পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tyు আমার হবে ? অামার রোগ ছেলে । তোমার বাবা রাজী হবেন কেন ?” লতার মুখখান একটু লাল হইয়া উঠিল, বলিল, “ত তিনি রাজী হবেন ।” এমন সময় উমা ছুটিয়া আসিয়া লতাকে টানিয়া লইয়৷ গেল । ১৫থপ্রবাসীস্ট এক দিনেই এক জোড় বিবাহ হইয়া গেল । বাসর ঘ:ে লতার কানের কাছে মুখ লইয়৷ উমা ফিস্ফিস করিয়া বলিন “আচ্ছা ধিঙ্গী তুই, নিজেই নিজের বিয়ের সম্বন্ধ করলি।” লতাও তেমনিভাবে বলিল—“তা তোমার বরটি :ে পৌরাণিক রাজনন্দিনীর মত “হী হতোস্মি” বলে গড়িা গেলেন, কাজেই আমাকেই নায়করূপে অবতীর্ণ হতে হ’ল।” স্যর রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় শ্ৰীসত্যপ্রিয় বসু আজকাল বেকার-সমস্তার দিনে যুবকের ক্রমেই হতাশ হইয়া পড়িতেছেন । আমি এক কৃতী পুরুষের জীবনীর প্রতি যুবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি । তিনি অতি সামান্ত অবস্থা হইতে নিজ অধ্যবসায় ও কৰ্ম্মশক্তির বলে উন্নতি লাভ করিয়া বাঙালীর গৌরবস্থল হইয়াছেন। রাজেন্দ্রনাথ ১৮৫৪ সনে ভাবল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন । বাল্যকালেই তাহার পিতৃবিয়োগ হয়, তাহার মাতাই তাহার রক্ষণাবেক্ষণের ভার গ্রহণ করেন। তিনি খুব স্নেহশীল ও তেজস্বিনী রমণী ছিলেন । রাজেন্দ্রনাথ পরে যে-সব গুণাবলীর জন্য ঘশ ও কৃতিত্ব লাভ করেন, তাহ বাল্যকালে মাতার নিকট হইতে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । যখন রাজেন্দ্রনাথ এগার-বার বৎসরের বালক তখন তাহার মাতা নিজের স্বল্প পুজি ভাঙিয়া পুত্রকে উচ্চ শিক্ষার্থ স্থদুর আগ্রায় কোন আত্মীয়ের নিকট প্রেরণ করেন ; কিন্তু রাজেন্দ্রনাথ চলিয়া গেলে পুত্রের অভাব এত অতুভব করেন ষে, অনেক দিন পৰ্য্যন্ত তিনি পীড়িত থাকেন । তথাপি পুত্রের ভবিষ্যৎ উন্নতি ও উচ্চ শিক্ষার যাহাঁতে কোনও ব্যাঘাত না হয়, এজন্য নিজের সুখ-সুবিধার প্রতি কখনও দৃষ্টিপাত করেন নাই । - و.k রাজেন্দ্রনাথও অতিশয় মাতৃভক্ত ছিলেন । একবার ঘথন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতেছিলেন. তখন তাহার আত্মীয়স্বজনরা মাতার অমুস্থতার খবর দিয়া একটি তার পাঠান । তিনি এই সংবাদ পাইয়া অতি দুঃখিত মনে গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন এবং আসিম দেখেন, মাতার অসুস্থতার কথা সত্য নহে ; তাহার বিবাহ স্থির হইয়াছে। পাছে তিনি না আসেন, সেজন্য এই মিথ্য সংবাদ পাঠান হইয়াছিল ; কেন-ন, তাহার জানিতেন মাতার অস্বস্ততার সংবাদ শুনিলে তিনি স্থির থাকিতে পারিবেন না। তখনকার প্রচলিত রীতি অনুসারে অতি অল্পবয়সে র্তাহার বিবাহ হয় । প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার পর তিনি কলিকাতায় প্রেসিডেন্সী কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাসে ভর্তি হন । কি? এ-সময় এমন ভীষণ রোগে আক্রাস্ত হন যে, তাহার জীবন সংশয় হইয় পড়ে । পারিবারিক অবস্থাও এরকম .ে আর্থিক সাহায্যের নিতাস্ত প্রয়োজন হয় । সুতরাং কাজে চেষ্টায় তাহাকে বাহির হইতে হইল । শেষ পরীক্ষা দিতে পারেন নাই বলিয় তিনি চিরকাল দুঃখ অনুভব করিয়াছে এবং পরে ধথম তাহার অবস্থার উন্নতি হয় তখন ব: ছাত্রকে আর্থিক সাহায্য করিয়াছেন । বহু অর্থব্যে নিজগ্রামে একটি উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় ও একf বালিক-বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছেন এবং যাহাংে র্তাহার অবৰ্ত্তমানে অর্থাভাবে বিদ্যালয়ের কোন ক্ষতি ন হয় সেজন্তু ট্রাষ্টিদের হাতে বহু টাকার কোম্পানীর কাগঃ কিনিয়া দিয়াছেন । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত র্তাহার ঘনিষ্ঠ সম্বর বিদ্যমান । তিনি বহুকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকালটির সভ আছেন এবং শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উন্নতির জন্ম যথেষ্ট চেষ্টা করিয়াছেন । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাহাৰে সৰ্ব্বোচ্চ অনারারি ডি-এসসি উপাধি দ্বারা ভূষিত করিয়াছেন আর একটি শিক্ষ-প্রতিষ্ঠানের সহিত তিনি ঘনিষ্ঠ ভাবে সংশ্লিষ্ট আছেন। সেটি বঙ্গীয় অনুন্নত জাতিসমূহের উন্নতি fsfoRt riffs (Society for the Improvement o the Backward Classes ) l orgiotă no offo প্রতিলোকের দৃষ্টি পড়িয়াছে, কিন্তু র্যাহারা খবর রাখেন তাহার জানেন যে, এই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় পচিশ বৎসর কয়েকটি নীর কৰ্ম্মীর সাহায্যে নিম্নশ্রেণীর মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য যথেঃ চেষ্টা করিতেছেন। স্তর রাজেন্দ্রনাথ শুধু অর্থসাহায্য করিয়া ক্ষাস্ত হন নাই, ইহার সভাপতিরূপে ইহাকে দৃঢ়ভিত্তি উপর স্থাপন করিতে পরিশ্রম করিয়াছেন । ইহার সাফল্যের মূলে ইহার বহু যত্ব নিহিত আছে । এই সমিতির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪৫০টি বিদ্যালয়ে অনূ্যন ১৭৭,০০ বালকবালিকা শিক্ষ পায় । রাজেন্দ্রনাথের সাফল্যের কারণ নির্দেশ করিতে গেলে