পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * বালিনের অবরোধ ঐ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ডাক্তার "ভি"-র সঙ্গে “শাজ এলিজে" দিয়ে যেতে যেতে, গোলা-বিন্ধ দেয়াল থেকে, ছক্কা-গুলি-সমাকীর্ণ পথের বাধানে রান্ত৷ থেকে, আমরা অবরুদ্ধ প্যারির ইতিহাস সংগ্রহ কবৃছিলেম। “প্লাস দ্য লেতোয়াল"এ পৌছবার ঠিক আগে ডাক্তার থামূলেন,— ধেমে, আর্ক, দ্য ত্রিয় ফ-এর চারিধারে, কোণের যে-বাড়ীগুলো জীকালো-ভাবে পল্লীকৃত রয়েছে তার একটা বাড়ী আঙ্গুল দিয়ে আমাকে দেখালেন। তিনি বললেন – “দেখতে পাচ্ছ কি, ঐ উপরের বারাওয়ে ৪টা বদ্ধ জান্‌লা ? আগষ্ট মাসের ভারস্তে, সেই বিপৎসস্কুল ১৮৭• অব্দের আগষ্ট মাসে, মৃগীরোগগ্রস্ত এক রোগীকে দেখবার জন্য আমাকে ডাক হয়েছিল। সে রোগী—কনেল জুগু, “প্রথম-সাম্রাজ্যের” আমলের একজন বৰ্ম্মধারী অশ্বারোহী সৈনিক,—যশোলাভের জন্য, মাতৃভূমির জন্য একেবারে উন্মত্ত। যুদ্ধের আরস্তে, “শাজ-এলিঞ্জের" ভিতর, দে একটা বাড়ীর গবাক্ষ-ওয়ালা এক প্রস্থ ক্ষামূব ভাড়া কবে" রেথেfছল :--কি জন্তে জান ?—আমাদের সন্তদের বিজয়-প্রবেশ সেখান থেকে দেখবে বলে । বৃদ্ধ বেচারী ! শ্বtহারাস্থে টেবিল থেকে উঠছে এমন সময় (Wissembourg ) ইনেমুৰ্গর সংবাদটা এসে পৌছিল। সংবাদপত্রের পদ্মবেশে লুই-নেপোলিয়ানের নাম-স্বাক্ষরিত পরাজয় সংবাদটা পাঠ করে'ষ্ট সৈনিক যুচ্ছিত হ’য়ে পড়ল। “আমি গিয়ে দেখলেম, বুদ্ধ অশ্বারোহী, ঘরের মেজের উপর সটান পড়ে আছে, মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে, আর একেবারে স্পন্দহীন ; লাঠির আঘাতে যেরকম হয় ঠিক সেইরকম। দাড়লে খুব লম্ব বলে মনে হ’ত—কিন্তু এখন গুয়ে আছে, স্তব শীর্ট প্রকাও বলে মনে হচ্ছে। স্বল্প মুখাবয়ব, স্বন্দর দস্তু-পাতি, কেঁাড়া কোকড় সাদা চুল। বয়স ৮• বৎসর, কিন্তু দেখলে মনে হয় ৬• এর বেশী না । তার পাশে, তার পৌত্রী নতজামু হয়ে আছে—চোখ দুটি জলে-ভরা। পিতামহের সঙ্গে তার অনেকটা সাদৃষ্ঠ আছে। ওফাতের মধ্যে, একজনের মুথলী জরা-জার্ণ, আব-একজনের মুখশ্ৰীতে বেশ একটা লধীনতা আছে, একটা উজ্জ্বলতা আছে । মেয়েটিকে দেখে আমার বড় কষ্ট হ’ল । দৈনিকের কক্ষ' ও সৈনিকের পৌত্রী। কেন না, তার পিতা মাক্‌-মাহনের শ্বাস-পার্শ্বচরদের মধ্যে একজন ছিল । বৃদ্ধ মেন্থেটির সম্মুথে প্রসারিত : মেয়েটিব মনে আর-একটি ভয় জেগে উঠেছে। আমি তাকে আশ্বস্ত করবার জন্ত অনেক চেষ্টা করশ্লেম,—আসলে যদিও আমারও কোন আশা ছিল না। ফুসফুসের রক্তস্রাব আটকাবার জন্ত আমরা চেষ্টা করছিলেম— ৮৭ বৎসর বয়সে এ-রকম রক্তস্রাব হ'লে বাঁচবার কোন আশা থাকে না । তিন দিন ধরে রোগী সেই একই অবস্থায় ছিল--নিম্পন্দ, নিশ্চল। ইতি মধ্যে প্লাইথ শোফেনের সংবাদটা এল—মনে আছে ত, সে কি অস্তুত সংবাদ! সন্ধা পৰ্য্যন্ত আমাদেরই একটা বড়রকম জয় হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করেছিলেম।