পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

յ:ՏիՅ*t ইতিহাস অ জ৪ লিখিত হয় নাই; কিন্তু ইহ যে নিতাপ্ত প্রয়োজনীয় ব্যাপার তাহা অস্বীকার করা যায় না। দ্রাবিড়ী রক্তের মত সেই সংস্কৃতি আৰ্য্যসংস্কৃতির সহিত বেমালুম মিশিয়া গিয়াছে। লিঙ্গপূজা, নাগপূজা, বৃক্ষপূজা, মাতৃকাপুজা প্রভৃতি দ্রাবিড়ীয় ভিন্ন অন্য ব্যাখ্যায় এই সংস্কৃতিতে স্থান পাইতে পারে না। যজ্ঞস্থলে প্রতিমাপূজার ব্যাখ্য। দ্রাবিড়ীয় বলিয়া সম্ভব হয় । বেলুচিস্তানের দ্রাবিড়ী ব্রাহুই ভাষা অনেক ব্যাপারেরই সূচনা করে । আবার দ্রাবিড়ীরও পূৰ্ব্বে নেগ্রিটো-সম্পর্কও প্রমাণিত হইতেছে । বৈদিক যুগ হইতেই ইরাণের সহিত ভারতের সম্বন্ধ । অশোকের সময় ভারতীয় সংস্কৃতিতে ইরাণ-সম্পর্কের অকাট্য নিদর্শন পাওয়া যায়। মৈত্রী-বাণী-প্রচারক এক্ট অশোক প্রথম প্রচার করিলেন —পৃথিবীবাসী সকলেই ভ্রাতা । ইহাপেক্ষ বুহত্তর আস্তর্জাতিক বাণী আর নাই । তিনি পৃথিবী-বিজয়ের আকাঙ্ক্ষা করিয়াছিলেন মাত্র এই বাণী পোছাইয়া দিবার জন্য । তাই সেই বিজয়ের তিনি নাম দিয়াছিলেন ‘ধৰ্ম্মবিজয়’ । তিনি চাহিয়াছিলেন বিশ্বের কল্যাণ । তিনি বলিয়াছিলেন– ধৰ্ম্মের দ্বারা মাতুষের অন্তঃকরণ জয়ই একমাত্র জয় । আর এই যুগেই রোম পৃথিবীর বৃহত্তম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় রোমক সভ্যতার পরিচয় দিতেছিল । খৃষ্টপূৰ্ব্ব শতকে প্রবল প্রতাপ মেনেন্দরকে একাগ্র ও ঐকাস্তিক বৌদ্ধরূপে দেখি, বৈষ্ণব ভাগবতরূপে হেলিওডোরসের পরিচয় পাই । চীনে বৌদ্ধ-প্রচারক মেলে, আর তথাকথিত গান্ধার শিল্পে গ্ৰীক সংস্কৃতির নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায়। আবার এই যুগের ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায়—ভারতবর্ষ সকলকে গ্রহণ করিয়াছে ; কত ‘ෂL---කු ভারতীয় সংস্কৃতির cগাড়ার কথা &$Nరి অজানাকে স্থান দিমুছে । এমন সময় গিয়াছে যখন ভারতে পর-সংস্কৃতির একটা রাসায়নিক সংমিশ্রণ চলিয়াছিল । ইজিপ্ট, এশিয়া-মাইনর, পারস্ত সকলের সহিতই ভারতের কোলাকুলি। তারপর পরের যুগে দলে দলে অসভ্য বর্বর আসিয়া ভারতের ছয়ারে হানা দিয়াছে । তাহাদের ফিরিয়! যাইতে হয় নাই। ভারতবর্ষ শক, হুন, মোঙ্গল, পহলব, চীন সকলকেই গ্রহণ করিল। ভারতের অপূৰ্ব্ব সবল সংস্কৃতিকে ইহারা নষ্ট করিতে পারে নাই, ভারতের আশ্চৰ্য্য প্রভাবে তাহারা গৰ্ব্বিত হিন্দু হইয়া গেল। ভারতবর্ষের গৌরবময় ইতিহাসের এক বিশিষ্ট অংশ ইহাদেরই কীৰ্ত্তি—রাজপুতরূপে । দ্রাবিড় অন্ধ সম্রাট গোতমীপুত্র শাক্তকণি নিজেকে এক-ব্রাহ্মণ বলিয়া গৰ্ব্ব করিলেন, চতুৰ্বর্ণের সংমিশ্রণ বন্ধ করিয়াছেন বলিয়। শিলালিপিতে অঙ্কিত করিলেন , শক উসভাত, রুদ্রদামা হিন্দুধর্মের প্রতিপালক হইলেন । সংস্কৃতির এমন বিরাট রাসায়নিক সংমিশ্রণ পৃথিবীর ইতিহাসে বড় ঘটে নাই । ভারতের উদারনীতিত্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের সম্বন্ধ সকল দেশেরই হইয়াছে । আর ইহার পরেই ভারতবর্ষের মধ্যযুগের ঐতিহাসিক উপকরণ জুটতে আরম্ভ হইল। বৃহত্তর ভারতের সুচনা দেখা গেল । চীনে তো বহু পূৰ্ব্বেই বৌদ্ধ ভিক্ষু গিয়াছিল। এখন তাহদের সংখ্যা বেজায় বাড়িয়া উঠিল। ভারতীয় নাবিকে ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ ছাইয়া গেল। বৌদ্ধ ভিক্ষু পৌছিল, ব্রাহ্মণও পৌছিল। এ-সব ঘটিল খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতকের শেষে। আফগনিস্তান পার হইয়া বৌদ্ধ ভিক্ষু মধ্যএশিয়া ছাইয়া ফেলিল । চীন পার হইয় তাহারা জাপানে দেখা দিল। ভারতের প্রতিবেশী তিব্বত, সেও বৌদ্ধ বলিঙ্গ পরিগণিত হইল । -