পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ঐআশালতা দেবী &> প্রত্যেক দিন সকালবেলায় ডাক আসিবার সময় দারোয়ানটা যখন ছেলেদের চুয়ারে চুয়ারে ডাকিয় বেড়ায়, চিমটি হায় ? সে সময় প্রভোক দিনই যামিনীর হৃৎস্পন্দন দ্রুততর হইতে থাকে। মনে হয় দরোয়ান এইবারে তাহার ঘরের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইবে, এইবারে তাহার দিকে একখানা নীলাভ রঙের থাম হয়ত প্রসারিত করিয়া ধরিবে। তাহার নামেও হয়ত চিঠি আছে। আর সে চিঠি লিখিয়াছে নিশ্চয় নিৰ্ম্মল। কিন্তু কোনদিনই আশা পূর্ণ হয় না। প্রতীক্ষার পাল দীর্ঘতর হইতে থাকে। কিন্তু এমনি দুৰ্ব্বার আশা ষে আবার ঠিক পরের দিন চিঠি আসিবার সময় হইলেই তাহার পক্ষে কোন কাজ করা কি লেখাপড় করা অসাধ্য হইয়া উঠে। সেই কয়েকটি মুহূৰ্ত্ত ব্যাকুল আশার উত্তেজনায় কাটিয়া যায়। তাহার পরে তাহার বারংবার প্রশ্নের জবাবে দরোয়ান যখন ঠিক একই ভাবে মাথা নাড়িয়া বলিতে থাকে, না বাৰু, আজও আপনার নামে কোন চিঠিপত্র নাই, তখন কিছুক্ষণের জন্ত তাহার মনের সমন্তটা একেবারে অন্ধকার হইয়া যায়। একটা দিনের জন্ত সমস্ত আশা গেল । সেদিন বেলা ন’টার সময় ডাক বিলি হইয়া যাইবার পরে যামিনী নিরাশ মনে চুপ করিয়া বসিয়া আছে, এমন সময় জাফরাণি পৰ্কী-বোলান পাশের বাড়ি হইতে খুব একটা সৌরগোল, একটা স্ত্রী-কণ্ঠের আর্তনাদ শোনা গেল। যুধিী সেইদিকের জানালাগুলা বরাবর বন্ধ রাখিত, টানিয়া খুলি দেখিল গেটের সামনে গোটাই-তিন মোটর দাড়াইয় আছে । একটা হল্ল উঠিয়াছে। নিখিলকে ডাকিয়া কছিল, "ওহে ব্যাপার কি ? এত গোলমাল কেন ? না, এ ময় দু’টাে আমাকে বদলাতে হ’ল দেখটি। এমনিতেই उ नेिवांब्रांजि नाrब्रक्रि निकग, १itनब्र श्न थाल, भांडारणब्र অশ্রাব ভাষায় কান ঝালাপাল। তার উপরে কোন কোন নি বা বিশেষ পাল হক হয় তাহলেই ত চমৎকার " | 岑 নিখিল সেই বাড়ীর ফটকের কাছে গেল ব্যাপার কি দেখিবার জন্ত । কোন এক বেহারী বড় জমিদারের ছেলে এক জন রক্ষিতার মত স্ত্রীলোককে আনিয়া কিছুদিন হইতে ওই বাড়ীতে রাখিয়াছে। লোকে এইরূপই বলে। অনেকটা আন্দাজও তাই হয়। মেয়েটিকে জানালার কাছে দাড়াইয়া থাকিতে যামিনী অনেকবার দেখিয়াছে। কালে দীর্ঘ ঘনপক্ষ চক্ষু। অপূৰ্ব্ব সুন্দরী। চকিতের মত জাফরাণি পর্দা সরাইয় তাহার কালো চক্ষু চঞ্চল হইয়া উঠে, আবার তখনই সরিয়া যায়। দিনের বেলায় সমস্ত বাসাটা নিস্তব্ধ থাকে। কেবল এক জন দাসীকে সদরদরজা খুলিয়া মধ্যে মধ্যে যাতায়াত করিতে দেখা যায় । কিন্তু সন্ধা লাগিতে নালাগিতে প্রকাণ্ড এক মোটরের হর্ণ ঘন ঘন বাজিতে থাকে। তাহা হইতে যে বেহারী ভদ্রলোক নামে তাহার পাঁচ আঙলে পাঁচটা হীরার আংটি এবং বেশভূষার দিকে চাহিলেই তাহার শিক্ষা এবং রুচি সম্বন্ধে সংশয় করিবার আর অবকাশ থাকে না। তাহার পরে আরও দুই-একটা জুড়িগাড়ী লাগে ও সারারাত্রি ধরিয়া সুরা এবং বীভৎসতার যে প্ৰমত্ত লীলা চলে, দূর হইতেও ক্ষণে ক্ষণে তাহার আভাস পাওয়া যায়। নিখিল ক্ষণকাল পরে ফিরিয়া আসিয়া কছিল, “হবে আবার কি, মাতাল জমিদারটা আন্থ অন্তদিনের চেয়ে মাত্র চড়িয়েছে, তাই হয়ত বেধেচে কোন গোলযোগ । যাকগে ও সবে আর মনোযোগ দিয়ে কি হবে ব’ল। দেখি যদি এই রকম রোজই চলে, তাহলে অন্ত মেস দেখতে হবে । এখানে আৰু অন্ত কোন ঘর ত খালি নেই। ভূমি কি বল ? কিন্তু এ-বাড়ীটা খুব সুবিধের ছিল।” दाजै कर्नाश्वत्र मांग उनिबाबुरे शनौिन भू६ শুকাইয়া গেল। তাহার সমস্ত দেহ-মন যেন ক্লাস্তির অকাদের চরম সীমায় পৌঁছিয়াছে। এতটুকু চেষ্টা উদ্যোগ তাহাতে আর সহিবে না। চেয়ারটায় ভাল কৰিয়া ছেদন দিয়া বাসা সে অর্থনীতি ক্ষে কলি, “বাৰু অন্ত