--২•,• • • প্রশীয় নিহত, আর প্রশিয়ার যুবরাজ বন্দী। ”বেচারী রোগী—যে এপর্য্যন্ত বাহিরের ঘটনার প্রতি বধির ছিল— কি চুম্বক শক্তির প্রভাবে এই জাতীয় আনন্দের প্রতিধ্বনি তার কাণে ՀԳ এসে পেলি, তা আমি বলতে পারিনে। কিন্তু সেই রাত্রে তার শয্যার পাশে এসে দেপি, সে যেন আগু-এক মানুষ। তার চোখ প্রায় সাফ হয়ে গেছে, কথা কইতে আর ততটা কষ্ট হচ্ছে না ; মুখে একটু হাসির রেখা দেখা দিয়েছে—আর তোংলার মতন কথা কচ্ছে :– “sয়, জয়” । "। বনের্ম, একটা বড়রকমের জয়। তার পর যখন মাৰু-মাহনের বিজয় কীৰ্ত্তির খুঁটিনাটি বর্ণনা করতে লাগলেম তখন তার মূখই শিথিল হয়ে এল, তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল।" “আমি যখন ঘর থেকে বেরিয়ে এলেম, রোগীর নাত্নী আমার জন্ত অপেক্ষা করছিল—তার মুখ ফাকাশে হয়ে গেছে, আর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কঁদিছে * আমি তার হাল- দুটি ধরে” বললেম :– “কন লরক্ষা পেয়েছে ।" আমার কথার উত্তর দিতে মেয়েটির সাহস হ'ল না। একটু আগে যুদ্ধের আসল খবরটা পাওয়া গেছে। মাকৃ-মাহন পলাতক, সমস্ত ফরানী বাহিনী নিপেধিত । একট। আতঙ্কের ভাবে আমণ পরম্পরের মুখের পানে তাকাতে লাগলেন । মেয়েটি দাদামশায়ের জন্ত উৎকণ্ঠিত, আর থর্থর কণে কঁপিছে। নিশ্চয়ই, এই নুতন ধাক্কাটা তিনি আর সামূলতে পারবেন না। এখন তবে উপায় কি ? যে-সংবাদ তাকে পুনর্জীবিত করে তুলেছে—সেই সংবাদের বিভ্রমটাই তিনি তবে এখন উপভোগ করুন। তবে কি না, ঠাকে আমাদের প্রতারণা কতে হবে। সাহসী মেয়েটি বললে – ”আচ্ছ। তবে আমিই উাকে প্রতারপ করব।” এই কথা বলে তাড়াতাড়ি চোখের জল মুছে ফেলে, হাস্য-বদন তার পিতামহের ধরে প্রবেশ করলে মেয়েটি নিজেই এই শক্ত কাজের ভার্ট নিয়েছে। প্রথম কয়েক দিন, এ-কাজট। অপেক্ষ কুত সহজ ছিল, কেননা যুদ্ধের মস্তিষ্ক তথন দুৰ্ব্বল ছিল—ছোট ছেলের মতে। সে যা-ত বিশ্বাস করত । কিন্তু স্বাস্থ্যের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তার মাথাটা পরিষ্কার হয়ে এল। রোজকার সংবাহ তাকে শোনানে আবশ্বক ’ত, বানিয়ে বানিয়ে নুতন খবর বলতে হত। স্বন্দরী মেয়েটি রাত-দিন একটা জার্মানির ম্যাপের উপর ঝুঁকে রয়েছেদেখলে কষ্ট হয়। ছোট ছোট নিশেন দিয়ে মাপট। সে চিহ্নিত কর্ত—বিজয়-যাত্রার পথে বাজেন বালিনের দিকে অগ্রসর ইয়েছে, ফ্রগার্ড, ব্যাভেরিয়ায় আছে, মাৰু-মাহন বাfন্টক সমুদ্রের উপর ইত্যাদি । এইসব বিষয়ে সে আমার পরামর্শ নিত ; আমার সাধ্যমত আমি তাকে সাহায্য করতেম। কিন্তু এই কাল্পনিক যুদ্ধ-বিগ্রহের ব্যাপারে ওর পিতামহের কাছ থেকেই আমরা বেশী সাহায্য পেতেন। প্রথম সাম্রাজ্যের আমলে ফরাসীরা কতবার জাৰ্ম্মানী জয় করেছে—তাই বুদ্ধ আগু-থাতেই যুদ্ধের সব চাল জালত । এখন ওদের ঐধানে যাওয়া উচিত। এইবার ওরা এইরকম করব । উর ভবিষ্যদবাণ সফল হচ্ছে দেখে তার মনে মনে বেশ একটা গৰ্ব্ব হ’ত। झडीश्रायश, अभद्रा गठ३ नक्षत्र प्रथल कब्रि गा cरून बूझ জয়লাভ করি না কেন—তাতে তার মন উঠত না। তাকে আমরা নাগাল পেতাম না। তিনি তারও এগিয়ে যেতেন। তার কিছুতেই মনস্তুষ্টি হ’ত না। প্রতিদিন মেয়েটি লুইন নুতন কাল্পনিক