পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

— সোভিয়েট রাশিয়ায় নারীর স্থান ঐশশধর সিংহ, পিএইচ-ডি (লগুন) ধাহারা নৃতত্ব আলোচনা করিয়াছেন, তাহদের নিকট ইহা অধিষ্ঠিত নাই যে, মানবসমাজে নারীর হীন অবস্থা চিরকালের নহে। বস্তুতঃ মানবসভ্যতার আদিতে সমাজে স্বীগুলবর স্থান ও অধিকার সমতুল্য ছিল। ক্রমে মানক সভ্যতার গ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নারীর স্থান হীন হইতে रौनडब श्रेय चानिशtरु । नशाखविजारमञ कई उथत्रि পিছনে যে ইতিহাস বর্তমান, তাই আলোচনা করিলে স্পষ্টই বুকা বাইবে, কেন নারী-স্বাধীনতার আন্দোলন এযাবৎ বিকলতাম্ব মান হইয়াছে । প্রশ্ন ওঠে, তখাটি কি ? যানবসভ্যতার আদিতে নারীর স্থান পুরুষের সমতুল্য ছিল, কারণ সমাজরক্ষাম নারীর সাহচৰ্য্য অনিবাৰ্ধ ছিল। কেবল ঘরকন্নায় নহে, পরিবার ও সমাজের অল্পসংস্থানও নারীর নাহায্য ব্যতীত সম্ভব হইত না। অনেক স্থলেই কৃষিকার্য নারীর প্রধান বৃত্তি ছিল। এই হেতু পুরুষ নারীকে সন্মান করিয়াছে ও সামাজিক অধিকারে নারীর সমতা অস্বীকার করিতে পারে নাই। কালে শান্তিপ্রিয়, স্থিতিশীল কৃষিসভ্যতা অসম্ভ যাযাবর জাতিসমূহের দ্বারা অভিভূত হইল। এই দুইয়ের সংঘাত হইতে সমাজে উচ্চ-নীচ ও নারী-পুরুষের ভেদ স্বষ্টি হইল। আর্থিক বৈষম্য সামাজিক ও পারিবারিক বৈষম্যের কারণ হইয়া ধাড়াইল । এক্ষণে বুক সহজ হইবে, কি হেতু এতকাল নায়স্বাধীনতা, স্ত্রী-পুরুষের সাম্য প্রভৃতি আদর্শ মুখের কথাতেই পর্যবসিত। ইহা সত্য যে, পাশ্চাত্য মহাদেশ বহু কাল হইতে নারীশিক্ষা প্রভৃত্তি বিষয়ে নানা হযোগ উপভোগ করিয়া আসিয়াছে, কিন্তু ইহা হইতে পাশ্চাত্যে স্ত্রীজাত্তি স্বাধীন বা সমাজে স্ত্রী-পুরুষের সমানাধিকার বিদ্যমান, এ-কথা মনে করা নিতাও ভুল হইবে। প্রথমত, গত মহাযুদ্ধের প্রাঙ্কালে উচ্চশিক্ষা অতি অল্পসংখ্যক অপেক্ষাকৃত ধনীকঙ্কাদের ভাগেই ঘটিত। দ্বিতীয়তঃ, নোংপানক্ষেত্রে যা সমাজের জন্তান্ত অধিকারে পাশ্চাত্য রমণীর সমানাধিকার এখনও স্বীকৃত হয় নাই । ইহা কাহারও অজানা নাই যে, বুদ্ধfবসানে পাশ্চাত্যদুহিত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর অধিকার পাইয়াছে। বর্তমান আলোচনার দিক eে दॆशव्र शृंउिश्ानि बंीव জ্ঞানপ্রদ। যুদ্ধকালে যখন পুরুষ শত্রুiনপাতে ব্যস্ত, তখন সে ধনোৎপাদনে নারীর সাহচর্য ন চাহিয়া থাকিতে পারে নাই। পাশ্চাত্যে নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উৎস छ्ट्रेल এইখানে । যুদ্ধ শেষ হইয়াছে, কিন্তু নারীর নবলব্ধ আর্থিক স্বাধীনতার জের এখনও বিদ্যমান। পাশ্চাত্যে অনেক নারী আজ নিজের ভরণপোষণের জন্য পুরুত্বে মুখাপেক্ষী নহেন । বহু যুগের আন্দোলন যাহা দান করিতে সমর্থ হয় নাই, কয়েক বৎসরব্যাপী যুদ্ধ নারীকে তার নাম করিয়াছে। বতা লেখা গেল যে, পাশ্চাতো স্ত্রীজাতির করুন রাজনৈতিক বা অষ্টান্ত অধিকারস্বীকার মুখ্যতঃ পুরুষের আদর্শবাদ হেতু নহে, অবস্থার পরিবর্তনকে মনি লণ্ডয়া মাত্র। সোভিয়েটপন্থীদের নিকট নারীর স্বাধীনতা-সংগ্রাম শ্ৰেণীসংঘর্ষের একপর্যাম্বভূক্ত। পূর্বেই দেখা গিয়াছে যে, স্বতত্বের দিক দিয়াও এই মতের সাধকত আছে । নারী ও শ্রমিকের স্বাধীনতাঞ্ছাসের কারণ এক ; স্বতরাং সমাজে পূর্ণতর সত্তা লাভ করিতে হুইলে তাহদের একই সংগ্রামে নিয়োজিত হইতে হইবে। এই মতের অীর একটি বিশেষত্ব এই যে, ইহা স্ত্রী-পুরুষকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করিবার চেষ্টা করে নাই। নর-নারীর সংগ্রাম মুলতঃ এক ; পাশ্চাত্যের— বিশেষতঃ ইংলণ্ডের, ो”क्रबद्ध पञ्चद्र अवाख्दछ। ইহাদের মতবাদে কোন স্থান পায় নাই । জারের আমলে রাশিয়ায় স্ত্রীজাতির অবস্থ৷ অভ্যস্ত ইন ছিল। তাদের প্রতি সমাজের নাম অন্ধ্যায়-অবিচারের অবধি ছিল না। রমণীকে অবজ্ঞার চক্ষে দেখ, তাহার প্রতি পাশবিক আচরণ করা কণী জনসাধারণের নিকট স্বভাৰসিদ্ধ বলিয়া পরিগণিত হইত। স্ত্রীকে প্রহার না করিলে স্ত্রীর প্রত্তি তালবাসা দেখান হয় না—ইহা একটি ক্লীয় প্রবাদ । সমাজের চিরন্তন প্রথার বিরুদ্ধে সংস্কারের পথে SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS