পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

čათ খাইবার-গিরিসঙ্কট হবে না যে, পেশোয়ারের আর্থিক সমৃদ্ধি অনেকটা নির্ভর করে মধ্য-এশিয়ীর সহিত এই বহির্বাণিজ্যের ওপর । পারস্ত, আফগানিস্থান প্রভৃতি থেকে কাপেট, মেওয়া, ফল, প্রভৃতি আমদানি হয় ও পেশোয়ার থেকে তা সমগ্র ভারতে প্রেরিত হয় । এই বৈদেশিক বণিকেরা আবার পেশোয়ার পেকে ভারতের দ্রবাসস্থার আহরণ ক’রে নিয়ে যায় । ঘt:ত এই বাণিজ্য পুরস্ত সীমান্তবাসিগণ কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত বা লুষ্ঠিত না-হয় সেজন্য সরকারী ফৌজ ও খাসদারদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হয় । নিবিড় গিরিশ্ৰেণী দু-ধারে উন্নতশির আকাশ পানে চেয়ে আছে—পথ যেন সংকীর্ণ ও ভয়াবহ মনে হয়। অদূরে রেলের লাইন সাহগাই-এর পর সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে চলেছে । পাশে গভীর খাদ, তার তলীয় শীর্ণ খাইবার-নদী দেখা যায় । মাথার ওপর ফৌজশিবির স্থানে স্থানে পথ রক্ষার জুস্ত অবস্থিত। একটু পরেই ইতিহাস-প্রসিদ্ধ অলিমসজিদ-দুর্গ ও গিরিসঙ্কট । এইখানে রেলপপ অনেকগুলি হুড়ঙ্গ ভেদ ক’বে খাড়াই হয়ে লাণ্ডিকোটাল অভিমুখে গিয়েছে পথের সৌন্দর্য অতি মনোরম। প্রকৃতির এক ধ্যানfস্তমিত বিরাট রূপের সন্ধান মেলে এথানে, তা যেমন মুনার, তেমনই ভীতিজনক । পাহাড়ের গায়ে গাছের নামমাত্র নেই—শুধু নগ্ন পাষাণশিলা ও কোথাও বা মাত্র কণ্টকগুল্ম দেখা যায়, তা সৰেও সমস্ত দৃতে এমন 球盔 ఏరి8S একটা অব্যক্ত গাম্ভীৰ্য্য আছে যা সহজেই মনকে অভিভূত করে । হঠাৎ চোখে পড়ে দুরে সুরক্ষিত দুর্গসদৃশ আফ্রিদিদের গ্রামসমুহ । প্রত্যেক গ্রাম উচ্চ প্রাচীরে ঘেরা, ও তার মাঝে একটি ক’রে উচু বুরুজ দেখা যায়। অপর গ্রামবাসীদের সহিত যখন বিবাদ বাধে, তখন সেই বুরুজ থেকে গমস্থ লোকে প{ল ক’রে পাহার দেয় । আলিমসজিদ পার হওয়ার পরেই খাইবার-গিরিসঙ্গট চোখের সুমুখে ভেসে উঠে। দু-পাশে উচ্চ গিরিশৃঙ্গ দেন পরস্পরে কোলাকুলি করবার জন্ত অগ্রসর—মঝে দিয়ে সাপের মত সরু লিকলিকে পথ পাহাড়ের তলা বে:য় দৃষ্টির অন্তরালে অস্তহিত হয়েছে । সেইটিষ্ট প{হবার-গিরিসঙ্গটের অন্তস্তল । স্থানটিতে আলো-আঁধারের যেন লুকোচুরি খেলা চলে । শৈলশৃঙ্গে এখান একটি তুর্গ রয়েছে । এই দুর্গ থেকে শুধু গিরিপথই রক্ষিত হয় না, দূরে তীর, মোহমান, প্রভৃতি প্র.দশেও নজর রাখা হয় । পথ এর পর থাইবার-গিরির উচ্চতম প্রান্তে এসে পৌছায়, ধেধানে লাণ্ডিকোটাল-দুর্গ ও সেনানিবাস অবস্থিত । লাণ্ডিকোটল সমুদ্র থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচু । এখানকার দুর্গ ও শিবির সমস্ত থ{হবার প্রদেশ ও ভারতের প্র.বশদ্বারকে রক্ষণ করছে । লাণ্ডিকেটাল-দুর্গ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নিৰ্ম্মিত— এর সুরক্ষিত প্রাচীরগুলি দেখবার মত জিনিব । দুর্গের বহির্ভাগে বড় বড় গুদাম ও বাজার । গুদমগুলিতে শুনলাম সব সময়ে তিন মাসের উপযুক্ত খাদ্য ও অন্তান্ত মাল মজুত থাকে। যুদ্ধ বা বিদ্রোহ বধিলে, বা কোন কারণে খাইবার অবরুদ্ধ হ’লে ফৌজের বহুদিন থদ্যাভাব হয় না । লাণ্ডিকোটালে দলের অনেকেই স্থানীয় পোষ্ট-অফিসে থম পোষ্টকর্ড কিনে আত্মীয়-বন্ধুবৰ্গকে চিঠি লিখলেন এখানে আসাটা স্মরণ রাখবার জন্ত । বাসের চার ধারে পাঠানরা ঘিরে দাঁড়াল, তাদের চক্ষে আমরা যেন এক হচ্ছে