পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 دسمb মীরার অৰ্দ্ধেক কথা মুখ দিয়া বাহির হইতেছে, অৰ্দ্ধেক মুখের ভিতরেই থাকিয়া যাইতেছে। জড়াইয়া জড়াইয়া যাহা বলিতেছে, কঁপুনির চোটে তাহাও স্পষ্ট হইতেছে না । বনমালী বাবু বুঝিলেন, মীরা যাই হোক একটা-কিছু দেখিয়া ভয় পাইয়াছে। লণ্ঠন হাতে করিয়া বাহির হইয়। তিনি জানালার ধার, ঘরের আনাচ-কানাচ ঘুরিয়া দেখিয়া আসিলেন, কোথাও কিছু নাই । বলিলেন—দুঃ, মানুষ না হাতী । চল, আমার সঙ্গে, নিজেই দেখ বি t কিন্তু মীরা কিছুতেই বাহিরে যাইতে রাঙ্গী হইল নী । \SSకS মাধুরী বলিল—স্বপন-টপন দেখেছে নাকি তার ঠিক কি ! বনমালী বাবু বলিলেন—তা ত নয়, আমার বিশ্বাস ওই যে আমগাছের পাতাযুদ্ধ ডালটা জানালার সামূনে এসে পড়েছে, ঘুমের চোখে ওই দেখেই হয়ত মানুষ ভেবে চেচিয়ে উঠেছে ! भैौद्रा उथात्रि कांt*द्र मङन् भख् श्ञा ऍफ़ाहेश রহিল । বনমালী বাবু হাদিয়া বলিলেন--দিদির আমার কি সাহস ! যা যা গুয়ে পড় গে যা ••• পিতা ঘর হইতে চলিয়া গেলে কি ভাবিয়া ম'ধুরী দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া দুই ফোটা চোখের জল মুছিল কস্তাকে জিজ্ঞাসা করিল—কার মত দেখতে রে সে ?

  • ===

প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলন অধ্যাপক শ্রীললিতমোহন কর, কাব্যতীর্থ এম্-এ,বি-এল প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের স্বাদশ অধিবেশন বঙ্গ-সাহিত্যের কেন্দ্রস্থানে সুসম্পন্ন হইয় গেল। নিকট ও দূর হইতে দুই শতাধিক প্রবাসী মাতৃভূমিতে আসিয়া মাতৃভাষার সেবার সুযোগ পাইলা পরম পরিতৃপ্তি লাভ করিয়াছেন। র্যাহাঁদের প্রচেষ্টায় ও পরিশ্রমে এইরূপ বিরাট ব্যাপার সম্ভবপর হইয়াছিল, তাহীদের সময়, সামর্থ্য ও অর্থব্যয়—উচ্চ মন্দিরের অলক্ষিত ভিত্তির মত—সাধারণের অজ্ঞাত হইলেও, প্রণিধান ও সাধুবাদের যোগ্য । ইহার পূর্ব অধিবেশনে, গোরক্ষপুরে, যখন এই মহাসম্মেলনের অন্ততম প্রতিষ্ঠাতা স্বৰ্গীয় মহাকবি অতুলপ্রসাদ তাহার শেষ সাহিত্যিক অতুল প্রসাদ বিতরণ করতে আসিয়া বলিতেছিলেন, “প্রবাসী । চল রে দেশে চল,” তখন ডাঃ "সুরেশচন্দ্র রায় ও শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-গঞ্জেলনকে দেশে লইয়া যাইবার কল্পনা করিতেছিলেন। এই কল্পনা সত্যে পরিণতও হইল ; কিন্তু হায় । সেই মহাপ্রবাসী তখন তাহার আকাঙ্কিত দেশ হইতে বহুদূরে। প্রথমে প্রবাসিগণের মধ্যে একটা আশঙ্কা উঠিয়’ছিলপ্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলন বঙ্গে গিয়া নিজের নিজ হারাইয়া না ফেলেন। হয়ত একাদশ বর্ষের বালক মাতৃ ক্রোড় হইতে ফিরিয়া আসিতে চাহিবে না ; কিংবা হয় সম্মেলনের নাম ও রূপ বদলাইয়া যাইবে । কিন্তু এর কিছুই ঘটে নাই। বরং, সম্মেলনের মুল সভাপতি, শাং সভাপতি প্রবাস হইতই নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন । প্রবাস সভাপতির অভাবে সাংবাদিকী শাখার অধিবেশন হয় নাই প্রবন্ধ-পাঠকগণও সকলেই প্রবাসী ছিলেন । সম্মেলনের এবার মহাসৌভাগ্য যে, যেসকল মনীষীে ব্যষ্টিরূপে সভাপতি-পদে পাইলেই ধন্ত মনে করিতেন, তাহা সমষ্টিরূপে ইহার মুলের ও শাখার উদ্বোধনকর্তা রূপে কা করিয়াছেন । ব্রহ্মর্ষিকল্প কবিকে ও বিজ্ঞানতাপস আচা যমুকে সভায় লাভ করিয়া সাহিত্য ও বিজ্ঞাম শাখা ক্ষু ফলে পূর্ণ হইয়াছে। সাহিত্য-পরিষদ-গৃহে কৰ্ম্মৰে জাচা রায় মূলের উদ্বোধন করিয়াছেন । প্রবালে ধৈর্থt.