পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ মঘে বৃক্ষকে ঢাকিয় রাখিল । সাত দিন পরে বৃষ্টি থামিলে বৃক্ষের জ্যোতি প্রকাশ পাইল । সিংহলের বৌদ্ধদের মতে আটটি প্রধান তীর্থ আছে, তাহার মধ্যে এই বোধিবৃক্ষ অন্যতম । সিংহলী ভাষায় এই আট তীর্থকে বলে “অটম স্তান” । নৃপতি তিস্স-এর অন্যান্য কীৰ্ত্তি—মহাবিহার, থুপারাম দাগোবা, মহিয়ঙ্গন দাগোবা, ইস্বরু মুনিয়া বিহার, বেসস গিরি নাগাবা, তিস্স বেওয়া (সরোবর ) ইত্যাদি । তিস্স ৩০৭ খৃঃ পূঃ হইতে ২৬৭ পৃ: পূ: পৰ্য্যস্ত ৪০ বৎসর রাজত্ব করেন। তাহার দীক্ষার উনিশ বছর পরে অর্থাৎ ২৮৮ পূঃ খৃঃ-তে সংঘমিত্রা বোধিবৃক্ষ লইয়া সিংহলে অবতরণ করেন। তিসস-এর মৃত্যুর আট বৎসর পর পর্য্যস্ত মহেন্দ্র চিয়াছিলেন অর্থাৎ ২৫৯ খৃ: পূ:তে দেহত্যাগ করেন। ৭ ঘমিত্র আরও এক বৎসর বেশী বাচিয়াছিলেন, অর্থাৎ ২৫৮ খৃঃ পূঃ-তে সংঘমিত্রা দেহত্যাগ করেন । অন্তরাধাপুরে ধূপারাম দাগে-বার নিকটে একটি ছোট স্তুপ আছে তাহ। ভুবনেশ্বর මෙව(? দেবানামপিয় তিসস-এর মূৰ্ত্তি—মিহিনতাল “সংঘমিত্র সোহন” নামে খ্যাত। সকলের বিশ্বাস যে, সংঘমিত্রার দেহাবশেষ এই স্তপের নীচে আছে । ভুবনেশ্বর শ্ৰীনিৰ্ম্মলকুমার বসু ভারতবর্ষের মধ্যে স্থাপত্যের জন্য যে-সকল স্থান প্রসিদ্ধ ইবনেশ্বর তাহার মধ্যে অন্যতম । পুরীর পথে পড়ে বলিয়। এখানে যত যাত্রীর পদধূলি পড়ে, খাজুরাহ, ওসিয়া প্রভৃতি ষ্ঠানে তত পড়ে না। অথচ দুঃখের বিষয়, এত ঘনিষ্ঠত ত্ত্বেও ভুবনেশ্বরের প্রাচীন ইতিহাসের সম্বন্ধে আমরা অতি মল্পই জ্ঞানি। ভুবনেশ্ববের প্রাচীন কীৰ্ত্তিরাজি প্রায় চার-পাচ ক্রোশ |্যাপিয়া রহিয়াছে । লিঙ্গরাজ মন্দিরকে যদি কেন্দ্র ধরা যায় গহা হইলে তাহার অগ্নিকোণে চার-পাচ মাইল দূরে ধউলি lাহাড়ে মহারাজ অশোকের শিলালিপি অবস্থিত, অপর শ্বে প্রায় অনুরূপ দূরে খারবেল নরপতির শিলালিপিবিশিষ্ট গুগিরি ও উদয়গিরি পর্বত বিদ্যমান। এই দুই স্থানেই খৃষ্টপুৰ্ব্ব তৃতীয় অথবা দ্বিতীয় শতকের নিদর্শন রহিয়াছে। অথচ উভয়ের মধ্যস্থলে ভূবনেশ্বর গ্রামে এখন পৰ্য্যস্ত অত পুরাতন কিছু বিশেষ পাওয়া যায় নাই । যাহা আছে, এবং যাহার সন তারিখ ঠিকমত বলা যায়, তাহাও নবম খৃষ্টাব্দের চেয়ে প্রাচীন নয় । অথচ এখানে যে ধউলি ও খ গিরির সমসাময়িক কিছুই ছিল না, একথা জোর করিয়া বলা চলে না । অস্তত: কিছু ছিল কি-না তাঁহা আমাদের আরও ভাল করিয়া এবং নিয়মিতভাবে অমুসন্ধান করা দরকার । মন্দিরের স্থাপত্যরীতির বিষয়ে আলোচনা কবিতে করিতে কয়েক বৎসর পূর্বে একটি মন্দিরের গঠন আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শিল্পশাস্ত্রে যাহাকে রেখ-দেউল এবং যাহাকে ভদ্র-দেউল বলে বর্তমান মন্দিরটি তাহার কোনটির