পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بسواعيا8 鸥、 i নী 8; ఎ98S হাজির হইবেন, তখন ? তখন শালার চক্ষু দুইটি শুকাইয়া আমচুর হইয়া যাইবে যে ! সমীপস্থ হইয়া কহিলেন, আপনি—তুমিই অশ্বিনী বাবু ? —আজ্ঞে ই, আপনি... ? —অধীন তোমার ললিতের খাসমহলের খিদমদগার, নাম কৈলাস চাটুজ্জে । অশ্বিনী নত হইয়া বুদ্ধের পদধূলি লইল । এক ফোট অশ বুদ্ধের পদচুম্বন করিল। তিনি হাসিয়া বলিলেন— এটাকে আমি বিরহাশ্র বলেই মেনে নিলাম, কারণ শ্ৰীমতী ললিতে বহাল-তবিয়তে আছেন এবং আর কিছুক্ষণ পরেই হুজুরে হাজির হবেন । অশ্বিনী থ’!--অর্থাৎ? পকেটের মধ্যে হাত পূরিয়া টেলিগ্রাম হাতড়াই তছে । —ইn, টেলিগ্রামটি নকল নয়, তবে তার বিষয়টুকু নকল । তুমি ধৈর্য্যং ধর’—বলিয়া তিনি আনুপূর্বিবক সমস্তই বলিলেন । অশ্বিনী চোখ পাকাইয়া উঠিল –স্কাউণ্ডেল! চেহারাটা কেমন বলুন ত ? দোহার ? বড় বড় চুল ? ডান চোখটা সামান্ত ছোট দেখায় ? ( একটু ভাবিয়া ) গায় একটা মুগার পাঞ্জাবী ? য়্যা : তাই ? ঠিক হয়েছে। কিরীটি। আমার রুম-মেট । উঃ, কি শয়তান! আজ কিলিয়ে ওর ঘাড়ের ভূত নামাব আমি। অশ্বিনীর মুষ্টিবদ্ধ হস্ত উখিত হইল । পশ্চাতে মস্তকটি ঈষৎ হেলাইয়া বৃদ্ধ কহিলেন— একটু সামূলে ভায় । তোমাদের ওই সুন্দ-উপস্থদের দ্বন্দ্বৈর মধ্যে আমায় যেন নিমিত্তের ভাগী ক’রো না । বুড়েখুড়ো মানুষ আমি । আর তা’ছাড়া সে বন্ধুই ত । একটুখানি মজাই না-হয় করলে। তোমারও ত লাভ বই লোকসান হচ্ছে না ; ললিতা লাভ হচ্ছে ত? —কি যে বলেন আপনি । এটা কি ভদ্রলোকের কাজ ? আর যদি ললু-ললিতা সেখানে থাকৃত ? নিতান্ত কাতর কণ্ঠে অশ্বিনী কথাটা শেষ করিল। বৃদ্ধ হাসিতে হাসিতে বলিলেন,—থাকলেই বা ? তৰ্জ্জনী উচাইয়া ললিতা-সুন্দরী তাহাকে কহিতেন, বেরোন । এক্ষুনি । সে ত, সনাক্ত করতে পারত ? বিয়ে ত তুমিই করেছিলে না কিরীটিকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলে সে সময় ! —দূর, তা কেন । —তবে ?--অতএব মেজাজ সরিফ, রাখে । সম্পর্ক ধরতে গেলে কিরীটির সঙ্গেও ত আমার তামাশার সুবাদ হচ্ছে। বাটপাড়ি একটু করাই যাক না ? একান্তই আমাদের গেয়ো বানিয়ে যাবে? পথ চলিতে চলিতে উভয়ের মধ্যে কত কি যুক্তি হইয়া গেল। অশ্বিনী দাদামহাশয়ের গৃহে না উঠিয়া দ্বিতীয় একটা গৃহে আস্তান লইল । পরবর্তী ট্রেনে অগ্রজ প্রতুলের সহিত ললিতা আসিয়া অশ্বিনীর রশ্মি টানিয়া ধরিল। কিরীটির স্ফুপ্তি দেখে কে ? এই গেয়ে ভূতকয়টির চোখেই যদি ধুলি নিক্ষেপ করিতে নপারিল ত বৃথাই সে এত দিন ডিটেকটিভ নভেলুগুলি চৰ্ব্বণ করিয়াছে, গল্প লিথিয়া মাসিকের পৃষ্ঠা পূর্ণ করিয়াছে।...কিন্তু অশ্বিনীর শালীটালী কেহই তেমন ঘোষিতেছে না। পল্লীগ্রামের লাজুক মেয়ে আর কাহাকে বলে? জামাইবাবুদের উপর শু্যালিকা-সম্প্রদায়ের যে অথও প্রতাপ তাহা কি ইহাদের জানা নাই ? আমার কাছে আসিলে কি কুম্ভকর্ণের মত উদরসাং করিয়া ফেলিব ? কাল বৈকালে সেই যে একবার আসিয়াছিল, টুলি না কি তাহার নাম ? ভাল নাম এই যেমন রেবা কি তপতী নিশ্চয়ই একটা আছে। বেশ মেয়েটি ! সবচেয়ে বেশ তাহার চক্ষু দুইটি, আর ঠোট দুইখানি ! সেই যে, “তন্ত্ৰী শ্রাম শিখরদশনা পঙ্ক বিম্বfধরোষ্ঠী” । কালিদাস বঁাচিয়া থাকিলে তাহাকে আমার বিবাহের ঘটক নিযুক্ত করিতাম !--দোতলায় ড্রেসিং টেবুলের সম্মুখে কিরীটি ক্ষৌরকার্য . করিতেছিল। আয়নাতে একখানি ফুল্ল আননের প্রতিবিম্ব পড়িতেই সে কুচ্ করিয়া তাহার গণ্ডের একাংশ কাটিয়া ফেলিল । গ্রাহ না করিয়া ফিরিয়া চাহিল, টুলি-শিখরদর্শন ! চোখ নামাইয়া কহিল,—কি খবর? কাল থেকে আর দেখাই নেই যে ? বেচারা মরল্‌ কি বাচল একটু খোজও নিতে নেই ? —দাদামণি আপনাকে একবার ডাক্‌চেল নীচেয়, আসুন শীগগির।