পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক মুক্তি ఏSt. ঘরের মধ্য প্রগাঢ় নিস্তব্ধতা । পিয়রের কাছে পাখ} হাতে করিয়া দাসী চুলিতেছে । মেয়েট চোখ খুলিয়া তাহার কালো চক্ষুর পূর্ণ দৃষ্টি সামিনীর উপর মেলিয়া ধরিয়া কহিল, “এমন আমি কোথাও দেখি নি।” কণ্ঠস্বর সঙ্গীতের মত মধুর। ষামিনী অন্তমনস্কের মত জানালা দিয়া বহিরের অন্ধকারের দিকে চাহিয়াছিল, চমকাইয়া উঠিয়া কহিল, “কি বলছেন ?” “ভাবছি কি ব’লে আপনাদের কাছে পরিচয় দেব । আমার নাম আমলা । আমার নামটাই যেন আমাকে কর-ছ সকলের চেয়ে পরিহাস । হয়ত কত কি-ই ভাবছেন।” “কিছুই ভাবছি নে। পরের সম্বন্ধ কোন রকম কিছু ভাব আমীর স্বভব নয় । আপনি যা তাই । কিন্তু এখন আর বেশী কথা বলবার প্রয়োজন কি ? ডাক্তার বলেছে আপনার শরীর এবং মস্তিস্ক দু-ই এখন দুৰ্ব্বল।” মেয়েটির মুখে আতঙ্কের গঢ় কলিমা পড়িল কহিল, “আচ্ছ, কি ক’রে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলুম, জানেন ?” “জানি নে । আমরা আপনা.দর বাড়ির ঐ পাশের মেসে থাকি । আপনার দাসী গিয়ে আমাদের খবর দেয় ।” “জনি । আমি আমার এই জনিলা দিয়ে কতবার আপনাকে দেখেছি।” অমল কি যেন স্মরণ করিতে আবীর চক্ষু মুদিল । বাহিরে নিখিলের পায়ের অওয়fজ পাওয়া গেল। দসীফে উঠাইয়া দিয়া যামিনী কহিল, “আপনার ইতিবৃত্ত শেলুবর জন্তে আমরা তত ব্যস্ত হই নি । আপনি শাস্ত হয়ে বিশ্রীম করুন। আমরা চললুম। যদি কোন প্রয়োজন হয় খবর দেবেন ।” নিখিলের সঙ্গে আসিয়া রাস্তাতে পড়িতেই সে গম্ভীর হইয়া কহিল, “যামিনী, বড়ি বদল'বীর কথা বলছিলে, এবারে আর তামসা নয়। এবার একটা ভাল বাড়ি দেখে কাল-পরশুই উঠে যাচ্ছি।” “কেন কি হয়েছে ? এত তাড়া কিসের ?” “তাড়া নয়ই বা কেন ? রোজারোজ এইসব কাওকারখানা আরম্ভ হ’ল । আজি তো দেখছি একরাশ অর্থদণ্ড হ’ল। তবুও যদি এইটুকুর উপর দিয়েই যায় তাহ’ল ভাগ্য বলে মানি ।” “এত ভয় কিসের ?” “ভয় আমার জন্তে নয়। তোমারই জন্তে ভাবনা ৷ তোমাদের মত বেীকালো, আবেগপ্রবণ লোকগুলোকে আমি বিশেষ ভরসা করি নে। তার উপরে একবার শীসের সন্ধান পেলে সহজে কি ওরা...” “নিখিল, কোন এক জন স্ত্রীলাকের সম্বন্ধে কিছুই না জেনে অসন্ত্রম ক’রে কথা ব’লে না ।” “ওই রে ! কপালে যা ছিল এখন থেকেই তা ঘটতে মুরু হয়ে গেল বুঝি। স্ত্রীলোক আবার কি ? গণিকা সম্বন্ধেও সন্ত্রম ক’রে কথা কইতে হয় না কি ?” “অত সব জানি নে নিখিল । মেয়দের বাড়তির ভাগ সন্ত্রম ক’রে ঠকৃতে বরঞ্চ রাজী আছি, কিন্তু আগেভাগে হিসেব ক’রে সাবধানী হ’তে পারব না। ’ くい。 দুপুরবেলায় নিখিল কলেজ গিয়াছে । যামিনী তাহার ঘরের বিস্থানীয় গুইয়া ভাবি.তড়িল কাল রাত্রিবেলার ঘটনাগুলা । সে সমস্তই এত আচম্বিতে এত তাড়াতাড়ি ঘটিয়া গিয়াছে যে এখনও তাহীদের সত্য বলিয়া মনে হয় না । মনে হয় অন্ধকার রজনীর অন্তরাল ছিন্ন করিয়া কোন এক অলীক কাহিনী কয়েক মুহূর্তের জন্ত নামিয়া অসিয়াছিল। নিৰ্ম্মলা ছাড়া এ-অবধি কোন স্ত্রীলোকের পীনে যামিনী ভাল করিয়া চাহিয়া দেখে নাই । তাহার কবি-প্রকৃতির সমস্ত নীরব পূজা এবং শ্রদ্ধা উদ্যত করিয়া ধরিয়াছিল তাহারই দিকে । কিন্তু এত দিয়াও সে এক জনের মন তেমনই করিয়া জাগাইতে পারিল না। কোনও হৃদয়ে সে নিজের জন্ত দৃঢ় আশ্রয়-ভিত্তি রচনা করিতে পারিল না । তাই এই নিরস্তর শুষ্ঠতার মাঝ তাহার সমস্ত মন অফুল তৃষ্ণায় চঞ্চল হইয়ু বেড়াইতেছিল। কোন কিছুতেই স্থির হইয়া মন বসে না, কোন কিছুর জন্তই চেষ্টা করা, আগ্রহ করা ভাল লাগে না। মনের মধ্যে ক্লাস্তি এবং শুষ্ঠতার ভাব ছাড়া আর কিছুই নাই । কিছু করিতে গেলেই এক জনের উপর নিদারুণ অভিমান জাগিয়া উঠে। মনে হয় আমার কিছু করা, আমার ভাল থাকা সে যেন তারই গরঙ্গ। সেই शनि थांकिज छैनांनीम इहेम्न छरय ५-भष wषंईौन dछेॉब्र