পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমতিক ভিতর এ-আদর্শ আর থাকিতেছে না ; তা যদি না হইত, তবে জাৰ্ম্মেনীই বা তাঁর দেওয়া কথা অস্বীকার করে কি করিয়া আর ইংলণ্ডই বা তার ঋণ অঙ্গীকার করে কেমন করিয়া ? ঋণ-সম্বন্ধে জগতের জাতিসমূহ যে বিচারপদ্ধতি গ্রহণ করিতেছে, তাছায় অর্থ এই যে, ঋণ অবশ্যই দেওয়া উচিত, তবে নিজের অত্যন্ত অনিষ্ট কিংবা অসুবিধা হইলে উহা না দেওয়াই উচিত। স্বীকার করিতেই হইবে, উহা স্তায়-অষ্ঠায় বিচারের একটা নূতন ধারা ; আর ইহাও স্বীকার করিতে হইবে যে, এই নূতন বিচারপদ্ধতি ব্যাপকভাবে অবলম্বিত হইলে, ব্যক্তির এবং জাতির জীবনধারাও অনেক পরিবর্তিত হুইবে । অনেক আগে, যখন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধারণা খুব স্পষ্ট হয় নাই, তখন হয়ত এই প্রকার জাতীয় ঋণশোধ সম্বন্ধে জাতিসমূহের ধারণাও অস্পষ্টই ছিল। কিন্তু আজ জাতিতে জাতিতে সম্বন্ধটা একটা বিরাট সত্য ; অথচ এই সম্বন্ধ-স্বীকৃতি সত্বেও ঋণ-সম্বন্ধে জাতিসমূহ এক নুতন চিন্তাধারা গ্ৰহণ করিতেছে । ইহাতে আস্তর্জাতিক সম্বন্ধই যে কেবল পরিবর্তিত হইবে এমন নহে, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে সম্বন্ধের উপরও ইহার প্রভাব অনিবার্যা। মানুষের সামাজিক পদমর্যাদা, তার ধনসম্পত্তি, তার ক্রিয়াকলাপ ও চিন্তাধারণ —এক কথায় তার সমগ্র জীবন, তার ভালমন্দের ধারণদ্বারা নিয়ন্ধিত হইতেছে। সুতরাং ইহা স্পষ্ট যে, এই ভালমন্দের ধারণার পরিবর্তন ঘটলে তার জীবনপদ্ধতির পরিবর্তনও অপরিহার্য। একটা দৃষ্টান্ত সহজেই দেওয়া যাইতে পারে। আমরা সাধারণতঃ কোন সভ্য গবন্মেণ্টকে টাকা ধার দিতে সঙ্কোচ বোধ করি না । বিনা সন্দেহে যেমন দেশে ‘কোম্পানীর কাগজ কিনির টাকাটা নিরাপদ হইল মনে করি, তেমনি ফ্রান্স বা জাৰ্ম্মেনীর কাগজ কিনিতেও আমাদের কোন ভয়ের কারণ ছিল না, কেন না, ওরা সভা দেশ, টাকা fদবে, এ বিশ্বাস স্কলেরই ছিল । কিন্তু ক্রমে যদি এমন হইয়া দাড়ায় যে, অসুবিধ ৰোধ করিলে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন গবশ্বেণ্ট ঋণ দিতে অস্বীকার করিয়াছে, তখন আর লোকে \ , . নৈতিক আদর্শের পরিবর্তনের ফলে ঋণ দিতে \ . করে, তারা আগের ঋণ সব পরিশোধ করিয়া জগৎA \ নূতন আদর্শের কথা জানাইয়া দিয়া শুধু ভবিষ্যৎ সম্বন্ধেই এই নুতন নিয়ম অনুসরণ করে না । সুতরাং ৈ মুহূর্তে কোন দেশ এই নুতন আদর্শ গ্রহণ করিবে, সেই মুহূৰ্ত্তে বহু ধনী নিধন হইয়া যাইবে। কারণ, সে-দেশের কাছে টাকা ধার রাখিয়া অনেকেই নিজদিগকে ধনবান মনে করিতেছিল ; কিন্তু ঐ দেশ যখন তার ধার-করা টাকা দিতে অসম্মত হইবে, তখনই ত ধনীদের ধন কপূরের মত উবিয়া যাইবে ! কত লক্ষপতি শুধু কোম্পানীর কাগজে প্রক্ষিপতি এই কোম্পানীর কাগজের টাকা পরিশোধ করিতে- যার প্রতিশ্রুতি করিয়াছে, তারা যদি সে প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে, তবে আর লক্ষাধিপতিদের লক্ষ টাকা কোথায় রছিল । মৃতরাং জগতের নৈতিক আদর্শের পরিবর্তন ঘটিলে সমাজে ধনী-নিধন প্রভৃতি যে শ্রেণী-বিভাগ আছে তাহাও অবিকৃত থাকে না ! ঋণের আদান-প্রদান সম্বন্ধে যে নূতন ধারণা জগতে দেখা যাইতেছে, তাহ ইউরোপ আমেরিকার জাতিদের দেনা-পাওনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় । গত দুই-তিন বৎসরের ভিতর বাংলায়, তথা ভারতবর্ষে, কয়েকটি আন্দোলন হইয়াছে, যাহার ভিতরও ঋণ-সম্বন্ধে এই নূতন ধারণার প্রভাৰ দৃষ্ট হয়। প্রথমতঃ কংগ্রেসের অনুমোদন অনুসারে খাজান বন্ধ করিবার জন্ত যে একটা আন্দোলন হইয়াছিল, তাহতেওঁ ঋণ অস্বীকারেরই প্রকারাস্তুর দৃষ্ট হয় । খাজনাও একপ্রকার ঋণ–এবং এক হিসাবে দেখিতে গেলে, অঙ্গীকৃত গুণ সুতরাং তাহ না-দেওয়া ঋণ অস্বীকারেরই নামান্তর। এৰ সময়ের নৈতিক ধারণা অনুসারে উহা অষ্ঠায় বলিয়া, মনে করা হইত, কিন্তু আজ যে একটা অবস্থাবিশেষে উহামল দেওয়ার উপদেশ হইল, তাহীতে ইহাই প্রকার স্তরে বল হইল যে, রাষ্ট্র বা সমাজের অবস্থা-বিশেষে ঋণ অস্বীকা করিলে কোন অন্তায় বা পাপ হয় না। সুতরাং মানুয়ে নৈতিক আদর্শের একটা পরিবর্তন যে ইহাতে স্থচিত হীর মত সহজে দেশী কিংবা বিদেশী কোম্পানীর কাগজকে সে-বিষয়ে আর সন্দেহ করা চলে কি ? কিনিতে চাহিৰে না। আরও একটা কথা। স্বারা তাৰে পক্ষিয় কিংবা २ - - কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াও বাংলা দেশের কো-কেউ জেলার খাজান এবং কর্ষ টাকা পরিশোধ না- । { विाकरण