পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ S38షా মধ্যেই পড়ে না। ইহা ভাল করিয়া পরীক্ষা করিলে মনে হয় যে মন্দিরের মধ্য যে অতিকায় শিবলিঙ্গটি আছে, তাহাকে আচ্ছাদন ধরিবার জন্যই যেন কোনও রকমে, শিল্পশাস্বের রীতি লক্ষপন করিয়া ইহা গঠিত হইয়াঢ়িল । মন্দিরটি চিন্থাগুত নারী ভাস্করেশ্বর মামে খ্যাত । ইহা কে কবে রচনা করিয়াছিলেন তাহা কিছুই জানা যায় না । তাহা সত্ত্বেও নানা কারণে ইহা ঐতিহাসিকের নিকট ভুবনেশ্বরের অপর অনেক মন্দির অপেক্ষ সমধিক মূল্য লাভ করিয়াছে। ভাস্করেশ্বরের মন্দিরের মধ্যে যে লিঙ্গটি পূজিত হইতেছে তাহা প্রায় নয় ফুট উচ্চ এবং গৌরীপটের উপরে তাহার ব্যাস প্রায় চার ফুট। লিঙ্গের উপরের অংশ ভাঙা বলিয়। মনে হয় । আশ্চর্য্যের বিষয়, লিঙ্গটি ধে-পাথরে তৈয়ারী, গৌরীপট সেপাথরের নম্ন । দ্বিতীয়তঃ গৌরীপট্রের আয়তনের সঙ্গেও লিঙ্গের আয়তনের কোনও সামঞ্জস্ত নাই । বহুদিন পূৰ্ব্বে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র আকুমান করিয়াছিলেন যে, ইহা অশোকের স্থাপিত কোন ও স্তম্ভ ছিল এবং পরে কোনও সময়ে স্তম্ভটিকে শিবলিঙ্গে পরিণত করিয়া উপরে আচ্ছাদন স্বরূপ একটি মন্দির রচনা করা হয় । ভুবনেশ্বর ষ্টেশন হক্টডে যে পথটি লিঙ্গরাজ মন্দিরের দিকে গিয়াছে তাহার উপর যাত্রীর প্রথমে যে মন্দিরটি দেখিতে পান, তাহার নাম রামেশ্বরের মন্দির। রথযাত্রার সময়ে ভুবনেশ্বর-মহাদেবের রথ এই মন্দির পর্যাস্ত আনা হয় । এই রামেশ্বর মন্দিরের পশ্চিমে অশোকা কুণ্ড নামে একটি কুণ্ড আছে । কুণ্ডের উত্তর ভটে সারনাথের অশোকস্তম্ভের শীর্যের মল, কিন্তু তাহা অপেক্ষা আয়তনে অনেক বড়, একটি স্তম্ভশীৰ্য আছে । ইহার উপরে হয়ত কোনও জীবমূৰ্ত্তি বা অন্তবিধ মূৰ্ত্তি ছিল। দুঃখের বিষয়, তাহা হারাইয়া গিয়াছে। শুধু ইহার গায়ে সামান্য লতাপাত৷ কারুকার্য্য বর আছে, উপরে মূৰ্ত্তি বসাইবার জন্য সমতল আসন আছে এবং নীচে স্তষ্ঠের উপরে খাপ খাইয়া বসিবার মত একটি অৰ্দ্ধ বৰ্ত্ত লাকার গাজ কাটা আছে। ভাঙ্গ স্তম্ভশীৰ্ঘটি ৪ ৫” উচ্চ এবং তাহার ঘের ১৯ ফুট, অর্থাৎ তাহার ব্যাস ৫ ফটের ও অধিক । ইহার নীচে যে মন্দির দ্বারে : চিীন অলঙ্কার খাজটি আছে তাহার কানার ব্যাস ৩ ৩৷” ইঞ্চ । ভাস্করেশ্বর লিঙ্গের সহিত ইহাকে তুলনা করিলে দেখা যায় যে, সে লিঙ্গটির যাহা মাপ এবং তাহার উপরের দিকে মারেণী ( batter )