পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ আচাৰ্য্য লন্দলাল বস্থ ও ভঁাহার চিত্রকলা >*。 অ ণ্টার এই অভিযান নুতন পদ্ধতিকে একটা অনির্দিষ্ট পথ দিয়াছে । অবনীন্দ্রনাথের শিষ্যমণ্ডলী শিল্পীদের একটা উপনিবেশ স্থাপন করার জল্পনা-কল্পনা করিতেছিলেন। বাড়িও একটা দেখা হইয়াছল। এমন সময় রবীন্দ্রনাথের ডাক পড়িল । ১৯১৬ সনে কবি জোড়াসাকোর নিজ বাড়িতে ‘বিচিত্র।” স্থাপন করেন । শিল্প কারুকৰ্ম্ম প্রভৃতির সৌকর্য্যার্থ এই “বিচিত্র।” মণ্ডলীর উদ্বোধন । নন্দলাল, অসিতকুমার হালদার, মুকুল দে ও স্বরেন্দ্রনাথ কর বিচিত্রার শিল্পী নিযুক্ত হইলেন। সকলের যাট টাকা করিম্বা মাসিক বৃত্তি নির্দিষ্ট হইয়াছিল। মুকুল দে তখন আমেরিকা জাপান ঘুরিয়া আসিয়াছেন। জাপানের খ্যাতনাম শিল্পী আরাই সান এ-সময়ে কলিকাতায় আসেন । তিনি বিচিত্রার অতিথি ছিলেন । বিচিত্রা উঠিয়া যাইবার পর নন্দলাল ঐযুক্ত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের পত্নী প্রতিমা দেবীর শিক্ষকতার কার্ষ্যে নিযুক্ত ছিলেন । এর পরে তিনি নিজের দেশে হাওড়া জেলায় রাজগঞ্জ গ্রামে অবস্থান করেন। এ-সময়ে অঁাকেন অাচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্রের বাড়ির জন্য মহাভারতের চিত্র ও র্তার ল্যাবরেটরীর চিত্র। দেশেঅবস্থানকালে তাহার পিন্ডুবিয়োগ হয়। বিশ্বভারতী স্থাপিত হইলে নন্দলাল কলাভবনের অধ্যক্ষ হইয়া আসেন— শান্তিনিকেতনের গল্পকথক পুৰ্ব্বে কিছুদিন কলিকাতায় ওরিয়েন্টাল জার্ট সোসাইটির অধ্যক্ষ ছিলেন । শাস্তিনিকেতনে অবস্থানকালে নন্দলালের জীবনের এবং কৰ্ম্মধারার এক নূতন অধ্যামের স্বচনা হয় । শিল্পীজীবনের সঙ্গে যুক্ত হইয়াছে তাহার মানবতা ও আদর্শবাদ । তার ত্যাগ ও জীবনের সাধনাকে অবলম্বন করিয়া শিল্পের কেন্দ্র গড়িয়া উঠিয়াছে । অর্থালসা তাহাকে সাধনা হইতে বিচ্যুত করিতে পারে