পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હન સ્વિn] যোগাসনে উপবেশন করিতাম এবং দেহকে ঋজুভাবে স্থাপন করিয়া মনকে স্থির করিতাম । তাহার পরে মৈত্রী-পরিপূর্ণ চিত্ত দ্বারা জগতের একদিক্‌ ব্যাপ্ত করিয়া বিহার করিতাম ; এইরূপ দ্বিতীয় দিক, তৃতীয় দিক ও চতুর্থ দিক ব্যাপ্ত করিয়া বিহার করিতাম। উর্দু, অধঃ, তিৰ্য্যক এবং সৰ্ব্বত্র, সৰ্ব্বস্থানে, সৰ্ব্বলোকে আমি বিপুল, মহত্বপ্রাপ্ত, অপরিমেয়, অবৈর ও হিংসাবিহীন এবং মৈত্রীপরিপূর্ণ চিত্ত দ্বারা ব্যাপ্ত করিয়া বিহার করিতাম। ( অজুত্তরনিকায়, মহাবগগ, 이SS기)) ইহার পরে ঠিক এই ভাষাতেই বলিয়াছেন, যে, তিনি পূৰ্ব্বোক্তপ্রকারে করুণ, মুদিত ও মৈত্রী দ্বারা সৰ্ব্বজগৎ ব্যাপ্ত করিয়| বিহার করিতেন । এ-বিষয়ে তিনি "রাহুল’কে দিযাছিলেন — يناير “হে রাহুল ! মৈত্রী-ভাবনা সাধন করিবে, মৈত্রীভাবনায় বিদ্বেষ-বুদ্ধি ( ব্যাপাদ ) বিদূরিত হইবে। হে রাহুল ! করুণা-ভাবনা সাধন করিবে ; করুণা-ভাবনা দ্বারা হিংসা-বুদ্ধি বিদূরিত হইবে। হে রাহুল ! মুদিতভাবনা সাধন করিবে, মুদিতা-ভাবনা দ্বারা ‘অ-রতি’-ভাব বিদূরিত হইবে । হে রাহুল ! উপেক্ষা-ভাবনা সাধন করিবে, উপেক্ষা-ভাবনা দ্বার। রাগ ( অর্থাৎ আসক্তি, কাম ) বিনষ্ট হইবে । ( মজ ঝিম, ৬২, মহারান্তলে বাদ মৃত্ত ) ৷ © মৈত্র্যাদি-ভাবনা দ্বারা যে বিদ্বেষাদি ভাব অপগত হয় এই প্রকার উপদেশ আর্টে ধৰ্ম্ম ও নীতির স্থান Qb" তাহা অন্যান্য স্থলেও বর্ণিত হইয়াছে । ( দীঘনিকায়, সঙ্গীতি স্বত্তস্ত, ২২১৭ )। সম্যক সমাধি ও ব্রহ্মবিহার সম্যক সমাধি ও ব্রহ্ম-বিহার উভয়ই সাধনের পথ । কিন্তু প্রণালীতে পার্থক্য আছে। মজুঝিমনিকায়ের অন্তর্গত মহা-বেদল্ল স্বত্তে এই বিষয় ব্যাখ্যাত হইয়াছে । সম্যক সমাধিতে চিত্তের যে বিমুক্তি হয়, তাঙ্গর নাম অনিমিত্ত চিত্ত-বিমুক্তি, আকিঞ্চন্ত চিত্ত-বিমুক্তি এবং শন্তত চিত্ৰবিমুক্তি। সমাধির উচ্চ অবস্থায় ক্লোন বাহ বস্তু চিস্তার বিষয় হয় না, এইজন্য ইহা অনিমিত্ত ( নিমিত্তবিহীন )। তখন অস্তরে এই চিস্ত উপস্থিত হয় ‘কিছু মাই’ ‘কিছু নাই ; এইজন্য ইহার নাম আকিঞ্চন্ত । কিছু নাই—এই ভাব । তপন আমিত্ব-জ্ঞান ও মমত্ব-বোধ বিদূরিত হয় এইজন্য ইহার নাম শূন্ততা । কিন্তু ব্ৰহ্ম-বিচারে চিত্তের যে বিমুক্তি, তাঙ্গতে চিত্তের প্রসারতা বৰ্দ্ধিত হয়, তাঙ্গ অসীম, ও অপ্রমাণ অর্থাৎ প্রমাণ বা পরিমাণরঞ্ছিত । এইজন্য ইহার নাম দেওয়া হইয়াছে অপ্রমাণ চিত্ত-বিমুক্তি । প্রণালীতে পার্থক্য থাকিলেও এতদুভয়েরই লক্ষ্য ও ফল একই । সম্যক সমাধি ও ব্রহ্ম-বিহার উভয় সাধনেই রাগ, দ্বেষ, মোঙ্গ বিদূরিত হয় ; উভয়ই অৰ্হত্ত্বপ্রাপ্তির ও নিৰ্ব্বাণ-লাভের উপায় । (মজ ঝিম, ৪৩, মহাবেদল্ল স্বত্ত) । উভয় পথই ধ্যানের পথ, উভয়ই গোতমের অতুমোদিত এবং উভয় পথেই গোতম সাধনা করিয়াছিলেন । এই সাধনার ফল বুদ্ধত্ব-লাভ । আর্টে ধৰ্ম্ম ও নীতির স্থান শ্ৰী সরোজেন্দ্রনাথ রায়, এম-এ ভূমানন্দের প্রকাশ বলিয়া রবীন্দ্রনাথের-তথ৷ ভারতীয় সাহিত্য ॥৪ কলার—মধ্যে এক গম্ভীর সত্ত। চিত্তকে পুলকিত করে । " এক অজ্ঞাত পদক্ষেপ ধ্বনি শুনিতে পাই—মনে হয় কার যেন রঙীন আঁচলখানি চোখের উপর হইতে সরিয়া যাইতেছে—লুকাইবার ব্যর্থ প্রয়াসে । এইজন্য বিদেশীয়ের ভারতের সাহিতাকে ধৰ্ম্ম-সাহিত্য বলে । ভারতীয় সাহিত্য ধৰ্ম্ম-সাহিত্য হইবে তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? ভারতীয়েরা যে ধৰ্ম্মাধিপতিকে সকলের মধ্যে দেখিতে পায় ! প্রাণের দুয়ারে সে যে চির-অতিথি —শরতের শিউলি ফুল-বসন্তের রঙীন আকাশ—