু সাময়িক দশ-বারো থানা কাগজ খুলে দেখুন, এখানেও কলিকা তার মাড়োয়ারী বণিক্‌ ও গোয়ালার ব্যবসায় স্বরু হয়েছে । সহরে ঘিও নেই, দুগ্ধও নেই, কিন্তু ব্যবসায় করে বড়লোক হ’তে সবাই ব্যস্ত ; অতএব সেই একমণ ধি চৰ্ব্বি-যোগে পাচমণ এবং একমণ দুগ্ধ জলধোগে দশমণ হয়ে ধরে ঘবে ফিরি হতে লাগল। আমাদের দশাও হয়েছে তাই ; লেখকের সম্বল হয়ত চার থানা আমেরিকান বৈজ্ঞানিক কাগজ, গোটা দুই গল্পের প্লট, গোট চার গাইড বুক, পিকুচার পোষ্টকাড, আর ছটাকখানিক কল্পনা ; কিন্তু উচ্চাকাজক্ষ। অনেক ; খরিদারও কম নয়, অতএব সেই স্বল্প সম্বলে জল মিশিয়ে দিনকার দিন জোলে৷ হ’তে জোলোতর রচনা কাগজে প্রকাশ করা চলেছে । এর ফলে মাসিক সাহিত্যের কি অবস্থা হয়েছে ভাল করে দশ-বারে খান আধুনিক কাগজ খুলে দেখলেই বোঝা যায়। বাংলা মাসিক পত্রের ছোট গল্প না হলে’ চলে না । মাসিক গল্প-সাহিত্য 8QQ স্বতরাং এবারকার মত ছোট গল্পের আলোচনা করে'ই দেখা যাক । একেবারে আধুনিক অর্থাৎ ১৩২৯ সালের শীতকালের খানকয়েক কাগজ সামনেই পড়ে আছে, মনের মধ্যে ও ভরি ; চার মাস আগের মাসিক সাহিত্যের কিছু কিছু ছাপ এখনও আছে । এইটুকুর উপর নির্ভর করেই সমালোচনা করছি ; বলে রাখা ভাল, শে, বাংল। দেশের সমস্ত মাসিক পা এর সমস্ত রচনা অথবা সমস্ত গল্প পড়ে’ সমালোচনার স্বত্রপাত হয়নি । মোটামুটি স। চোখে পড়েছে এট তারই একটা মানসিক ছবি । ইম্প্রেত্যানিষ্ট সম্প্রদায়ের ছবির সঙ্গেই এর সাদৃশ্য হবে বেশী। এখানে এনাটমী, পাস্পেক্টি হু কিছুই ধপাযথ মলবে না । ধেটুকুর ছায়া মনে যেমন পড়েছে এবং তার ফলে মনে যে কথা জেগেছে কেবল সেইটুকুই দেখ। যাবে । বাংলাদেশে বে-সব কাগজের নাম সবার আগে শোন ধায়ু সেইরকম সব কাগজের সমসাময়িক দশ-বারোথানা সংখ্যার অন্তত ত্ৰিশটা গল্প অল্প দিনের মধ্যেই পড়েছি , কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই যে, কাগজগুলি একটু দূরে সরিয়ে রেখে তাদের কথা ভাবতে গেলে দুটে একটার বেশী মনেই আসে ন! ! সূচীপত্র সাম্নে ধরলে আট দশটা গল্প মনে পড়ে কিন্তু তাও ছায়া-ছায় । কাগজের পাত-কট। একবা র উণ্টে গেলে দেখা যায় প্রথম শ্রেণীর গল্প বলতে যা বোঝায় তেমন গল্প একটাও নেই। মাসে যে-সব মাগুষ খুব কম হলেও দশ-বারোট। কাগজ পড়ে তাদের চোখে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মাসিক পত্রগুলির মধ্যে দু-তিন মাসে একটিও প্রথম শ্রেণীর গল্প ধরা দিলে ন৷ এটা আশ্চৰ্য্য নয় কি ? মাসিক পত্রে প্রকাশিত গল্পের শ্রেষ্ঠতম থেকে নিকৃষ্টতম বিভাগকে যদি পাচটা স্তরে ভাগ করা যায় তবে এইসব শ্রেষ্ঠ কাগজের ত্ৰিশটা গল্পের দশট। হয় তৃতীয় শ্রেণীর, পাচট। দ্বিতীয় শ্রেণীর, বাকী চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর। পঞ্চম শ্রেণীর গল্প প্রকাশ করার কধ্যে যার স্বপ্রসিদ্ধ তাদের কাগজ না পড়েই তালিকাট এইরকম দাড়িয়েছে । সে-সব লেখকের লেখনী থেকে এইসব গল্প প্রস্থত হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিন্তু একাধিকবার প্রথম