পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ISH কোন বিদ্বেষ ঘটে নাই। প্রাচীন যুগে ধৰ্ম্ম ভিন্নতাই এদেশে কাব্য হয় নাই, স্থাপত্য হয় নাই, শিল্প-স্মৃষ্টি হয় নাই। আমাদের শিল্পে বিদেশীরা বস্তু ভস্ত্রের অভাব বোধ করেন । সভ্য বটে, বাস্তবের সঙ্গে আমাদের শিল্প মেলে না । কিন্তু সাধনার দিক্ দিয়া দেখিলে কোন গোলযোগ থাকে না । sIRcss# itsai concrete aạ *RI fữạl abstract-ng ; রূপের মধ্য দিয়া অরূপের । লিঙ্গপূজার মধ্যে আমরা ইহারই সাক্ষাৎ পাই ; মূর্তিপূজায় অবিকল নিছক মচুন্যমূৰ্ত্তি যে দেখি না তাহারও ব্যাপ্য। ইহাই । এখানে মূৰ্ত্তি দিবার প্রচেষ্ট হইয়াছে, তাহা concrete-এর হুবহু নকল হইতে পারে না । abstracto অতি প্রাচীন যুগেই আমর। পরিব্রাজকদের কথা শুনিতে পাই । চির-পথিক তাহারা ; দেশদেশান্তরে বিরামহীন যাত্রার ব্রত র্তাহারা গ্রহণ করিয়াছেন ; তাহদের সাধনার ফল তাহারা প্রচার করিয়া বেড়াইয়াছেন । দরিদ্রতম রুষকের কুটীরেও র্ত্যহাদের গতি- রাজ-অতিথিও তাহারা। তাই প্রাচীন যুগে গ্রামে গ্রামে এই পরিব্রাজকদের জন্য ফুটহেনশালার অস্তিত্ব। গ্রামবাসীরাও কুটাহনশালার গৰ্ব্বে গৌরব বোধ করিয়াছে । যেখানে ষ্টছাদের বিচার সভা বসিত সেখানে ইহার গ্রামবাসীদের উপদেশ দিতেন । রামায়ণমহাভারত ভারতবর্ষকে গড়িয়া তুলিতে কি সাহায্য করিয়াছে তাহা আজও নিরূপিত হয় নাই। প্রতি-ভারতবাসীর মৰ্ম্মে ইহার প্রাণসঞ্চার করিয়াছে । ভারতের অষ্টাদশ পুরাণকথা ভারতের মৰ্ম্ম-কথা হইয়াছে । অতি প্রাচীন যুগে আমরা যাত্র ও কথকতার পরিচমু পাই । এ-গুলি যে কত বড় শিক্ষার বাহন তাহ আজও ঠিক বোঝা হয় নাই । নিরক্ষর কৃষকের মুখে কত অজানা সাধক কবির যে-গান আজও গুনা যায় তাহ দর্শনের গভীরতম মূল তত্ত্বের ব্যাখ্যা । চৰ্য্যাচর্য্য, দেহতত্ত্ব, বাউল, ভাসান, মঙ্গলগান প্রভৃতি সঙ্গীত এ-যুগেও কত শত বৎসর ধরিয়া নিরক্ষরদের মধ্যে চলিয়া আসিতেছে । ভারতের বারব্ৰতও সেই প্রা7ীন সংস্কৃতি বহন করিয়া আসিয়াছে । শিক্ষা ও লেখাপড়া এক বস্তু নয় – এ-কথাটা ঘূদি একবার উপলব্ধি করিতে পারি তাহা হইলে বুঝিতে পারিব আমাদের নিরক্ষর গ্রামবাসীদের মত শিক্ষিত গ্রামবাসী পৃথিবীতে আর নাই । ఏనD8S ভারতবর্ষে আৰ্য্যদের কেমন করিয়া দেখা পাওয়া গেল সে-প্রশ্নের সম্পূর্ণ সন্তোষজনক মীমাংসা আজও হয় নাই । তবে আদিম যুগের কয়েকটি আর্য্য দেবতার সাক্ষাৎ পাওয়৷ যায় সুদূর বোঘাসকুই-শিলালিপিতে, তেল-এল-অমরনার পত্রাবলীতে এবং বাবিলনের কাসাইটদের দলীলপত্রে । কসাইটরা হিমালয়ের ( সিমলিয়ার ) উল্লেখ করিয়াছে । মিতানীদের সহিতও আর্য্যদের সম্পর্ক ভারতবর্ষে আর্যগমনের পূৰ্ব্বে হইয়াছিল, একথা এখন আর বলা চলে না। তেল-এল-অমরনার পত্রাবলীতে স' স্কুত নাম অক্ষুন্ন রহিয়াছে । বোঘাসকুই-লিপিতে সংস্কৃত সংখ্যা আছে, বৈদিক শব্দের সহিত ইহার শব্দের মিল আছে । ভারতবর্ষের সহিত এশিয়া-মাইনরের সাক্ষাৎ সম্পর্ক। এই দূরদেশে হিন্দু দেবতার। শান্তিদেবতারূপে দেখা দিয়াছেন। শাস্তির বণী লইয়াই ভারতবর্ষের প্রথম আন্তজাতিক পরিচয় । শান্তিই ভারতের সনাতন বাণী— শাস্তিই ভারতীয় সংস্কৃতির যথার্থ প্রতীক। সে-যুগের অপর সকল সভ্যতার অস্তিজাতিক পরিচয় গ্রহণ করিতে গিয়৷ দেখিতে পাই সে-পরিচয় তাহাদের লুণ্ঠনে । সে-লুণ্ঠন হয় ব্যবসাচ্ছলে, নয় প্রকাশ সৈন্স বলে । সে-দিন ৪ ইজিপ্ট তু ক্রীয় খুটুমোসিসের বিশ্বজয়ের জয়গীতি ছন্দুভিদ্বার। ঘোষণ, করিতেছিল, এথেনিয়নর ক্রীট দখল করিতেছিল এবং ফিনীসিয়র এক্ট প্রাচীন যুগে বাণিজ্যচ্ছলে পৃথিবী লুণ্ঠন করিয়া প্রথম আসিবিয়া স্মৃষ্টি করিয়াছিল। আসিরিয়ার অসুরের জাগিতেছিল । মোহেঞ্জোদাড়ো ও হরপ্পায় যে সভ্যতার পরিচয় পাওয়া গিয়াড়ে তাহাব সহিত হমেরীয় সভ্যতার একটা সহজ ঐক্য ও সামঞ্জস্য আছে। মার্শাল ( A.S.I. A.R. 1924-24 } বলিষ্কাছেন, সিন্ধু-উপত্যকায় যে-সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গিয়াছে তাহার উৎপত্তি, অতিবুদ্ধি ও পরিণতি ঐ-স্থানেই হইয়াছে । নীলনদীর তীরে ফরওয়াদের সভ্যতার মত উহা ঐস্তানের একাস্ত সম্পত্তি। আর মেসোপটেমিয়ায় স্বমেরীয় সভ্যতার যে পরিচয় পাওয়া যায় তাহা হইতে বেশ ধারণা করিতে পারা যায় যে, ভারতবর্ষের অঙ্কপ্রদেশষ্ট ঐ সভ্যতার আদি ভূমি, এবং বাবিলন, আসিরিয়া ও পশ্চিম-এশিয়ার সাধারণ সংস্কৃতি পরে সেখানে ছড়াইয়া পড়িয়া বদ্ধমূল হইয়াছে। ভারতীয় সংস্কৃতির ভ্রাবিড়ীয় অংশের