পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ8 SASAMAMAMMASASAS SSASAS SS SS SS রতন বেগতিকে পড়ে বললে, “কি কর স্বমিত্র, কি কয় ?” r রতনের হাত ধ’রে টানতে টানতে স্থমিত্রা বললে, “চলুন, আমাদের বাড়ীতে ।” —“আহা আগে আমার কথাই শোনো।” —“কথাবাৰ্ত্ত সব বাড়ীতে গিয়ে শুল্ব। আমি লুকিয়ে পালিয়ে এসেছি, বাড়ীর সবাই এতক্ষণে বোধ হয় ভেবে সারা হচ্ছেন—ঃপুন শীগগির।” —“আচ্ছ, একবার পূর্ণিমার সঙ্গে দেখা করতে দাও। রতনের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে স্থমিত্রা চুপিচুপি বললে, “আর কারুর সঙ্গে আপনাকে দেখা করতে দেব না, এখনি হয়ত আপনার মত বদলে যাবে।” —“কি মুস্কিল! স্বমিত্রা, তুমি কি আমাকে একেবারে বন্দী ক’রে ফেলতে চাওঁ ?” —"র্হ্যা, আজ থেকেই।” —“মুক্তি দেবে কবে ?” —“এ-জীবনে নয় ।” সাতাশ সন্ধর পরে বাড়ীতে ফিরে এসে আনন্দ-বাৰু পূর্ণিমাকে দেখতে পেলেন না। এমন ত কোন দিন হয় ন! ! তিনি বাড়ী ফেরার সঙ্গে-সঙ্গেই সৰ্ব্বপ্রথমে দেখতে পান, পূর্ণিমার হাসি-হাসি মুখ-পানি। একটু আশ্চৰ্য্য হয়ে তিনি আস্তে আস্তে ছাদের উপরে উঠলেন। পরিপূর্ণ চাদের আলো তখন সারা-আকাশে যেন স্বপন-সায়রে রূপের ঢেউ তুলে’ পৃথিবীর শিয়রে উপচে পড় ছিল। আনন্দ-বাবুর ছাদের বাগানও আজ জ্যোৎস্নার আলিম্পনে বিচিএ হ’য়ে উঠেছে। একটা প্রকাও কাঠের টবের উপরে একরাশ হাক্স হানা ফুট', খানিক আলো খানিক কালো মেখে বসন্তের বাতাসকে গন্ধে মাডাল ক’রে তুলছে । তারই ওপাশে গিয়ে আনন্দ-বাৰু দেখলেন, পূর্ণিমা একখানা ক্যাম্বিসের জারাম-কেদারায় চুপ ক’রে একলাটি শুয়ে আছে। আনন্দ-বাবু প্রথমটা ভাবলেন, পূর্ণিমা ঘুমিয়ে পড়েছে। किच्च उिनि कोप्क्ष् भित्म फ्राज्रान्त यौज भूलिँग श्रृश्षरब বললে, “বাবা ?” & প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড আনন্দ-বাবু মেয়ের পুশে আর-একখানা আম্বনে বসে বললেন, "একৃলাটি এখানে কি হচ্ছে মা ?”. —“শরীরটা আজ ভালো নেই বাব৷ ” — সে কি, অস্থখ-টম্বখ করে-নি ত?” দেখি !” আনন্দ-বাবু মেয়ের কপালে হাত দিয়ে দেখলেন, তপ্ত কি না। কপালের তাপ স্বাভাবিক বটে, কিন্তু তার হাতে জলের মত কি লেগে গেল ! আনন্দ-বাবু সচমকে মেয়ের মুখের পানে ভাল ক’রে তাকালেন –পূর্ণিমার চোখে ও গালে চাদের আলোতে কি চক্‌চক্‌ করছে! আশ্চৰ্য্য হয়ে তিনি বললেন, “পূর্ণিমা, তুই কাদছিল ?” পূর্ণিমা ব্যস্ত হয়ে বললে, “মা বাবা, কাব কোন দুঃখে ? বোধ হয় একদৃষ্টিতে অনেকক্ষণ ধ’রে আকাশের দিকে চেয়ে ছিলুম ব’লেই চোখ দিয়ে জল পড়েছে।” আনন্দ-বাৰু আশ্বস্ত হ’য়ে উপদেশ দিলেন, “আমন ক’রে একদৃষ্টিতে আকাশ-পানে চেয়ে থেক না, তা হ’লে চোখ খারাপ হবার সম্ভাবনা ।” তার পর তিনি ধীরে ধীরে ছাদ থেকে নীচে নেমে গেলেন। পূর্ণিমা আবার একলাটি শুয়ে শুদ্ধ ভাবতে লাগল। আকাশের জ্যোৎস্না স্রোতে মাঝে মাঝে পাতলা মেঘগুলি ভেসে যাচ্ছে—কী হাল্ক তাদের জীবন ! বাধ৷ নেই, গৰ্ত্তী নেই, চিন্তা নেই,—নীলিমার অসীম হৃদয়ে, আলো-আঁধারির আবর্তনের মধ্যে, দিন রাত নীরবে ভেসে চলা আর ভেসে চলা ছাড়া আর কিছু তারা জানে না। তাদের গতির তালে তালে যে অশ্রাত-রাগিণীর মৌনঝঙ্কার বাজছে, নিজের প্রাণের কানে পূর্ণিমা যেন তা শুনতে পেলে !... পৃথিবীর মান্বষবা আজ'কবিত্বের আগে চায় ভাষাতত্ত্ব, নীরব রাগিণীর অর্থ তাই তারা আর বুঝতে পারে না, এবং এই বিশ্বপ্রকৃতির বিপুল নাট্যশালায় চারিদিক্‌ থেকে নিত্য যে বিচিত্র স্তব্ধতার সঙ্গীত উঠছে, তাদের কারুর কানে তার ছন্ম ধরা পড়ে না। ঐ স্বৰ্য্য-চন্দ্র, গ্রহ-তারা, অনন্ত আকাশ, এই পৃথিবীর নরম মাটি, তৃণের খামলতা, ফুলের রাঙা মুখ–এরাও ভাবুকের কাছে চুপিচুপি যে কথা কয়, যে গান গায়, যে বঁাশী বাজায়, তার মাধুর্ঘ্য কি ঝরণার স্বর বনের মর্শ্বর, ,